উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি কুরআনের অবমাননা করে, যেমন আগুনে ফেলে দেয়,বা নাপাকিতে ফেলে দেয়,বা তার উপর বসে,ইত্যাদি
এটা যদি কুরআনের প্রতি ইহানত করে করে থাকে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
তার সাথে সম্পর্ক রাখা আর কাফেরদের সাথে সম্পর্ক রাখা একই।
তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা যাবেনা।
★ আর যদি সে এটাকে গুনাহ মনে করে করে,ইহানত উদ্দেশ্য না হয়,তাহলে কাফের হবেনা।
সে কঠিন কবিরা গুনাহ করলো।
তাকে আল্লাহর কাছে খালিছ দিলে তওবা করতে হবে।
ওয়াদা বদ্ধ হতে হবে যে আমি আর জীবনেও এহেন কাজ করিবোনা।
তবে এক্ষেত্রে তার সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে।
তাকে হিকমতের সাথে বুঝাইতে হবে।
(উমদাতুল ফিকাহ ১১৭)
★উল্লেখ্য যে কুরআনের অবমাননার দ্বারা উদ্দেশ্য যদি কুরআন অনিচ্ছায় হাত থেকে পড়ে যাওয়া হয়,তাহলে শরীয়তের দৃষ্টকোন থেকে এর কোনো কাফফারা নেই।
তবে সাধারণত আমাদের সমাজে অনেকেই গুনাহের জরিমানা স্বরুপ কিছু চাউল বা টাকা দান করে থাকে,এটা জায়েজ আছে।
তবে এমন নির্দেশ শরীয়ত দেয়নি।