ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2122 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দূত বিয়ের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।সালাতুল হাজত পড়ে দু'আ করুন।সালাতুল হাজতের নিয়ম জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1453
একাকি ফরয নামায বা নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ,সহ দু'আয়ে মাছুরা পড়ার পর সূরায়ে ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতও পড়তে পারেন। অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ এ আ'মলের পরামর্শ দিয়েছেন।
আপনি তাদেরকে নিম্নোক্ত হাদীসটি বুঝাবেন।
https://www.ifatwa.info/18 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার পাত্র-পত্রী খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতাপিতাকে অখুশি রেখে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।বরং তাদেরকে রাজি ও খুশি রেখেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। শতচেষ্টার পরও যদি মাতাপিতা না বুঝেন, এবং নামায পড়ে ও দাড়ি রয়েছে,এবং হালাল ইনকাম করে এমন কোনো পাত্রের কথা তারা বলেন, তাহলে আপনি তাতে সম্মতি দিতে পারেন। যদিও সে বেশ দ্বীনদার নাই থাকুক।