আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in পবিত্রতা (Purity) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, আমি মসজিদে সালাত আদায় করতে যায়, এবং বাসা থেকে ওযু করে যায়, এবং মসজিদের বাহিরে জুতা রাখি। নামাজ শেষ করে দেখি আমার জুতার উপর অন্য কেও জুতা তুলে ময়লা করে দিছে যেটি ধুলার ন্যায়। এ জন্য আমি জুতা তিনবার ধুতাম, এইভেবে যে আবার যখন ওযু করে জুতা পরব তখন ভেজা পা জুতায় পরলে আমার পা নাপাক হয়ে যাবে। এখন এটা করতে খুবি বিরক্ত লাগে কারন বারবার জুতা তিনবার করে ধুয়া কষ্টকর।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে অন্যের জুতার ধুলা আমার জুতায় লাগলে কি আমার  জুতা নাপাক হয়ে যাবে?
এবং জুতা না ধুয়ে পরা যাবে কি ওই অবস্থায়?

1 Answer

0 votes
by (719,840 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2677 নং ফাতাওয়ায় আমরা বর্ণনা করেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অন্যর জুতা থেকে যদি দৃশ্যমান কোনো নাজাসত আপনার জুতায় না লাগে, তাহলে আপনার জুতা নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 98 views
...