ভূমিকা
চার মাযহাব মতে একজন পুরুষের সামনে অন্য একজন পুরুষের জন্য নাভীর নিচ থেকে হাটু পর্যন্ত সতর।
হযরত জারহাদ আল-আসলামি রাযি থেকে বর্ণিত
عن جَرْهَدٍ الأسلميِّ رضي الله عنه، أنَّ النبيَّ صلَّى اللهُ عليه وسلَّم مَرَّ به، وهو كاشِفٌ عن فَخِذِه، فقال: ((أمَا علِمْتَ أنَّ الفَخِذَ عَورةٌ؟!))
রাসূলুল্লাহ সাঃ উনার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন,তখন বললেন,হে জারহাদ! তুমি কি জাননা যে,রান সতরের অন্তর্ভুক্ত?(সহীহ বোখারী-৩৭০)
কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,হাটু সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।তারা দলীল হিসেবে আপনার বর্ণনাকৃত হাদীস উল্লেখ করেন- হাদীসটি নিম্নরূপ-
عن أبي موسى رضي الله عنه، أن النبي صلى الله عليه وسلم دخل حائطا وأمرني بحفظ باب الحائط، فجاء رجل يستأذن فقال: «ائذن له وبشره بالجنة»، فإذا أبو بكر ثم جاء آخر يستأذن، فقال: «ائذن له وبشره بالجنة»، فإذا عمر، ثم جاء آخر يستأذن فسكت هنيهة ثم قال: «ائذن له وبشره بالجنة على بلوى ستصيبه»، فإذا عثمان بن عفان قال حماد، وحدثنا عاصم الأحول، وعلي بن الحكم، سمعا أبا عثمان، يحدث عن أبي موسى، بنحوه وزاد فيه عاصم «أن النبي صلى الله عليه وسلم كان قاعدا في مكان فيه ماء، قد انكشف عن ركبتيه أو ركبته، فلما دخل عثمان غطاها»
আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বাগানে প্রবেশ করলেন এবং বাগানের দরজা পাহারা দেয়ার জন্য আমাকে আদেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে আসতে দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সু-সংবাদ দাও। আমি দেখলাম যে, তিনি আবূ বাকর (রাঃ)। অতঃপর আর একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সু-সংবাদ দাও। দেখতে পেলেন, তিনি ‘উমার (রাঃ)। অতঃপর আর একজন এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ চুপ করে বললেন, তাঁকেও প্রবেশের অনুমতি দাও এবং শীঘ্রই তার উপর বিপদ আসবে এ কথা বলে জান্নাতের সু-সংবাদ দাও। দেখতে পেলাম যে, তিনি ‘উসমান ইবনু আফ্ফান (রাঃ)। হাম্মাদ (রহ.).....আবূ মূসা (রাঃ) হতে এ রকমই বর্ণিত আছে। আসিম (রহ.) উক্ত বর্ণনায় আরো বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাগানের এমন এক জায়গায় বসেছিলেন যেখানে পানি ছিল এবং তাঁর হাঁটুদ্বয় অথবা এক হাঁটু খোলা রেখে ছিলেন। যখন ‘উসমান (রাঃ) আসলেন তখন হাঁটু কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেললেন।(সহীহ বোখারী-৩৬৯৫)
- তাছাড়া আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে,
عن أبي الدرداء رضي الله عنه، قال: كنت جالسا عند النبي صلى الله عليه وسلم، إذ أقبل أبو بكر آخذا بطرف ثوبه حتى أبدى عن ركبته، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «أما صاحبكم فقد غامر»
তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় আবূ বাকর (রাঃ) পরনের কাপড়ের একপাশ এমনভাবে ধরে আসলেন যে তার দু’ হাঁটু বেরিয়ে পড়ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের এ সাথী এই মাত্র কারো সঙ্গে ঝগড়া করে আসছে।(সহীহ বোখারী-৩৬৬১)
- এবং হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত
أنس رضي الله عنه ( أن النبي صلى الله عليه وسلم حسر الإزار عن فخذه حتى أنى لأنظر إلى بياض فخذه )
الكتاب> البخاري>كتاب الصلاة >باب ما يذكر في الفخذ
অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ঊরু হতে ইযার সরে গেল। এমনকি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ঊরুর উজ্জ্বলতা যেন এখনো আমি দেখছি।(সহীহ বুখারী-৩৭১)
حديث أنس أسند ، وحديث جرهد أحوط
সনদ হিসেবে আনাস রাযির হাদীস বেশী বিশুদ্ধ তবে সতর্কতামূলক জারহাদ রাযির হাদীস আমলযোগ্য
যে সকল হাদীসে হাটুর উপর কাপড় উঠার কথা বর্ণিত রয়েছে,মুহাদ্দিসিনে কেরামগণ এর সুস্পষ্ট ব্যখ্যা করেছেন।সারসংক্ষেপ হল,
هذا الحديث مما يحتج به المالكية وغيرهم ممن يقول ليست الفخذ عورة ولا حجة فيه لأنه مشكوك في المكشوف هل هو الساقان أم الفخذان فلا يلزم منه الجزم بجواز كشف الفخذ وفي هذا الحديث جواز تدلل العالم والفاضل بحضرة من يدل عليه من فضلاء أصحابه واستحباب ترك ذلك إذا حضر غريب أو صاحب يستحي منه
আবু বকর ও উমরের উপস্থিতিতে হাটু খোলা ছিলো না কি টাখনু খোলা ছিলো?সে সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে।সুতরাং এটা নিশ্চিত নয় যে হাটুই খোলা ছিলো।(আল-মিনহাজ-১৫/১৬৮)