بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১. হাদিস শরিফে এসেছে, আবদুল্লাহ
ইবনু আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক
সফরে রাসূল ﷺ আমাদের
পেছনে রয়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন, এদিকে
আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে দেরী করে ফেলেছিলাম এবং আমরা অজু করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি
দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চস্বরে বললেন–
وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ
‘পায়ের
গোড়ালিগুলোর (শুষ্কতার) জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে।’ তিনি দু’বার বা তিনবার এ
কথা বললেন। (বুখারী ৬০ মুসলিম ২৪১)
অজুর মূল অঙ্গ ৪টি- চেহারা, হাত, পা, মাথা।
মাথা মাসেহ করা ফরজ। আর বাকী তিন অঙ্গ ধোয়া ফরজ।
এ তিন অঙ্গের কোন একটি স্থান শুকনো থাকলে অজু হবে না।
অজুর শেষে প্রবল ধারনা বা কোন উপায়ে জানা গেল যে এই তিন অঙ্গের কোথাও শুকনো রয়ে
গেছে, তা হলে
শুধু শুকনো জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে- নতুন অজু করতে হবে না। (ফতোয়ায়ে
আলমগিরি-১/৫, আহসানুল
ফতোয়া-২/৩১৬)
২. আউজুবিল্লাহি মিনাশ.... রজীম, বিসমিল্লাহির.......
রহিম পড়তে হয় ক্বেরাতের পূর্বে । দোয়ায়ে কুনুত ,দরুদ
শরীফ বা দোয়ায়ে মাসূরার শুরুতে পড়ার প্রয়োজন নেই।
৩.যদি কেউ ভুল বশত দোয়ায়ে
কুনুতের পূর্বে তাআউজ
বা তাসমিয়া পড়ে ফেলে তাহলে কোন সমস্যা নেই নামাজ হয়ে যাবে।
৪. জ্বী নামাজ হয়ে যাবে।
কারণ, দরুদ ও দুআ মাছুরা পড়া
সুন্নাত, ফরজা বা ওয়াজিব নয়। বিধায়, সুন্নাত ছেড়ে দিলে নামাজ ফাসেদ হবে
না। তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে এরকম করলে সুন্নাতের খেলাফ হবে। কেউ সুন্নাত ছেড়ে দিলে সুন্নাতের
সওয়াব থেকে মাহরুম হবে।
৫.উক্ত হিজাব নাপাক হবে না এবং তা পরিধান করে নামাজ
পড়া জায়েয আছে। যদি ঠান্ডা বা কাশির
কারণে গলায় কফ চলে আসে এবং গলার মাঝে থাকা অবস্থাতেই গিলে ফেললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে
না।
৬. বিতরের নামাজের ৩য় রাকাআতে সুরা ফাতিহার সাথে সুরা
ইখলাস পড়া মুস্তাহাব তবে যেকোন সূরা পড়লেই নামাজ হয়ে যাবে।