উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) মসজিদ সাধারণতঃ দুই ধরণের। যথা-
১
স্থানীয় মসজিদ।
২
চলাচলের রাস্তায়, যানবাহনের স্টপিজ ইত্যাদি স্থানের মসজিদ।
১ম প্রকার মসজিদের বিধান!
স্থানীয় মসজিদগুলোতে যদি তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে, তাহলে স্থানীয় লোকজনের জন্য নিয়মিত দ্বিতীয় তৃতীয় জামাত করে নামায পড়া মাকরূহ। এতে করে মসজিদে প্রথম জামাতের গুরুত্ব কমে যায়
কিন্তু কখনো কোন দৈব কারণে স্থানীয় কতিপয় নিয়মিত মুসল্লিদের প্রথম জামাত ছুটে যায়, তাহলে তারা প্রথম জামাত যেখানে আদায় হয়েছে, তার চেয়ে একটু সরে এসে দ্বিতীয় জামাত পড়তে পারে। কিন্তু এটাকে কিছুতেই নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না।
কিন্তু উক্ত মসজিদে যদি কোন মুসাফির দল আসেন, কিংবা অন্য এলাকার বেশ কিছু লোকজন আসেন, এসে দেখেন মসজিদের নিয়মিত জামাত হয়ে গেছে, তাহলে তাদের জন্য দ্বিতীয় জামাত করার অনুমতি রয়েছে।
২য় প্রকার মসজিদের হুকুম
এসব মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করাতে কোন সমস্যা নেই।যদিও তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে। যেহেতু এখানে মুসাফির, কিংবা দ্রুত স্থানান্তর হতে হবে এমন যাত্রীগণ থাকেন, তা’ই এসব স্থানে দ্বিতীয় জামাত হওয়াতে কোন সমস্যা নেই।
তবে যদি নির্ধারিত ইমাম না থাকে, তাহলে সর্ব সূরতে দ্বিতীয় জামাত পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
وَيُكْرَهُ تَكْرَارُ الْجَمَاعَةِ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ فِي مَسْجِدِ مَحَلَّةٍ لَا فِي مَسْجِدِ طَرِيقٍ أَوْ مَسْجِدٍ لَا إمَامَ لَهُ وَلَا مُؤَذِّنَ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب الامامة-2/288
أَنَّهُ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – كَانَ خَرَجَ لِيُصْلِحَ بَيْنَ قَوْمٍ فَعَادَ إلَى الْمَسْجِدِ وَقَدْ صَلَّى أَهْلُ الْمَسْجِدِ فَرَجَعَ إلَى مَنْزِلِهِ فَجَمَعَ أَهْلَهُ وَصَلَّى» وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَمَا اخْتَارَ الصَّلَاةَ فِي بَيْتِهِ عَلَى الْجَمَاعَةِ فِي الْمَسْجِدِ وَلِأَنَّ فِي الْإِطْلَاقِ هَكَذَا تَقْلِيلُ الْجَمَاعَةِ مَعْنًى، فَإِنَّهُمْ لَا يَجْتَمِعُونَ إذَا عَلِمُوا أَنَّهُمْ لَا تَفُوتُهُمْ.
وَأَمَّا مَسْجِدُ الشَّارِعِ فَالنَّاسُ فِيهِ سَوَاءٌ لَا اخْتِصَاصَ لَهُ بِفَرِيقٍ دُونَ فَرِيقٍ اهـ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب الامامة-2/288
যার সারমর্ম হলো মহল্লার মসজিদে ২য় জামাত করা মাকরুহ।
সুতরাং আপনার জন্য উত্তম হলো মসজিদে একাকি নামাজ পড়া।
মসজিদ বা অন্যত্রে জামাত করা মাকরুহ।
আদ্দুররুল মুখতার (২/২৮৯) গ্রন্থে আছেঃঃ
ويكره تكرار الجماعة..... فى المسجد أو غيره
যার অর্থ হলো মসজিদ বা অন্যত্রে ২য় জামাত মাকরুহ।
(০২)
মসজিদে জামাত হয়ে যাওয়ার পর একাকী নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে আপনার পাশে বা পিছনে কেউ যদি দাড়িয়ে ইক্তেদা করে, সেক্ষেত্রে আপনি তাদের ইমামতির নিয়ত করবেননা।
তবে আপনি যদি ইমামতির নিয়ত না করেন,তারপরেও পিছনের ব্যাক্তির নামাজ হয়ে যাবে।
শরহুল মুনিয়্যাহ তে আছেঃ
ولایحتاج الإمام في صحۃ الاقتداء بہٖ إلی نیۃ الإمامۃ حتی لو شرع علی نیۃ الانفراد فاقتدی بہٖ یجوز۔ (شرح المنیۃ ۲۵۱)
যার সারমর্ম হলো ইকতেদা ছহিহ হওয়ার জন্য ইমামতের নিয়ত জরুরী নয়।
আল আশবাহ ওয়ান নাজায়ের গ্রন্থে আছেঃ
وتصح الإمامۃ بدون نیتہا۔ (الإشباہ والنظائر جدید ۷۲)
ইমামত ছহিহ হয়ে যাবে ইমামতির নিয়ত ছাড়াই।
(০৩) ছোট বেলায় আপনারা স্কুলে যেই সমস্ত নামাজ জামাত আদায় করে পড়েছেন,সেখানে যাকে ইমাম বানিয়েছিলেন, সে যদি বালেগ হয়, তাহলে আপনাদের সমস্ত নামাজ হয়ে গিয়েছে।
কাজা করার দরকার নেই।