আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমাদের  সহবাস  এবং খালওয়াতে সহীহার আগেই  এক  তালাক  বায়েন পতিত  হয়ে গিয়েছিল,এ বিষয়ে ফতোয়া  নেওয়া  হয়েছে।
প্রথমে আমার  স্বামী  আমাদের তালাক হয়ে  যাওয়ার ব্যাপারটা বিশ্বাস  করে নাই, সে মনে করতো আমাদের মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক  অক্ষুন্নই আছে। তাই আমি  তাকে নানা ভাবে বুঝতাম।
আমি তাকে বুঝাইতে গেলে সে অনেক  মেজাজ  গরম  করতো এবং   সম্ভবত সে একবার  এমন বলেছিলঃ "পুনরায়  বিয়ের আগে তুমি  যদি  তালাক নিয়ে     আমার সাথে আর আলোচনা  করো,তালাক নিয়ে আমাকে আর খোঁচা দাও,তালাক নিয়ে   আর   কোন কথা বলো,  তাহলে তালাক অথবা বলেছিল তালাক  হয়ে যাবে ।"

★মুহতারাম, এমন কথা যখন  সে বলেছিল,এর অনেক মাস আগেই  কিন্তু  আমারা  এক তালাক  বায়েন  প্রাপ্ত। ★

আমি  এমন শর্ত দেওয়ার  পর,  তার সাথে  অনেক  তালাক নিয়ে  আলোচনা  করেছি এবং বর্তমানে তাকে বুঝাইতে সক্ষম  হয়েছি যে আমাদের  মাঝে  আর বৈবাহিক  সম্পর্ক  নাই,আমাদের  আবার  পুনরায়  বিয়ে  করতে হবে।

★★★
আমার  প্রশ্ন  হলোঃ
এক তালাক  বায়েন  হয়ে  যাওয়ার  পর   সে  যে আমাকে এমন শর্ত দিয়েছিল তার  কারনে পুনরায়  বিয়ের পর আমাদের  আর তালাক  হবে কি না,যেহেতু  পুনরায়  বিয়ের আগে আমি তালাক  নিয়ে   অনেকবার আলোচনা করেছি???

★★★নোটঃ    ও যখন  ঐ কথা বলেছিল,তখন কিন্তু  সে মনে করতো,আমি এখন ও তার স্ত্রী।

★★এবং সে কিন্তু  বলে নাই  তোমাকে  পুনরায়  বিয়ে  করার পর তালাক । ★★

★ সে কিন্তু,  পুনরায়  বিয়ে  করার  পর তুমি তালাক,এমন শর্ত দিয়ে  কখনোও কিছু  বলে নাই। ★

সে বলেছিলঃ
"পুনরায়  বিয়ের আগে তুমি  যদি  তালাক নিয়ে     আমার সাথে আর আলোচনা  করো,তালাক নিয়ে আমাকে আর খোঁচা দাও,তালাক নিয়ে   আর   কোন কথা বলো,তাহলে তালাক অথবা বলেছিল তালাক হয়ে যাবে ।"

এখানে , পুনরায়  বিয়ের পর তালাক  হবে,এমন কোন  উদ্দেশ্য  ছিল  না। এবং এমন কিছু  বলা ও হয় নাই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/16465 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
وَاعْلَمْ أَنَّ أَصْحَابَنَا - رَحِمَهُمُ اللَّهُ - أَقَامُوا الْخَلْوَةَ الصَّحِيحَةَ مَقَامَ الْوَطْءِ فِي حَقِّ بَعْضِ الْأَحْكَامِ دُونَ الْبَعْضِ فَأَقَامُوهَا فِي حَقِّ تَأَكُّدِ الْمَهْرِ وَثُبُوتِ النَّسَبِ وَالْعِدَّةِ وَالنَّفَقَةِ وَالسُّكْنَى فِي هَذِهِ الْعِدَّةِ وَنِكَاحِ أُخْتِهَا وَأَرْبَعٍ سِوَاهَا وَحُرْمَةِ نِكَاحِ الْأَمَةِ عَلَى قِيَاسِ قَوْلِ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُرَاعَاةِ وَقْتِ الطَّلَاقِ فِي حَقِّهَا وَلَمْ يُقِيمُوهَا مَقَامَ الْوَطْءِ فِي حَقِّ الْإِحْصَانِ وَحُرْمَةِ الْبَنَاتِ وَحِلِّهَا لِلْأَوَّلِ وَالرَّجْعَةِ وَالْمِيرَاثِ، وَأَمَّا فِي حَقِّ وُقُوعِ طَلَاقٍ آخَرَ فَفِيهِ رِوَايَتَانِ وَالْأَقْرَبُ أَنْ يَقَعَ.
«تبيين الحقائق شرح كنز الدقائق وحاشية الشلبي» (2/ 144)
জেনে রাখা ভালো যে, হানাফি ফকিহগণ খালওয়াতে সহিহাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত গণ্য করেন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন না।হানাফি ফকিহগণ মহর, সন্তানের নসব, ইদ্দত এবং ভরণপোষন, উক্ত স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা, এবং এ স্ত্রী ব্যতীত আরো চারটি বিয়ে করা বা বাদি বিয়ে করা এর ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহিহাকে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন। তবে সিফাতে এহসান সাব্যস্ত হওয়া , উক্ত স্ত্রীর মেয়ে হারাম হওয়া, এবং ঐ স্ত্রী তার পূর্বে তিন তালাক প্রদানকারী স্বামীর জন্য হালাল হওয়া, এবং রাজআত, ও মিরাছের ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহিহাকে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন না। 

إذا طلق الرجل امرأته ثلاثا قبل الدخول بها وقعن عليها فإن فرق الطلاق بانت بالأولى ولم تقع الثانية والثالثة
যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে।দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনাদের সহবাস এবং খালওয়াতের পূর্বেই এক তালাক বায়েন পতিত হয়ে গেছে, তাই এখন আর আপনাদের মধ্যকার বৈবাহিক আর কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং এখন তালাকের কোনো শর্ত প্রদান করলে আর তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...