আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
518 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (49 points)
edited by
এক বোন প্রশ্ন করেছেন।যেহেতু তার প্রশ্ন করার, এবং উত্তর জানার জায়গা নেই,তাই এখানে সম্পূর্ন প্রশ্নগুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করছি।

১) সবারই হক আছে সেটা জানি।আমি নারীবাদী নই।আমার প্রশ্ন বা কনফিউশান শুনে আমাকে নারীবাদী হিসেবে জাজ না করার অনুরোধ থাকবে।

★ সরাসরি প্রশ্নে চলে যাচ্ছি। আমি ঘরের কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করি।আমার শুরু থেকেই এসব ভাল লাগে না।আমি নিজে ঘরে কাজ করলেও খুব শর্টকাটে কাজ শেষ করে ফেলি।যেমন,রুটি না বানিয়ে আটা গুলিয়ে চাপাতির মত বানিয়ে ফেলি।ঘর পরিষ্কার করলে একদম ভালভাবে পরিষ্কার করার পর পরে খেয়াল রাখি, সাবধানে থাকতে বলি ঘরের সবাইকে যেন নষ্ট না করে।কারন পরদিন সেসব পরিষ্কার করতে সময় বেশি লাগে।আমি রান্নার কাজে খুবই অপটু।রান্না করতে ভালও লাগে না।অনেক চেষ্টা ও করেছি তারপর ও রান্নাঘরে যেতেই ইচ্ছা করে না।গরম সহ্য হয় না।আর স্কিন সেনসেটিভ, এলার্জি এজন্য  গরম এভয়েড ও করি।সব যদি বাদও দেই।আমার রান্না করতেই অতিষ্ঠ লাগে।রান্নার ঝামেলার জন্য নিজেও অনেককিছু করে খাই না।খিদা না লাগলে খাই না।আগেও বলেছি খুব শর্টকাটে কাজ করি।একদিন নাস্তা/নুডুলস রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেই কয়েকদিন যেন রান্না না করতে হয়।এছাড়া রান্নাঘরে যাই না।

আচ্ছা, আমার প্রশ্ন হল রাসূল সঃ, সাহাবীরা,তার পরিবার পরিজন রা খুব কম খেয়েই দিন পার করতেন।শর্টকাটেই সব শেষ করতেন। বাকী সময় ইলম অর্জন করতেন।আমাদের সময় রান্নাবান্না নিয়ে এত অত্যাচার কেন?

আমি রুটি বানাতে পারি।তবে এসব করতে গেলে হাতের ব্যাথায় আর ভালো লাগে না। এজন্য চাপাতির মত বানাতে চাই।নিজের মা বাবা কখনোই সেসবে রাজি না।তাদের রুটিই লাগবে।আমার সুযোগ সুবিধা বলে তো কিছু আছে।যে কাজ করে আমি খারাপ বোধ করি,আমার অস্বস্তি লাগে,শারীরিক মানসিক কষ্ট হয় সেটা কি করতেই হবে?আমার মা নিজেই নিজের এবং বাবার টা করে খেয়ে নেন।আমার খাবারের চিন্তা নেই।আমি খাই না বেশির ভাগ সময়।

এখানে আমার ভালো লাগে না,অস্বস্তি /ওভারঅল সব মিলিয়ে করতে যে চাই না,করি না এতে আমার কি গুনাহ হবে?বা আমার করনীয় কি? সত্যি বলতে আমি রান্নাঘরে যেতেই চাই না।এসব কাজ করতে গেলে এত বিরক্ত,ক্লান্ত লাগে যে কি বলব।আমি তো সে সময় একটা বই ও পড়তে পারি।কাউকে শেখাতে পারি বা নিজে শিখতে পারি।

২) আমি আমার বাবাকে কখনো মার সুযোগ সুবিধার কথা সেভাবে বিবেচনা করতে দেখি নি। মার হাতে সমস্যা, ডাক্তার পানি ধরতে নিষেধ করেছেন।হাতে ব্যাথাও আছে। আমার বাবার কথা হল তার রুটিই লাগবে।মা কষ্ট করেই বানিয়ে দেয়।

আচ্ছা আমার,আমার মা'র নিজেদের শারীরিক মানসিক ভাল মন্দ লাগার কোন দাম কি ইসলামে নেই?যদিও আমার মা কিছু বলে না।নিজে কষ্ট করেই বাবার কাজ করে দেয়।কিন্তু বাবা তো সেটা ছাড় দিতে পারে তাই না?ইসলাম কি আমাদের এটা শিখায় যে, কেউ কোন কিছু করতে না চাইলে ও তাকে জোর করে সেটা করতে বাধ্য করাও?

বাবা একটু ছাড় দিলে কিন্তু মা'র এত কষ্ট করে রুটির ঝামেলা করতে হয় না।

আমি বাসায় বাসা পরিষ্কার, ধোয়া মোছা, বাথরুম পরিষ্কার করি।এছাড়া অন্য কিছু যেমন রান্নার কাছেও যেতে চাই না সেসব আগে বলেছি।আমি শর্টকাটে কাজ করতে চাইলেও সেটা তাদের পছন্দ না।আর এজন্য আমিও করিনা।আমার এসব কাজে সময় দিতে ইচ্ছে করে না।

স্বামী ও যদি এসব বলে, এসব কাজের বিষয়ে এসব করতে থাকে, তখন আমি যদি না করি তখন গুনাহ হবে?মা বাবার সাথে যে আমার মতের মিল না হওয়ার আমি এসব করি,এতে গুনাহ হবে?

৩)সবাই আশা করে সকালে ঘুম থেকে উঠতে।বিশ্বাস করেন আমি অনেক চেষ্টা করি ফজরের পর জেগে থাকতে।কিন্তু পারি না।যদি জেগে থাকি তাহলে সারাদিন মাথাব্যথা করে।ওষুধ না খেলে সে ব্যাথা সারে না।

বিয়ের পর কাজ নিয়ে স্বামী যদি এসব বিষয়ে আপত্তি করে আমি কি করব?আমি তো নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে চাই না।আমার একটা সিম্পল কথা হল আমার সুযোগ সুবিধা তো আমার ভালবাসার মানুষগুলো র বোঝা উচিত। তারা যদি তাদেরটা আমার উপর চাপিয়ে দেয় এটা কেমন ভালবাসা হল?আমি নিজেই তো তাহলে জুলুমের শিকার হয়ে গেলাম।মা বাবার সাথে ও, স্বামীর সাথেও।এখানে আমার গুনাহ কেন হবে?

৪) স্বামীর সাথে আলাদা বাসায়, শ্বশুর শ্বাশুড়ি ছাড়া কি থাকতে চাওয়া অন্যায়?আমি আমার নিজের মানুষের মধ্যে এমন অনেক দেখেছি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে ঝামেলা সৃষ্টি করে অন্যরা।এছাড়াও আরো অনেক কিছু। কারো ব্যক্তিগত সম্পর্কে নাক গলানো আমি নিজেও পছন্দ করি না।আমার ব্যক্তিগত জীবনে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করুক সেটাও আমি চাইনা।মা বাবা,শ্বশুর শ্বাশুড়ির, পরিবার পরিজন এর ভরনপোষন যা লাগে দিক সমস্যা নেই,কিন্তু আমার সংসার আলাদা চাই।এখানে কারো হস্তক্ষেপ কাম্য না।এসব চিন্তা কি ইসলাম বহির্ভূত?আমি নিজে অনেক খারাপ কিছু দেখে বড় হয়েছি।আমার ভবিষ্যতে এসবের পুনরাবৃত্তি চাই না।এজন্যই নিজের সব আলাদা চাই।

৫)আমার মূল কথা হল নিজের মত করে, নিজের সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী কাজ কর্ম,সংসার ইত্যাদি করতে চাওয়া কি গুনাহের মধ্যে পড়ে?মা বাবা,স্বামী, পরিবার পরিজন তাদের মন মানসিকতার সাথে, কাজের ধরনের সাথে আমার মিলে না।না মিললে সেটা আমার কি দোষ? সকালে উঠতে সমস্যা, নাস্তার অন্য ব্যবস্থা করা যায় কিংবা রেডিমেড ও পাওয়া যায়।আমার উপরই কেন ঝামেলা টা করবে?আমি করতেও চাই না।না করলে আমার গুনাহ কেন হবে?

৬)স্বামীর আনুগত্য বিষয় টা দিনদিন কঠিন মনে হচ্ছে। যা আমি পারব না,সেটা স্বামী তো আমাকে করার কথা বলতে পারেন না।সহমর্মিতা তা কোথায় তাহলে?আমার পরিবারে পুরুষদের মধ্যে সহমর্মিতা বিষয় টা আমি দেখি নি।তাদের যখন যেটা চাই সেটাই চাই।বেশিরভাগ পুরুষদের এমনই দেখেছি।স্বামীর আনুগত্য বলতে কি এটাও বুঝায় যে নিজের কষ্ট, ভাল মন্দ সব বিসর্জন দিয়ে স্বামীর সব কথা শুনতে হবে?

আমাকে সকালে উঠতে বললে তো কখনোই সম্ভব না।হয়ত বেশিরভাগ সময়ই।উঠলে সারাদিন মাথাব্যথা কষ্ট ভোগ করতে হবে।রুটি বানানো,রান্নার কাজ এসবেও সেইম অবস্থা। আমি এমন স্বামী সংসার, পরিবার পরিজন তো চাই নি।যারা আমার সুযোগ সুবিধা, Comfort বুঝবে না।

আমি কি করব?এত দ্বিধা দ্বন্ধ নিয়ে বিয়ে করতেই ভয় লাগে।বিয়ে করতেও চাই না সত্যি বলতে। জোর জবরদস্তি দিয়ে কি সংসার টিকে?অন্তত আমি তো পারব না।আমি তো এমন কিছু চাই না।মা বাবার সাথে ও মনমানসিকতা মিলে না।স্বামীর সাথেও যদি না মিলে।তখন কি করব।

৭) স্ত্রী কে স্বামীর আনুগত্য করতে হবে, স্বামী যদি স্ত্রী র সুযোগ সুবিধা বুঝে চলে সেটা কি ইসলামের বাইরে?অথচ রাসূল সঃ তো তাঁর স্ত্রীদের কাছে সর্বোত্তম ছিলেন।তিনি জোর জবরদস্তি করতেন বলে তো কোথাও পড়ি নি।

স্বামীর অনুমতি ছাড়া কি নফল ইবাদত, নামায, রোজা করা যাবে না?

৮) প্রতিটা কাজের পূর্বে নিয়ত কেমন হওয়া উচিত? প্রতিটা কাজের জন্য এত আলাদা আলাদা নিয়ত কোথায় পাব?নিয়তের বিস্তারিত জানার জন্য কোন বই বা কিছু রেফারেন্স দিলে পড়তে আগ্রহী ইনশাআল্লাহ।
৯) আমাদের পূ্ব পুরুষেরা(নবী রাসূল) সন্তান লালন পালন কিভাবে করেছেন?তাদের দাম্পত্য জীবন কেমন ছিল?এসবের বিস্তারিত জানতে চাই।বইয়ের নাম সাজেশন দেয়া হলে পড়তে আগ্রহী ইনশাআল্লাহ।
১০)নেটে যেসব পিডিএফ সার্চ দিলে পাওয়া যায় সেগুলো অনুমোদন আছে কিনা জানা নেই। যদি অনুমোদন না থাকে তাহলে পড়লে কি আমার গুনাহ হবে? আমি তো সেটার পিডিএফ তৈরি করি নি।আমার গুনাহ কেন হবে?

১১) নজরের হেফাজত করে চলা নারী পুরুষ সবার জন্যই প্রযোজ্য?বিভিন্ন ইসলামিক ইতিহাস এর সিরিজ যদি নারীরা দেখে যেমন দিরিলিস আর্তুগ্রুল,উমার সিরিজ ইত্যাদি সেসব দেখলে কি গুনাহ হবে? মিউজিক আছে এসবে।অনেকসময় সেসব মিউজিক বাদ দেয়ার সুযোগ থাকে না।আমি সেটাকে জায়েজ করার চেষ্টা করছি না তবে একটা বিষয় সত্যি এটা দেখে ইতিহাস সম্পর্কে সামান্য কিছু ধারনা হয়েছে।এবং ইসলামের প্রতি আন্তরিকতা বেড়েছে। আগের মত দায়সারা ভাব তেমন নেই।সেদিক থেকে চিন্তা করলে সিরিজ টা তো আমার উপকারেই এসেছ। একজন নারী যদি সেসব সিরিজ দেখে, পুরুষের দিকে তাকায়, তাহলে কি গুনাহ হবে? কারন সিরিজ দেখতে গেলে তো চরিত্র গুলোর দিকে চোখ পড়েই।এসব সিরিজের বিকল্প নেই যেগুলো মিউজিক ছাড়া। একদম জেনারেল লাইনের মানুষের জন্য কিছু একটা তো লাগে।হলিউড বলিউল এর মুভি,সিরিয়াল ছেড়ে ইসলামীক সিরিজ। সেটাও পুরোপুরি ইসলামিক না।মন্দের ভালো।করনীয় কি?একদম সবকিছু ছেড়ে থাকতে পারছি না।হঠাৎ হঠাৎ দেখতে ইচ্ছে করে।তখন ওসব সিরিজে ফিরে যাই।

১২) আমি আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলছি না।এটা করতেও চাই না।আমি যদি আমার আত্নীয় স্বজন দের বাসায় আসা যাওয়া না করি,ফোনে কথা না বলি তাহলে কি আমি তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্র করার মত গুনাহ করে ফেলছি?

তাদের বাসায় আসা যাওয়া, ফোনে যোগাযোগ না করতে চাওয়া র পিছনে অনেক কারন আছে।তারা গীবত,অপবাদ, ঝগড়াঝাঁটি করতে করতে মাথা নষ্ট করে ফেলে। অনর্থক কথা বলে সময় নষ্ট করে।তাদের সাথে পাঁচ মিনিট কথা বললে আগামী ছমাসের মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে যায় এমন অবস্থা হয় আমার।আমার কথা হল তারা বিপদে পড়লে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগীতা করলাম, তারা বাসায় কখনো এসে পড়লে সাধ্যমত আপ্যায়ন করলাম।কিন্তু আমি কখনোই তাদের বাসায় আসা যাওয়া, ফোনে কথা এসব করতে চাই না।তাদের দাওয়াহ দেয়ার মত যোগ্যতা আমার নেই।জীবনেও পারব না মনে হয়।

তারা এমন ধরনের আচরন,কথা বলে যেসব শুনলে কলিজা ছিড়ে যাওয়ার মত কষ্ট লাগে।আমি এসব মানসিক অত্যাচার, তর্ক বিতর্ক, ঝগড়াঝাটি এসবের কারনে এভয়েড করি।আমার পক্ষে সম্ভব না এত সামাজিকতা রক্ষা করা।এসবের জন্য আমাকে সারাজীবন বলা হয়েছে অসামাজিক, ক্ষেত ইত্যাদি। যাই হোক, আমি নিজের মানসিক শান্তির জন্য আত্নীয় স্বজন দের বাসায় আসা যাওয়া, ফোনে কথা বন্ধ রাখলে আমি কি তাদের সাথে আত্নীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করার মত গুনাহ করে ফেলছি?
আমার পক্ষে তাদের সাথে ফোনে কথা বলারও ইচ্ছা নাই।আমার ঘন্টা খানেক সময় তারা কথা বলে নষ্ট করে দেয়। অথচ সেসব কথা অহেতুক, বেশির ভাগ গীবত না হয় অপবাদ।আমার অতীতে ও এসব অশান্তি লাগত।এখন তো আরো বেশি লাগে।আমি কি করব?

১৩)আত্নীয় স্বজন বা কারো বাসায় আসা যাওয়া নিয়ে এর আগে যে প্রশ্ন করেছি সে প্রসঙ্গেই মা বাবা,স্বামী যদি আমাকে জোর করে।এবং আমি যদি আমার মানসিক শান্তি রক্ষা করার জন্য তাদের কথা র অবাধ্য হই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? আমার অশান্তি টা কাউকে বুঝাতে পারছি না।বিশ্বাস করেন,তাদের সাথে বা এমন কারো সাথে যোগাযোগ যাদের সাথে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না তাদের সাথে আমি জোর করেও যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করলও নিজের মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে যায়  । আমি চেষ্টা করে দেখেছি।সেসব আত্মীয়, প্রতিবেশী ইত্যাদি তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমার নিজের আখলাক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় নিজেি রাগের জন্য গীবতে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি । কখনো কখনো এসব নিয়ে বাসায় ঝগড়াও হয়ে যায়। অথচ আমি তাদের সংস্পর্শে না আসলে নিজর ভালই থাকি।

আমার নিজের ইমান,আমল,আখলাকের হেফাজতের জন্য আত্নীয় স্বজন, প্রতিবেশী যাদের সাথে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না তাদের এভয়েড করা খুবই দরকার। এখানে আমার মানসিক শান্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে মা বাবার, স্বামী র অবাধ্যতা তারা যদি তাদের সাথে মিশতে বলে,আসা যাওয়া করতে বলে, আর আমি যদি সেটা না করি তাহলে আমি কি গুনাহগার হব?

আমার এ থেকে বাঁচতে করনীয় কি?

আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় এদের সবাই যদি আমার জীবনে ন্ থাকত তাহলে আমার কোন মানসিক অশান্তিই থাকত না।আমি তো তাদের কথা মনে করতেও কষ্ট হয়।কতটা Toxic,নোংরা মনমানসিকতার মানুষ তারা সেটা বলে বোঝানো যাবে না।আমার নামে মিথ্যা অপবাদ রটানো, আমাদের পরিবারে একে অপরের ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানো, লেনদেন খুবই জঘন্য, টাকা পয়সা ধার নিলে কখনো সময় মত ফেরত দেয় না।এমনকি কখনো কখনো দেয়ই না।গালাগালি করা,মারামারি করা এমন প্রকৃতির মানুষ তারা।আবার অনেকে শুধু গীবতের জন্য Experts.. দু মিনিট তার সাথে কথা বললেই আগামী ছমাসের মানসিক শান্তি নষ্ট করে দিতে দক্ষ বক্তা।

আমি এক প্রকার ভয়েই তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাই না আমার অশান্তি, অতিষ্ঠ, ভয়,রাগ,ক্ষোভ সব অনুভুতি হয় তাদের কথা মনে পড়লে।আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিষেধ।নিষেধ না হলে আমি অনেক আগেই তাদের সবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতাম।

যেহেতু সেটা করা সম্ভব না,আমি কি আমার পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব আসা যাওয়া বন্ধ /কম,ফোনে কথা বলা বন্ধ করতে পারি?এক্ষেত্রে মা বাবা,স্বামী র অবাধ্যতা করলে গুনাহগার হব?


১৪) আমার নিজস্ব একটা লাইব্রেরির প্রয়োজন। বাসা থেকে বললে সাহায্য পাওয়ার আশা ভরসা নেই বললেই চলে।আমি সরাসরি কাউকে বলতেও পারব না লজ্জার কারনে।


এখন আমি যদি বলি,একজনের লাইব্রেরি করতে টাকার প্রয়োজন।কেউ যদি কন্ট্রিবিউট করে থাকে সেটা দিয়ে যদি আমি বই কিনে পড়ি,এবং অন্যদের শিখানোর কাজে সেসব বই ব্যবহার করি,বা শুধু নিজে পড়ি, বই গুলো নিজের কাছে রেখে দেই নিজে পড়ার জন্য
তাহলে যারা কন্ট্রিবিউট করবে তাদের সাথে আমি কি প্রতারনা বা তাদের অর্থ আত্মসাৎ করলাম? কিংবা আমি কি মিথ্যা বাদী হব?যারা কন্ট্রিবিউট করবে তাদের কি সাদাকা,বা সাদাকা জারিয়ার সওয়াব হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/430 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মোটকথাঃ-
এককপরিবার ব্যবস্থা ও যৌথপরিবার ব্যবস্থা উভয়ই বৈধ।
আমাদের দেশে যেহেতু পূর্ব থেকেই  যৌথপরিবার ব্যবস্থা চলে আসছে, এবং এককপরিবার ব্যবস্থাকে মা-বাবা সহ অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।এমনকি অনেকে এককপরিবার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে ও নিন্দা মনে করে,তাই যৌথপরিবারই আমাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে মাননসই ও গ্রহণযোগ্য হবে,তবে যাতে শরীয়তের কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বতার সাথে রাখতে হবে, আল্লাহ না করুক যদি কোনো অঘটন ঘটে যায়,সেক্ষেত্রে সমস্ত দায়-দায়িত্ব কিন্তু আপনার-ই।যখন আমাদের সমাজ এককপরিবার ব্যবস্থাকে মেনে নিবে তখন সেটাই সবার জন্য মঙ্গলজনক ও নিরাপদ হবে।একক পরিবার না যৌথ পরিবার?কোনটা অগ্রহণযোগ্য?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/430

আদিকাল থেকেই মানষ পরিশ্রম করে রোজগার করছে।আয়-রোজগার করে দিনাতিপাথ করছে।আপনি আয়-রোজগার করবেন,চায় ব্যবসার মাধ্যমে হোক অথবা পরিশ্রমের মাধ্যমে হোক।
এটাই স্বাভাবিক।
এক হাদীসে পরিশ্রম করে রোজগার করা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ-হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দিকারুবা রাঃ থেকে বর্ণিত
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - " «مَا أَكَلَ أَحَدٌ طَعَامًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ أَنْ يَأْكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ، وَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ دَاوُدَ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ» "
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃনিজ হাতের উপার্জন থেকে উত্তম খাদ্য কেউ কখনো আহার করেনি।এবং আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন থেকেই আহার করতেন।(মিশকাত২৭৫৯, সহীহ বুখারী: (১৯৬৬/২০৭২)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে।হযরত দাউদ আঃ বাদশা হওয়ার পরও নিজে কাজ করতেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজে কাজ করতেন। হযরত ফাতেমা ঘরের কাজ করতে করতে হাতে দাগ পড়ে যায়, কুপ থেকে রশি দ্বারা পানি তুলতে তুলতে বুকে দাগ পড়ে যায়।

সুতরাং আপনি সাহাবাদের অনুসরণ করে অলসতাকে পরিহার করে নিজের কাজ নিজেই করবেন।স্বামীর সংসারের সকল কাজকর্ম আপনি নিজেই করবেন।

(২)
স্বামীর খাদ্য পাকানোর দায়িত্ব যেভাবে স্ত্রীর নেই, সেভাবে স্ত্রীকে চিকিৎসার দায়িত্বও কিন্তু স্বামীর নয়। সুতরাং এসব দায়িত্বর কথা চিন্তা না করে, যথাসম্ভব স্বামীর খেদমত করাই উচিৎ।

(৩)
আপনার সুবিধা অসুবিধার কথা বিয়ের আগেই বলে নিবেন।কেউ রাজি থাকলে আপনার সাথে ঘর বাধবে, না থাকলে নেই।

(৪)
বিয়ের আগেই এসব বলে নিবেন।কেউ রাজি থাকলে আপনার সাথে ঘর বাধবে, না থাকলে নেই। এসব চাওয়া গোনাহ নয়।

(৫)
বিয়ের আগেই এসব বলে নিবেন।কেউ রাজি থাকলে আপনার সাথে ঘর বাধবে, না থাকলে নেই।
(৬)
বিয়ের আগেই এসব বলে নিবেন।কেউ রাজি থাকলে আপনার সাথে ঘর বাধবে, না থাকলে নেই।

(৭)
বিয়ের আগেই এসব বলে নিবেন।কেউ রাজি থাকলে আপনার সাথে ঘর বাধবে, না থাকলে নেই।
(৮)
প্রত্যেক কাজের নিয়ত আল্লাহ রাজি ও খুশি করা চাই।

(৯)
ইসলামিক ইতিহাস পড়লেই পেয়ে যাবেন।

(১০)
পিডিএফের অনুমতি আছে কি না নাই? জানা না থাকলে না পড়াই তাকওয়ার নিকটবর্তী।

(১১)
জ্বী, নজরের হেফাজত করতে হবে।সুতরাং এসব সিরিয়াল দেখা যাবে না।

(১২)
আপনার বর্ণিত সূরতে আত্মীয়তার সম্পর্ত ছিন্ন করা হবেনা।সুতরাং আপনার গোনাহ হবে না।

(১৩) জ্বী, আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(১৪)
জ্বী, আপনি মানুষদের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (49 points)
পরবর্তী উত্তর গুলোর অপেক্ষায় আছি
by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...