আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
সম্মানিত শায়েখ,  আস সালামু আলাইকুম


ইচ্চাকরে কাশি দিলে নামায ভেঙ্গে যায় এটা আমি জানি। এখন আমার কিছুদিন ধরে শুকনো কাশি হয় কফ ওঠেনা কিন্তু প্রচন্ড কাশি। ওষুধ খেয়ে ঠিক হয়নি।  এখন আমি সালাতে দাড়ালে তো আমার কাশি আসে তবে আমি চেষ্টা করি খুব।  আর যেহেতু মসজিদে এসি রয়েছে এটার ভিতরে আমার কাশি আসে।  এখন হুজুর বলেছে যে কাশি দিলে নামায নষ্ট হয়ে যায়।  কিন্তু বিনা ওজরে তো কাশি দিলে নামায নষ্ট হয়না।
প্রশ্ন ১: ইচ্চকৃত কাশি কেউ যদি দেয় তাহলে কয়বার দিলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। একবার দিলেই কি সালাত নষ্ট হয়ে যাবে নাকি একাধিক বার ।  
প্রশ্ন ২: কাশি দিলে নামায ফাসিদ হয়ে যায় এটা কি হানাফি ফিকহ এর মত নাকি সব ইমামদের একই মতামত । নাকি ভিন্নতা রয়েছে
প্রশ্ন 3: আমার তো গলার ভিতরে কফ জমে থাকে কাশি ইচ্চাকৃত না দিলেও হয়ে যাচ্ছে ।  এটা কিন্তু বড় কাশি নয় খুসখুস কাশি।  এখন আমার নামাযগুলো কি হবে আমিতো মহা চিন্তায় আছি।  ইচ্ছাকৃত হয়ে যাচ্ছে নাকি অনিচ্চাকৃত এটা নিয়েই ঝামেলা পড়ে গেলাম আমি।
আমার অন্য কিছু প্রশ্ন
প্রশ্ন 4: একজনের আমল ভালো না খারাপ এটা কি অন্য একজন ব্যাক্তির বলা উচিত কিনা । যেমন তোমার আলমতো ভালোনা যাইহোক সমস্যা নাই।  এই কথাটা একজনকে বলা উচিত কিনা।  যেহেতু কার আমল ভালো না খারাপ এটাতো আল্লাহ জানেন। মানুষতো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করেন হতে পারে তার এমন কোনো আমল আছে যেটা আল্লাহর পছন্দনীয়।


কোনো একজন ইমাম এর প্রতি আমার বিদ্বেষ নেই তবে শয়তান খালি আমাকে বিভ্রান্ত করে। ইমাম কিছু বললেই আমার মনে ধরনা জন্মে উনি এমন কেনো।  সব ঘরোনার আলেমদের কেনো দেখতে পারেনা।  সরকার এর তোষামুদি কেনো করে।  যাইহোক গীবত করে ফেললাম কিনা বুঝতেছি না।  কিন্তুু ইমাম সাহেব তো আমার প্রতিবেশি খুবই পরিচিত।


প্রশ্ন ৫: এখন আমি কি করবো আল্লাহর কাছে এটার জন্য আমি ক্ষমা চাই যখনই মনে হহয় আমি ইমাম এর উপর বিদ্বেষ পোষন করে ফেলেছি।  এসব থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারি।
by (45 points)
শায়েখ যদি আপনারা ব্যাস্ত না থাকেন তাহলে উত্তর গুলো দিলে ভালো হয় ।আর ব্যস্ত থাকলে পরে দিলেও সমস্যা নাই।

1 Answer

0 votes
by (589,560 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১) ইচ্ছাকৃত কেউ একবার কাশি দিলেই নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

(২) ইচ্ছাকৃত কাশি দিলে নামায ফাসিদ হবে। এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত।


(৩) গলায় কফ জমে থাকার দরুণ যে কাশি আসে, সেটা মূলত অনিচ্ছাকৃত হয়ে থাকে, সুতরাং অনিচ্ছাকৃত কাশির কারণে নামায ফাসিদ হবে না।

(৪)
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

কারো সম্পর্কে নিশ্চিতরূপে কিছুই বলা যাবে না যে, উনি এমন,উনি তেমন,ইত্যাদি।

(৫)
তাওবাহ করেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,560 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...