ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
খালওয়াতে সহীহাহ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
روى البيهقي في سننه عن سعيد بن المسيب أن عمر بن الخطاب رضى الله عنه (قضى في المرأة يتزوجها الرجل: أنه إذا أرخيت الستور فقد وجب الصداق) .
সারমর্মঃ
হযরত ওমর রাঃ এক মহিলা যাকে কোনো পুরুষ বিবাহ করেছিলো, ব্যাপারে ফায়সালা দিয়েছিলেন,
যখন তুমি সতর ছেড়ে দিয়েছিলে (খুলেছিলে) তখনই মোহর ওয়াজিব হয়েছে।
وعن الأحنف بن قيس أن عمر وعليا رضى الله عنهما قالا : (إذا أغلق بابا ، وأرخى سترا: فلها الصداق كاملا ، وعليها العدة) . قال الألباني في "إرواء الغليل" (1937) : "رجاله ثقات" .
সারমর্মঃ
যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য পূর্ণ মোহর দিতে হবে।
وروى ابن المنذر في الأوسط (7273) عن الوليد بن أبي مالك قال: جمع عمر رضي الله عنه نفرا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فيهم معاذ بن جبل، فأجمع رأيهم: أنه إذا أغلق بابا، أو أرخى سترا، فقد وجب المهر.
সারমর্মঃ
যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য মোহর ওয়াজিব হবে।
■ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
إذا طلق الرجل امرأته ثلاثا قبل الدخول بها وقعن عليها فإن فرق الطلاق بانت بالأولى ولم تقع الثانية والثالثة
যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৩)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১, যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাস ও খালওয়াতে সহীহার পূর্বে তিন তালাক একসাথে দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না।
২, খালওয়াতে সহীহা হলো স্বামী স্ত্রী এমন নির্জন স্থানে থাকা যেখানে সহবাসের কোনো প্রতিবন্ধক থাকে না৷ আর এটা সহবাসের হুকুমে ধরা হয়৷ সুতরাং স্ত্রীর জন্য মহর ওয়াজিব হবে ও আলাদা আলাদা ভাবে তিন তালাক দিলে তিন তালাকও পতিত হয়ে যাবে৷