আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
শায়েখ, কিছুদিন যাবত দাঁতের সমস্যার কারণে প্রায় রক্ত পড়ে। অনেক সময় কুলি করার কতক্ষণ পর (২০-৩০ মিনিট বা বেশি-কম) আবার দেখা যায়। খেতে গেলে খাওয়ার পরেও অনেক সময় এরকম দেখা যায়। এ নিয়ে বিভিন্নভাবে বেশ চিন্তা হচ্ছে। বুঝতে পারছি না এগুলো ওয়াসওয়াসা কিনা...
(১) মুখের ভেতর যদি রক্ত থাকে, তবে খাওয়ার সময় খাবার কি নাপাক হয়ে যাচ্ছে? (সাধারণত খেতে বসলে হাতে বা খাবারে কোনো চিহ্ণ দেখা যায় না)
(২) মুখ ধুতে গেলে বা গোসলের সময় কিছু পানি গড়িয়ে ঠোঁটের একটু ভিতরের দিকে চলে যায়। এ সময় হা করলে বা কথা বলতে গেলে বা ভেজা ঠোঁট মোছার সময় ভিতরের অংশ থেকেও কিছু পানি বাইরে চলে আসে। এক্ষেত্রে কি তা নাপাক হয়ে যাবে? এতে রক্তের চিহ্ন না দেখা গেলে কী পাক বিবেচনা করা যাবে?
(৩) ২ নং এ উল্লিখিত অবস্থায় পাক নাকি নাপাক তা বুঝতে পারছিলাম না, আবার কিছুটা তাড়াহুড়াও ছিল। এ অবস্থায় গোসল শেষে গামছা দিয়ে ওই ভেজা ঠোঁট, পুরো শরীর মোছা হয়েছে। এখন কী করণীয়?
এরপর যে পোশাক পড়া হয়েছিল সেটা আবার ঘেমে গিয়েছিল... এগুলো নিয়ে বেশ চিন্তা হচ্ছে।
(৪) কথা বলতে গেলে অনেক সময় ঠোঁট কিছুটা ভিজে ওঠে। এতে কি ঠোঁট নাপাক হয়ে যাবে?
আবার বাইরে গেলে অনেকক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকায় মুখ ঘেমে যায়। এ অবস্থায় ঘাম ঠোঁটের কিছুটা ভিতর হয়ে নিচে গড়িয়ে পড়লে তা নাপাক হয়ে যাবে কি? সবসময় তো কুলি করা সম্ভভ হয় না।
(৫) মুখে রক্তের স্বাদ লাগায় বুঝলাম রক্ত পড়ছে। কিছুক্ষণ পর থুতু ফেলে বা কুলি করে রক্ত দেখা গেল না। (হয়তো পেটে চলে গেছে বা থুতুর ওই অংশে/ ছিটায় রক্ত ছিল না)
তবে এই থুতু কি পাক ধরব? আমি রক্ত না দেখে পাক ভেবে এগুলোর ছিটা সম্পর্কে গুরুত্ব দেইনি...
(৬)
https://ifatwa.info/25621/?show=25621#q25621 তে বলা হয়েছে, কাগজে নাপাকি লাগলে শুকিয়ে গেলে পবিত্র হবে।
টিস্যুর ক্ষেত্রেও কি একই হুকুম? যেহেতু কাগজ আর টিস্যু একইরকম।
ভেজা টিস্যু দিয়ে কোনো জায়গার (যেগুলো মুছে পাক করা হয়) নাপাকি মুছতে গেলে যদি এর অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশগুলো সেখানে লেগে থাকে, সেগুলো শুকিয়ে গেলেই পাক হবে কি?
একসাথে এতগুলো প্রশ্নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বিষয়গুলো নিয়ে অনেক চিন্তা হচ্ছে। এগুলো কি আসলে ওয়াসওয়াসা?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান