আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
179 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
একটি ছেলে বিবাহ করতে চাচ্ছে ফিতনা থেকে বেচে থাকার জন্য। বিবাহ ঠিক হয়ে যাবার পর তার মনে হচ্ছে বিয়েটা এখন ই করা উচিত না। কারণ, ছেলে দায়িত্ব নেয়ার মত অর্থনৈতিক ভাবে এবং মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। অবশ্য এ আশংকটা সত্য। কারণ,  ছেলে দায়িত্ব নেয়ার মত মানসিক ভাবে পরিপক্ব নয়। ছেলের মনে হয় ছেলে মত দিয়ে ভুল করে ফেলেছে। যদিও মত দেয়ার পূর্বে মনে মনে আল্লাহর উপর ভরসা করে নিয়েছিল। এবং পরিস্থিতিতে পড়ে হুট করে মত দিতে হয়েছে। ছেলের এখন মনে হয় না বুঝে মত দিয়েছে। এখন ছেলের মনে বিবাহ ভীতি কাজ করছে। বিয়ের মত পবিত্র আর সুন্দর সম্পর্ক কে ছেলে কঠিন পরীক্ষা বলে ভাবছে।  ছেলে পূর্বে নারী ফিতনায় জড়িত ছিল যার থেকে তাওবা করে অনেকটাই ফিরে এসেছে। এমন কি যার সাথে বিয়ের কথা চলছে তার সাথেও ফিতনায় জড়িয়ে পড়েছিল। তারপর আবার মন থেকে লজ্জিত আর অনুতপ্ত হয়ে ফিরে এসেছে অনেকখানি। আর জড়াবেনা বলে নিয়ত করেছে। ছেলের বাবা ব্যাংকার। বাবার রেখে যাওয়া টাকা আর বাড়ি ভাড়া থেকে চলে। ছেলে জব করত, জবটা ভাল লাগেনা বলে ছেড়ে দিয়েছে কেবল একটা টিউশন করে। ছেলে ইস্তিখারার নামাজ পড়েছে। অনেক দুয়া করেছে কিন্তু এই মনোভাবের পরিবর্তন হয়না। ছেলে আল্লাহর কাছে নিয়মিত তাওবা আর ইস্তিগফার করে। নিয়মিত মাসনুন আমল ও করে। আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়ে সব গুনাহর জন্য মাফ ও চায়। ছেলে অত্যন্ত লজ্জিত আর অনুতপ্ত সব গুনাহর জন্য। ছেলে সব কিছু স্বাভাবিক করতে চায়।
এখন বিয়ে ঠিক হবার পর ছেলের মাথায় যে বিয়ে ভীতি কাজ করছে তা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?  নাকি আল্লাহর কোন সংকেত? কিভাবে বুঝা যাবে?

উল্লেখ্য ছেলে দুশ্চিন্তায় পড়ার পর আমল বাড়িয়ে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
ছেলে তার বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করেছে। তারা বলে- আল্লাহ তোমাকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দুতে চাইছে,তাই শয়তান সেটা বাধাগ্রস্ত করতে আপ্রাণ চেস্টা করছে। এটা কি সত্য?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে সেই ছেলেটি ফিতনাহ থেকে বাঁচতে বিবাহ করতে চাচ্ছে।
প্রশ্নে এটিও উল্লেখ রয়েছে যে ছেলেটি আগে একটি জব করতো,সেই জব ভালো না লাগার কারনে তাহা ছেড়ে দিয়েছে,এখন প্রাইভেট পড়ায়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছেলেটির পক্ষে নতুন কোনো জব খুজে বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে স্ত্রীর ভরনপোষণ সম্ভব।    
তাই তার জন্য বিবাহ শরীয়তের দৃষ্টিতে জরুরী।
ছেলেটির মনে বিবাহ না করা সংক্রান্ত যেই বিষয়গুলি আসছে,এগুলো আসলেই শয়তানের ওয়াসওয়াসা। 
তাই মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে তার জন্য বিবাহ করাটাই উচিত।
,     
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 100 views
...