বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
দু'আ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/185
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) যেহেতু ইস্তেখারার দু'আ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।তাই আরবী ইস্তেখারার দু'আ মুখস্থ থাকলে, উক্ত দু'আকে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর সালাম ফিরানের পূর্বে আরবীতেই পড়া যাবে।
(২) জ্বী, সালাম ফিরানোর পর দেখে দেখে পড়লেও হবে।
(৩)নামাযে কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ ব্যতিত অন্য কোনো দু'আ পড়া যাবে না।
(৪)জ্বী, সিজদায়, কুরআনের আয়াতকে দু'আ হিসেবে পড়া যাবে।তবে দুরুদ পড়ার কোনো নিয়ম নাই।
(৫) সূরায়ে ফাতেহা এবং সূরায়ে বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে হাদীসে অনেক ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।তবে দু'আ প্রথমে বা শেষে পড়তে হবে বলে কোনো হাদীস নেই।
(৬)জ্বী, সালাম ফিরানোর পূর্বে যে কোনো প্রকার দু'আ বা তাসবিহ যা কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত, তা পড়া যাবে।এ হিসেবে ইসমে আ'জমও পড়া যাবে।তবে ইসমে আ'জম পড়তে হবে বলে বিশেষ কোনো হাদীসে নাই।
(৭) জ্বী, সব সময় পড়া যাবে।তবে নামায দীর্ঘ হওয়ার আশংকায় ইমামের জন্য না পড়াই উচিৎ।
(৮) এভাবে বলাটা উচিৎ নয়।বরং বলতে হবে যে, আমার জন্য যদি ফায়দা দায়ক হয়,তাহলে যেন তা কবুল হয়।তারাতারি যদি ফায়দা দায়ক হয়,তাহলে তাড়াতাড়ি যেন কবুল হয়।