ঈমান ও নামাজ নিয়ে একটু জরুরী জানান pls

Question

১) এক লোক কথা প্রসঙ্গে মজা করে বলছিল যার যত সাবস্ক্রাইবার/জনপ্রিয়তা ফেরেস্তারা তাকে আগে জান্নাতে দিবে।

শরীয়ত এর কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করার নিয়ত তার ছিল না।তাকে যখন বলা হয়েছে এসব না বলতে কারণ এসব বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করলে কুফরী হতে পারে তখন সে নিজের ভুল বুঝতে পারে। অর্থাৎ সে আগে থেকে জানত না যে এটা কুফরী হতে পারে।তার কি ঈমান থাকবে?

২)এক লোক এর ছেলে প্রতিদিন দেরীতে যোহরের নামাজ পড়ে দেখে সে রেগে বলেছে নামাজ পড়বি দেড়টার মধ্যে মসজিদে গিয়ে দুইটার পরে কিসের নামাজ এরকম বলেছে। দুইটার পরে কিসের নামাজ এরকম বলার কারণে কি কুফরী হবে? নামাজকে অস্বীকারের কোনো নিয়ত ছিল না তাকে আগে নামাজ পড়ার আদেশ স্বরূপ বলেছিল।

৩)আমার ২দিন ধরে ঠান্ডা লেগেছে একটু পরপরই কাশি আসে। এর আগে এক ফতোয়ায় দেখেছিলাম নামাজে ইচ্ছা করে কাশি দিলে নামাজ ফাসিদ হয়ে যায়। আজকে আমার ঠান্ডা একটু বেশী লেগেছে।নামাজের আগেও ও কাশি আসতেছিল। জুম্মার নামাজের সময় একবার কাশি তেমন চাপ আসেনি কিন্তু হঠাৎ করে (স্বেচ্ছায় না) আস্তে করে কাশি দিয়ে ফেলি।এতে কি নামাজ ফাসিদ হয়ে গেছে?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
নামায ফাসিদ হবে না।

https://www.ifatwa.info/669 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)