আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (80 points)
edited by
১)সমাজে অনেকের নামই মানুষ সংক্ষিপ্ত ভাবে  বলে বা বিকৃত করে বলে

যার নাম বিকৃত করে বলা হয় সে যদি কিছু না মনে করে তাহলে কি গুনাহ্ হবে?

কোনো অমুসলিম/বিধর্মীর নাম বিকৃত করে বললে কি গুনাহ্ হবে?

২)কেউ যদি ভবিষ্যতের কোনো বিষয় অনুমান করে নিশ্চিত হয়ে বলে তাহলে কি শিরক হবে?কারণ ভবিষ্যৎ এ কি হবে তা তো আল্লহ্ ছাড়া কেউ জানে না
কেউ যদি অনুমান করে ভবিষ্যতের বিষয়ে এমন বলে অমুক লোক সেখানে যাবেই দেইখো এতে কি তার ঈমান থাকবে?

৩)যদি অনুমান করে বলা হয় যে এতক্ষণে ১৫ মিনিট হয়ে গেছে শিওর এতে কি ঈমান চলে যাবে?

৪) আসরের নামাজে রুকুতে গেলে তাসবিহ পড়ার সময় প্রথমবার সুবহানা রববিয়াল আজিম পড়ার সময় আজিম এর আইনে পড়তে গিয়ে ভড় না দেওয়ায় উচ্চারন আলিফ এর মত হয়ে যায়।বাকি দুইবার তাসবিহ ঠিক করেই পড়ি। রুকুর তাসবিহ পড়া যেহেতু সুন্নত তাই সাহু সিজদাও দেই নাই।কিন্তু এতে কি লাহনে জলি হয়েছিল? নামাজ কি পুনরায় পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
কারো নামকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা কখনো বৈধ হবে না।তবে সহজতার স্বার্থে কোনো নামের দু-এক অক্ষর বাদ দিয়ে পড়া বৈধ আছে,এক্ষেত্রে কোনো অক্ষর বা আকার উকার (া ে)না লাগানোই উত্তম।কিন্তু যদি বহির্সংযোগ বা অক্ষর হ্রাসের ধরুণ অন্যান্য ধর্মের প্রতীকি নাম বা অনুসারীদের নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায় তাহলে বৈধ হবে না।যেমন সরা যুখরুফের ৭৭আয়াত
ونادوا يملك
কে এক ক্বিরাত অনুযায়ী ونادوا يا مال(জাহান্নামীরা ডাকবে হে মালু-বলে) ও বর্ণিত আছে।উক্ত আয়াতে শেষাক্ষরকে বিলুপ্ত করে পড়া হয়েছে।

(২)
অনুমান করে ভবিষ্যতের কোনো কথা বা শক্ত দলীল প্রমাণের বিত্তিতে নিশ্চিতরূপে ভবিষ্যতের কোনো কথা বলা নাজায়েয বা হারাম হবে না। সুতরাং এভাবে কথা বলার জন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
যদি কেউ অনুমান করে বলে যে, এতক্ষণে ১৫ মিনিট হয়ে গেছে শিওর, এরকম কথা বললে কোনো সমস্যা হবে না,এতে ঈমান যাবে না।

(৪)
আইনের জায়গায় আলিফ বা হামযার মত উচ্ছারণ হয়ে গেলে নামায ফাসিদ হবে না।কেননা ফুকাহাগণ নিকটবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণ কে অর্থ বিগড়ে না যাওয়ার শর্তে রুখসত দিয়ে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...