ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
কুরআনের আয়াতকে সম্মান প্রদর্শন করা অত্যান্ত জরুরী। গাইড বইকে সম্মাণ প্রদর্শন করা অত্যান্ত জরুরী ছিল।এভাবে পায়ের সাথে লাগানো কখনো উচিৎ হয়নি। সুতরাং আপনি ভবিষ্যতে এ দিকে আন্তরিকতার সাথে লক্ষ্য রাখবেন। বর্তমানে পা লাগার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
অজু না থাকার পর অজু ভেঙ্গে গেল, একথা বলার উদ্দেশ্য যদি হয় নিছক মজা করা, তাহলে এতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না।তবে যদি উদ্দেশ্য হয়, ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টাতামাসা করা, তাহলে ঈমান চলে যাবে।
(৩)
উক্ত গাইড পড়া যাবে।তবে হিন্দু শিক্ষা পৃথক রয়েছে, এমন বই বাজারে পাওয়া গেলে, সেই বই ক্রয় করা এবং পড়া উচিৎ।
(৪)
সুবহানা রাব্বিল আ'লাই সঠিক।এবং যেখানে শুধুমাত্র সুবহানাল্লাহ বলা হয়েছে,সেখানে সুবহানাল্লাহ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, সুবহানা রাব্বিল আ'লা।
(৫)
প্রথম বৈঠকে এমনটা করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।তবে শেষ বৈঠকে এমনটা করলে কোনো প্রকার সিজদা ,বা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৬)
রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ না বলেই যদি কেউ সিজদায় চলে যায়, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৭)
সম্পূর্ণ সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।কোনো অংশ ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিতে হবে। তবে সূরায়ে ফাতেহার কোনো অংশ ছুটে যাওয়ার সন্দেহ হলে, শুধুমাত্র সেই সন্দেহের দরুণ সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৮)
জ্বী, বর্ণিত সূরতে নামায হয়ে যাবে।
(৯)
নাসাযে থুথু গিলে ফেললে নামায ফাসিদ হবে না।
(১০)
নামাযে দুই হাত বাধা থাকাবস্থায় কিছুটা নাড়ালে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(১১)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1797
(১২)
এটা ওদী।এদ্বারা আপনার উপর গোসল ফরয হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1689