আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (80 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।

১)আমি পায়ের উপর পা তুলে মোবাইল চালাচ্ছিলাম এবং আমার ওপর হাতে একটি গাইড ছিল। পায়ের উপর পা তুলে শুয়ে থাকা অবস্থায় গাইদটি আমার পায়ে লাগে।কিন্তু এটা আমার মনেই ছিল না যে গাইডটিতে ইসলাম শিক্ষা সাবজেক্ট ছিল।আর ইসলাম শিক্ষা সাবজেক্ট এ তো কুরআনের আয়াত ও হাদিস ও থাকে।যখনই আমি দেখেছি যে এখানে ইসলাম শিক্ষা সাবজেক্ট ও আছে সাথে সাথে গাইড টি আমি রেখে দিয়েছি।আমার কি ঈমান থাকবে?

২) এক্ ব্যাক্তির অজু আগে থেকেই ছিল না।তবুও সে অন্যজনকে মজা করে বলেছিল যে আয়হায় অজু ভেঙে গেল।যদিও মজা করে মিথ্যা বলাও গুনাহ কিন্তু এতে কি ঈমান চলে যাবে?তার অজু নিয়ে বা ইসলামের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা করার কোনো নিয়ত ছিল না
৩) আমরা পাঠ্যবইয়ের জন্য যে গাইড কিনি সেসব গাইডে একই বইয়ের মধ্যে শুরুর দিকে সমাজ সাবজেক্ট থাকে পরের অংশে ইসলাম শিক্ষা থাকে পরের অংশে হিন্দু ধর্ম শিক্ষা থাকে। স্কুলের পড়ার প্রয়োজনে কিনতে হয়।এখন এই একই বইয়ের শেষের অংশে যে হিন্দু ধর্ম শিক্ষা ও আছে এই বই কি পড়া যাবে? প্রথমে ইসলাম শিক্ষা যেহেতু আছে সেখানে কুরআনের আয়াত ও থাকে।আবার একই বইতে হিন্দুদের বানীও আছে।অন্য কোনো উপায় নাই কারন সব প্রকাশনী একই ভাবেই একসাথে করে গাইড বানায়।এটা পড়া যাবে?

৪)নামাজে তিন তাসবিহ চুপ থাকলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় জানি।অনেক হানাফি আলেমদের কাছে শুনেছি তিন তাসবিহ হলো তিনবার সুবহান আল্লহ। আবার আপনাদের ফতোয়ায় দেখেছি তিন তাসবিহ হলো তিনবার সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা। এক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?

৫) নামাজে প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ দুইবার পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় জানি। যদি তাশাহুদের কিছু অংশ বা কিছু শব্দ যেমন ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ এতটুকু দুইবার পড়লে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? কারণ অনেক সময় কোনো শব্দ উচ্চারণে ভূল হয়ে যায় সেই শব্দ পুনরায় উচ্চারন করলেও কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?

৬) রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ না বলেই সিজদায় চলে গেলে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?

৭) সূরা ফাতিহার কোনো আয়াত বাদ পরেছে এমন সন্দেহ হলে যদি সাহু সিজদা দেই তাহলে কী নামাজ শুদ্ধ হবে?

৮)একদিন ঈশার নামাজের ২রাকাতসুন্নত পড়ার সময় দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর অন্য সূরা না মিলিয়েই আল্লহু আকবার বলে হাত ছেড়ে দেই রুকুতে যাওয়ার আগেই মনে পরে।কিন্তু আল্লহু আকবার বলে হাত ছেড়ে দেওয়ায় বাকী নামাজ শেষ করে শেষে সাহু সিজদা দেই আমার কি নামক হয়েছে?

৯)নামাজে থুথু/কফ গিলে ফেললে কি নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে?

১০)দুই হাত বাঁধা অবস্থায় নরালে কি নামাজ ফাসিদ হবে? অনেকসময় নামাজে দুই হাত কেউ বেশি নিচে বেধে ফেলি।তখন দুই হাত বাঁধা অবস্থায় গায়ের সাথে লেগে থাকা অবস্হায় দু হাত একটু উপরে উঠালে কি নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে?

১১) মসজিদে গিয়ে দেখি নামাজ শেষ হয়ে গেছে।তাই একজনের সাথে আমি এশার নামাজ জামাতে পড়ি। ইমামতি আমিই করেছিলাম।আমার কয়েকদিন যাবত নামাজের মধ্যে শেষ বৈঠকে বসার পর সন্দেহ হয় যে নামাজ ৩ রাকাত পড়লাম নাকি ৪ রাকাত পড়লাম।আজকেও যথারীতী এশার নামাজের শেষ বৈঠকে এমন সন্দেহ হলে আমি সাহু সিজদা দিয়ে দেই।আমার কি নামাজ শুদ্ধ হয়েছে?আর যদি আমি এক রাকাত না পড়ি তাহলে তো পিছনের মুসল্লি তাকবীর দেওয়ার কথা তিনি কোনো লোকমা দেননি নামাজ শেষে কিছু বলেনও নি সালাম ফিরানোর পরে চলে গেছেন।এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে নামাজ হল কি না।এরকম সন্দেহ প্রতিদিন ই হয়।এখন কি নামাজ হয়েছে ধরে নিব?যেহেতু পিছনের মুসল্লি ও কোনো লোকমা দেন নি তাহলে কি নামাজ ঠিক আছে ধরে নিব?

১২)আমার মাঝে মাঝে প্রশাবের পর/গোসলের পর মুছে ফেলারও অনেকক্ষণ পর লজ্জাস্থানের রাস্তায় সামান্য এক ফোটার ও কম প্রসাব এসে থাকে। মাগরিবের নামাজের আগে চেক করলে দেখি লিঙ্গ  পরিষ্কার আছে। মাগরিবের ও অনেক পরে লিঙ্গের বাহিরে কোনো কিছু দেখি নাই কিন্তু লিঙ্গের ফোটা একটু ফাঁকা করে দেখি লিঙ্গের ফোটার ভিতরে সামান্য পরিমাণ এক ফোটাও হবে না এতটুকু তরল এসে আছে। সেটা সম্পূর্ন সাদা ছিল।আমার দেখে সন্দেহ হচ্ছিল বীর্জ কিনা দেখতে ঐরকম সাদা ছিল।যদিও বাহিরে আসেনি কিন্তু পরে বাহিরে আসতে পারে এজন্য আমি তা টিস্যু দিয়ে মুছে নিয়েছি। উল্লেখ্য যে ওই সময়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় মত কোনো খারাপ চিন্তাও করি নাই এবং আমি হস্তমৈথুন ও করি না আমার কোনো উত্তেজনাই আসে নাই।তাহলে কি আমার গোসল ফরজ হবে?আমি এরপর এশার নামাজ আদায় করেছি আমার নামক হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
কুরআনের আয়াতকে সম্মান প্রদর্শন করা অত্যান্ত জরুরী। গাইড বইকে সম্মাণ প্রদর্শন করা অত্যান্ত জরুরী ছিল।এভাবে পায়ের সাথে লাগানো কখনো উচিৎ হয়নি। সুতরাং আপনি ভবিষ্যতে এ দিকে আন্তরিকতার সাথে লক্ষ্য রাখবেন। বর্তমানে পা লাগার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
অজু না থাকার পর অজু ভেঙ্গে গেল, একথা বলার উদ্দেশ্য যদি হয় নিছক মজা করা, তাহলে এতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না।তবে যদি উদ্দেশ্য হয়, ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টাতামাসা করা, তাহলে ঈমান চলে যাবে।
(৩)
উক্ত গাইড পড়া যাবে।তবে হিন্দু শিক্ষা পৃথক রয়েছে, এমন বই বাজারে পাওয়া গেলে, সেই বই ক্রয় করা এবং পড়া উচিৎ।

(৪)
সুবহানা রাব্বিল আ'লাই সঠিক।এবং যেখানে শুধুমাত্র সুবহানাল্লাহ বলা হয়েছে,সেখানে সুবহানাল্লাহ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, সুবহানা রাব্বিল আ'লা।

(৫)
প্রথম বৈঠকে এমনটা করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।তবে শেষ বৈঠকে এমনটা করলে কোনো প্রকার সিজদা ,বা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

(৬)
রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ না বলেই যদি কেউ সিজদায় চলে যায়, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

(৭)
সম্পূর্ণ সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।কোনো অংশ ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিতে হবে। তবে সূরায়ে ফাতেহার কোনো অংশ ছুটে যাওয়ার সন্দেহ হলে, শুধুমাত্র সেই সন্দেহের দরুণ সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

(৮)
জ্বী, বর্ণিত সূরতে নামায হয়ে যাবে।

(৯)
নাসাযে থুথু গিলে ফেললে নামায ফাসিদ হবে না।

(১০)
নামাযে দুই হাত বাধা থাকাবস্থায় কিছুটা নাড়ালে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(১১)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1797

(১২)
এটা ওদী।এদ্বারা আপনার উপর গোসল ফরয হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1689


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...