বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ মুকীম অবস্থায় জহর, আসর ও
ইশার নামাজ চার রাকাত করে ও মুসাফির অবস্থায় দুই রাকাত করে পড়তে হবে। হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ
صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ
فَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي الْحَضَرِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ
وَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي السَّفَرِ الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا
رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ بَعْدَهَا شَيْئًا
وَالْمَغْرِبَ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ سَوَاءً ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لاَ تَنْقُصُ
فِي الْحَضَرِ وَلاَ فِي السَّفَرِ وَهِيَ وِتْرُ النَّهَارِ وَبَعْدَهَا
رَكْعَتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . سَمِعْتُ
مُحَمَّدًا يَقُولُ مَا رَوَى ابْنُ أَبِي لَيْلَى حَدِيثًا أَعْجَبَ إِلَىَّ مِنْ
هَذَا وَلاَ أَرْوِي عَنْهُ شَيْئًا .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি
নিজ এলাকায় থাকার সময় এবং সফরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
-এর সাথে নামায আদায় করেছি। বাড়িতে থাকার সময় তাঁর সাথে যুহরের (ফরয)নামায চার
রাকা’আত আদায় করেছি। অতঃপর দুই রাকা’আত (সুন্নাত) নামায আদায় করেছি। সফরে তাঁর
সাথে যুহরের (ফরয) নামায দুই রাকা’আত আদায় করেছি। অতঃপর দুই রাকা’আত (সুন্নাত)
নামায আদায় করেছি। আসরের (ফরয) নামায দুই রাকা’আত আদায় করেছি। তারপর তিনি আর কোন
নামায আদায় করেননি। মাগরিবের (ফরয) নামায সফরে ও বাসস্থানে সমানভাবে তিন রাকা’আত
আদায় করেছি। এটা সফরে ও বাসস্থানে কম হয় না। আর এটাই হল দিনের বিতরের (বেজোড়)
নামায। তারপর দুই রাকা’আত (সুন্নাত) আদায় করেছি। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-
৫৫২
■ হায়েজ অবস্থায় অবস্থায় তো পবিত্রতাই অর্জন
করা সম্ভব নয়। তাই এ ক্ষেত্রে আসলে নামাজ পড়ার কোন সুযোগই নেই। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ هِشَامٍ،
بِإِسْنَادِ زُهَيْرٍ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ : " فَإِذَا أَقْبَلَتِ
الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي الدَّمَ
عَنْكِ وَصَلِّي " .
হিশাম (রহঃ) যুহাইর সূত্রে উপরোক্ত অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন। নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঋতুস্রাব আসলে সলাত ছেড়ে দিবে আর ঋতুস্রাবের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে
নিয়ে (গোসল করে) সলাত আদায় করবে।
বুখারী (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ
হায়িযের রক্ত ধোয়া, হাঃ ৩০৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ মুস্তাহাযা এবং তার গোসল ও সালাত,আবু দাউদ ২৮৩)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু উক্ত নামাজগুলো চার রাকাত করে
পড়া আপনার উপর আবশ্যক ছিলো। কিন্তু আপনি দুই রাকাত করে পড়েছেন। তাই উক্ত নামাজগুলো এখনও
আপনার জিম্মায় থেকে গেছে। তাই এখন আপনি ৮ ও ৯ তারিখের ইশা, জহর
ও আসরের নামাজ চার রাকাত করে কাজা করে নিবেন।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু ফজরের আগেই মাসিক সেরে
গিয়েছে। তাই ফজরের নামাজ পড়া আবশ্যক ছিলো। কিন্তু যেহেতু তা আদায়
করা হয়নি তাই এখন উক্ত ফজরের নামাজ কাজা আদায় করতে হবে।