আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
525 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
২ বছর আগে আমার এক বোনের প্রথম বিয়ে হয়....  তার স্বামি তাকে ব্ল্যাকমেইল করে জোরপূর্বক বিয়ে করে... সেই লোকের আরও একজন স্ত্রী আছে... তাদের সন্তান ও আছে... কিন্তু সে তার ১ম স্ত্রীকে তার ২য় বিয়ের ব্যাপারে কিছুই জানায়নি.... আমার বোনের প্রতিও সে প্রচুর জুলুম করেছে... আমার বোন তার কাছে তালাক চাইলে  সে তালাক দিতে রাজি হয়নি....          আমার বোন তার কাছে খোলা নিতে চাইলে তিনি রাজি হন... আবার কিছুদিন পর তা অস্বীকার করে....  এই অবস্থায় আমার বোন তার পরিবারকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করেন.. এবং তার সাথে সংসার ও করছেন.....  এখন তার এই বিয়ে কি সহিহ হয়েছে ??...  যদি না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি???....

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো বিবাহিত মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক  প্রাপ্তা হওয়ার আগ পর্যন্ত বা তার স্বামী মৃত বরন করে তার ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য কোথাও বিবাহ বসতে পারবেনা।
যদি সে বিবাহ বসে,সেটা শরয়ী দৃষ্টি কোন থেকে বিবাহ বলে গন্য হবেনা।
সম্পুর্ন নাজায়েজ তথা হারাম হবে।
এই সংসার পুরোপুরি ভাবে যেনা হবে।
,
কুরআন কারীমে যে সমস্ত নারীদের বিবাহ করা হারাম বলা হয়েছে,তার মধ্যে এটাও রয়েছে।
আল্লাহ পাক বলেন 
والمحصنات من النساء إلا ما ملكت أيمانكم
(সুরা নিসা ২৪)
 
তাফসিরে মাযহারীতে আছেঃ 
والمحصنات من النساء عطف علی أمہاتکم یعني حرمت علیکم المحصنات من النساء أي ذوات الأزواج لا یحل للغیر نکاحہن ما لم یمت زوجہا أو یطلقہا، وتنقضي عدتہا من الوفاۃ أو الطلاق۔ (تفسیر المظہري ۲؍۲۷۴ زکریا)
যার সারমর্ম হলো যতক্ষন তার স্বামী তাকে তালাক না দিবে,বা মারা না যাবে,ততক্ষন পর্যন্ত অন্য কোথাও সেই মহিলার বিবাহ বসা হারাম।  
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী এবং বাদাইয়ুস সানায়ে' গ্রন্থে এসেছেঃ  
لا یجوز للرجل أن یتزوج زوجۃ غیرہ وکذٰلک المعتدۃ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۲۸۰ زکریا، بدائع الصنائع ۶؍۲۷۲)
কোনো পুরুষের জন্য অন্যের স্ত্রিকে বিবাহ করা জায়েজ নেই। 
এটা হারাম।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা এখনো ১ম স্বামীর স্ত্রী হিসেবেই বহাল আছেন,তার ২য় বিবাহ ছহিহ হয়নি।
,
তার জন্য উচিত হলো দ্রুত এই সংসার ছেড়ে দিয়ে ১ম স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়া।
আল্লাহর কাছে নিজ গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মাফ চাইতে হবে,তওবা করতে হবে।
,
★১ম স্বামীর সাথে ঘরসংসার না করতে চাইলে পারিবারিকভাবে বসে তালাক নিতে পারে।
বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহনা করা যেতে পারে।

★অথবা নিকাহনামার ১৮ নং ধারাতে যদি স্ত্রী তালাকে তাফবীজ তথা স্বামীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকে,তাহলে স্ত্রী নিজেও নিজেকে তালাক দিয়ে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবে।  

,
উল্লেখ্য যে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  পুরুষদের একাধিক বিবাহের জন্য স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
অনুমতি না নিলেও পুরুষদের একাধিক বিবাহ জায়েজ।                


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
বাসায় একজন ঈমাম ডেকে শুধু দোয়া পড়িয়ে  আমার বোনের ১ম বিয়ে হয়.... সেক্ষেত্রে আইনি ভাবে তালাক নেয়ার কোনো উপায় নেই...  কিন্তু বিয়ের সময় তার স্বামী   তাকেও তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়েছিলেন ....  কিন্তু এখন তার স্বামী  কোনোভাবেই তালাক দিতে রাজি না.... সেক্ষেত্রে আমার বোন কিভাবে তালাক নিবে???.... আমার বোন তার ২য় স্বামীর কাছেই থাকতে চায়.....                                
by
আমার বোন তার ১ম স্বামীর সাথে মিমাংসা করেই খোলা নিয়ছিল.. কিন্তু ইদ্দত শেষ হওয়ার আগেই সে ২য় বিয়ে করে.... আবার ইদ্দত শেষ হওয়ার অনেক পরে তার ১ম স্বামী তাকে আবারও স্ত্রী বলে দাবি করে.... এখন আমার বোন তার ২য় স্বামীর কাছেই থাকতে চায়.... সেক্ষেত্রে  তার করনীয় কি????                                   

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...