উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহিত মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক প্রাপ্তা হওয়ার আগ পর্যন্ত বা তার স্বামী মৃত বরন করে তার ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য কোথাও বিবাহ বসতে পারবেনা।
যদি সে বিবাহ বসে,সেটা শরয়ী দৃষ্টি কোন থেকে বিবাহ বলে গন্য হবেনা।
সম্পুর্ন নাজায়েজ তথা হারাম হবে।
এই সংসার পুরোপুরি ভাবে যেনা হবে।
,
কুরআন কারীমে যে সমস্ত নারীদের বিবাহ করা হারাম বলা হয়েছে,তার মধ্যে এটাও রয়েছে।
আল্লাহ পাক বলেন
والمحصنات من النساء إلا ما ملكت أيمانكم
(সুরা নিসা ২৪)
তাফসিরে মাযহারীতে আছেঃ
والمحصنات من النساء عطف علی أمہاتکم یعني حرمت علیکم المحصنات من النساء أي ذوات الأزواج لا یحل للغیر نکاحہن ما لم یمت زوجہا أو یطلقہا، وتنقضي عدتہا من الوفاۃ أو الطلاق۔ (تفسیر المظہري ۲؍۲۷۴ زکریا)
যার সারমর্ম হলো যতক্ষন তার স্বামী তাকে তালাক না দিবে,বা মারা না যাবে,ততক্ষন পর্যন্ত অন্য কোথাও সেই মহিলার বিবাহ বসা হারাম।
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী এবং বাদাইয়ুস সানায়ে' গ্রন্থে এসেছেঃ
لا یجوز للرجل أن یتزوج زوجۃ غیرہ وکذٰلک المعتدۃ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۲۸۰ زکریا، بدائع الصنائع ۶؍۲۷۲)
কোনো পুরুষের জন্য অন্যের স্ত্রিকে বিবাহ করা জায়েজ নেই।
এটা হারাম।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা এখনো ১ম স্বামীর স্ত্রী হিসেবেই বহাল আছেন,তার ২য় বিবাহ ছহিহ হয়নি।
,
তার জন্য উচিত হলো দ্রুত এই সংসার ছেড়ে দিয়ে ১ম স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়া।
আল্লাহর কাছে নিজ গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মাফ চাইতে হবে,তওবা করতে হবে।
,
★১ম স্বামীর সাথে ঘরসংসার না করতে চাইলে পারিবারিকভাবে বসে তালাক নিতে পারে।
বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহনা করা যেতে পারে।
★অথবা নিকাহনামার ১৮ নং ধারাতে যদি স্ত্রী তালাকে তাফবীজ তথা স্বামীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকে,তাহলে স্ত্রী নিজেও নিজেকে তালাক দিয়ে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবে।
,
উল্লেখ্য যে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পুরুষদের একাধিক বিবাহের জন্য স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
অনুমতি না নিলেও পুরুষদের একাধিক বিবাহ জায়েজ।