وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা হলো রাসুলুল্লাহ সাঃ মাটির তৈরী।
ইরশাদ হয়েছে-
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلاً صَالِحًا وَلا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا (110
অনুবাদ-বলুন, আমিও তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের মাবুদ হল একজন। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে। {সূরা কাহাফ-১১০}
আরো জানুনঃ
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِن طِينٍ (71
অনুবাদ-যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেস্তাদের বললেন-আমি মাটির তৈরী মানুষ সৃষ্টি করব। {সূরা সোয়াদ-৭১}
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الإِنسَانَ مِن صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُونٍ (26
অনুবাদ-নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি পঁচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা। {সূরা হিজর-২৮}
অন্যত্র আরো ইরশাদ হয়েছে-
خَلَقَ الإِنسَانَ مِن صَلْصَالٍ كَالْفَخَّارِ (14) وَخَلَقَ الْجَانَّ مِن مَّارِجٍ مِّن نَّارٍ (15)
অনুবাদ-তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুস্ক মৃত্তিকা থেকে এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে। {সূরা আর রাহমান-১৪,১৫}
আরো ইরশাদ হয়েছে-
هُوَ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن تُرَابٍ
অনুবাদ-তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি দ্বারা। {সূরা মুমিন-৬৭}
,
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
বুযুর্গদের কবর -যেখানে যিয়ারত করা হয় তাকে মাজার বলে। সাধারন ভাবে কবর যিয়ারত দ্বারা বেশ কিছু ফায়দা হয় যেমন কলব নরম হয়, মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়, আখিরাতের চিন্তা বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি। বিশেষ ভাবে বুজুর্গদের কবর যিয়ারত করলে তাদের রূহানী ফয়েযও লাভ হয়।
এতটুকুই আকীদা রাখা যাবে,এর চেয়ে বাড়িয়ে শরীয়ত বহির্ভূত কোনো আকীদা রাখা যাবেনা।
,
পীর মুর্শিদ যদি হকপন্থি হয়,তাহলে তারা শিক্ষকের ন্যায়।
শরীয়ত বহির্ভূত না হলে তাদের দেওয়া সবক আদায় করা যাবে।
শরীয়ত বহির্ভূত কোনো আকীদা রাখা যাবেনা।
,
(০৩)
এ সংক্রান্ত হাদীস গুলো সম্পর্কে বেশিরভাগ মুহাদ্দিসিনে কেরামগন জাল বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তাই এটি হাদীস দ্বারা প্রমানীত কথা নয়।
এমনটি না বলাই উচিত।
(০৪)
عليه السلام ‘আলাইহিস সালাম।
’ অর্থ, তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
যারা নবী নন,তাদের নামের শেষে সরাসরি আলাইহিস সালাম বলা জায়েজ নয়।
হ্যাঁ যদি আম্বিয়ায়ে কেরামদের নাম আলোচনার সাথে তারা ব্যাতিত অন্য কোনো নেককারদের নামও আলোচনা করা হয়,তাহলে শেষে তাবে' হিসেবে আলাইহিস সালাম বলা,লেখা ছহীহ আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৯০,আহসানুল ফাতওয়া ৯/৩৫,)
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/১০২)
★সুতরাং ইমাম হুসাইন রাঃ হযরত আলী রাঃ এএ নামের শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামের সাথেই যদি তাদের নাম বলা হয়,তাহলে শেষে আলাইহিস সালাম বলা যাবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ