আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,441 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
প্রশ্ন-
১। লিআন কী? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত লিখুন।
২। জিহার কী? এর কাফফারা কী? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত লিখুন।

প্রশ্ন-
১। লিআন কী? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত লিখুন।
২। জিহার কী? এর কাফফারা কী? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত লিখুন।

প্রশ্ন-
১। লিআন কী? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত লিখুন।
২। জিহার কী? এর কাফফারা কী? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত লিখুন।

1 Answer

+1 vote
by (57,240 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাবঃ-
লিআন ও জিহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলোঃ
★ জিহার সম্পর্কে ,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الَّذِينَ يُظَاهِرُونَ مِنكُم مِّن نِّسَائِهِم مَّا هُنَّ أُمَّهَاتِهِمْ إِنْ أُمَّهَاتُهُمْ إِلَّا اللَّائِي وَلَدْنَهُمْ وَإِنَّهُمْ لَيَقُولُونَ مُنكَرًا مِّنَ الْقَوْلِ وَزُورًا وَإِنَّ اللَّهَ لَعَفُوٌّ غَفُورٌ
তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। তাদের মাতা কেবল তারাই, যারা তাদেরকে জন্মদান করেছে। তারা তো অসমীচীন ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।

وَالَّذِينَ يُظَاهِرُونَ مِن نِّسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُودُونَ لِمَا قَالُوا فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مِّن قَبْلِ أَن يَتَمَاسَّا ذَلِكُمْ تُوعَظُونَ بِهِ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, অতঃপর নিজেদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাদের কাফফারা এই একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসকে মুক্তি দিবে। এটা তোমাদের জন্যে উপদেশ হবে। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর।

فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ مِن قَبْلِ أَن يَتَمَاسَّا فَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ فَإِطْعَامُ سِتِّينَ مِسْكِينًا ذَلِكَ لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ
যার এ সামর্থ্য নেই, সে একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একাদিক্রমে দুই মাস রোযা রাখবে। যে এতেও অক্ষম হয় সে ষাট জন মিসকীনকে আহার করাবে। এটা এজন্যে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণা দায়ক আযাব।(সূরা মুজাদালাহ-২-৪)

যদি আপনি মুখ দ্বারা উচ্ছারণের মাধ্যমে আপনি আপনার মাহরাম মহিলার কোনো অঙ্গের সাথে আপনার স্ত্রীকে তুলনা করে থাকেন,তাহলে তখন যিহার হবে। তখন কাফফারা আদায় করতে হবে।

كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই।
তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে।{ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/102

★লি'আন মানে হচ্ছে অভিসম্পাত করা।
স্বামী,স্ত্রী একে অপরের উপর।
লি'আন করতে হয় কাজি বা বিচারকের
মজলিসে।
ছাহাবায়ে কেরামের আমলে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা পরবর্তীতে বিধান হিসাবে গণ্য হয়েছে। তন্মধ্যে নি‘আন অন্যতম। এখানে লি‘আন প্রবর্তনের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।- সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির (রাঃ) আছিম ইবনু আদির নিকট আসলেন। তিনি ছিলেন আজলান গোত্রের সর্দার। উয়াইমির তাঁকে বললেন, তোমরা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে কি বল, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষ দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে? এরপর তো তোমরা তাকেই হত্যা করবে অথবা সে কি করবে? তুমি আমার পক্ষ হ’তে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস কর। তারপর আছিম নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল...। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের প্রশ্ন অপসন্দ করলেন। তারপর উয়াইমির (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের প্রশ্ন অপসন্দ করেছেন ও দূষণীয় মনে করেছেন। তখন উয়াইমির বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পেলে সে কি তাকে হত্যা করবে? তখন তো আপনারা তাকে (কিছাছ স্বরূপ) হত্যা করে ফেলবেন। অন্যথা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রী সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন অবতীর্ণ করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে লি‘আন করার নির্দেশ দিলেন; যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তারপর উয়াইমির তার স্ত্রীর সঙ্গে লি‘আন করলেন। এরপর বললেন, (এরপরও) যদি আমি তাকে রাখি, তবে তার প্রতি আমি যালিম হব। তারপর তিনি তাকে তালাক দিয়ে দিলেন। অতএব তাদের পরবর্তী লোকদের জন্য, যারা পরস্পর লি‘আন করে এটি সুন্নাতে পরিণত হ’ল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, লক্ষ্য কর! যদি মহিলাটি একটি কালো ডাগর চক্ষু, বড় পাছা ও বড় পা ওয়ালা বাচ্চা জন্ম দেয়, তবে আমি মনে করব, উয়াইমিরই তার সম্পর্কে সত্য বলেছে এবং যদি সে লাল গিরগিটির মত একটি লাল বর্ণের সন্তান প্রসব করে তবে আমি মনে করব, উয়াইমির তার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে। এরপর সে এমন একটি সন্তান প্রসব করল, যার গুণাবলী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উয়াইমির সত্যবাদী হওয়ার পক্ষে বলেছিলেন। তারপর সন্তানটিকে মায়ের দিকে সম্পর্কযুক্ত করে পরিচয় দেয়া হ’ত (বুখারী হা/৪৭৪৫, ৫২৫৯)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, সাহল ইবনু সা‘দ সাঈদী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির আজলানী (রাঃ) আছিম ইবনু আদী আনছারী (রাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, হে আছিম! কী বল, যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে অপর লোককে (ব্যভিচার-রত অবস্থায়) পায়, তবে সে কি তাকে হত্যা করবে? আর এতে তোমরাও কি তাকে হত্যা করবে? যদি সে হত্যা না করে) তাহ’লে কি করবে? হে আছিম! তুমি আমার এ ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস কর। এরপর আছিম (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ অপসন্দ করলেন এবং অশোভনীয় মনে করলেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে আছিম (রাঃ) যা শুনলেন, তাতে তার খুব খারাপ লাগল। আছিম (রাঃ) বাড়ি ফিরলে উয়াইমির এসে জিজ্ঞেস করল, হে আছিম! রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তোমাকে কি উত্তর দিলেন? আছিম (রাঃ) উয়াইমিরকে বললেন, তুমি আমার কাছে কোন ভাল কাজ নিয়ে আসনি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ ধরনের জিজ্ঞাসাকে অপসন্দ করেছেন, সে সম্বন্ধে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি। উয়াইমির (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস না করে ক্ষান্ত হব না। এরপর উয়াইমির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে তাঁকে লোকদের মাঝে পেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কী বলেন, কেউ যদি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য লোককে (ব্যভিচাররত) দেখতে পায়, সে কি তাকে হত্যা করবে? আর আপনারাও কি তাকে হত্যার বদলে হত্যা করবেন? অন্যথা সে কি করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রীর সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, যাও তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাঃ) বলেন, তারা উভয়ে লি‘আন করল। যে সময় আমি লোকদের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে ছিলাম। উভয়ে লি‘আন করা শেষ করলে উয়াইমির বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসাবে রাখি, তবে আমি তার উপর মিথ্যারোপ করেছি বলে প্রমাণিত হব। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে নির্দেশ দেয়ার আগেই তিনি স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেয়াই পরবর্তীতে লি‘আনকারীদ্বয়ের সম্পর্কিত বিধান প্রচলিত হয়ে গেল’ (বুখারী হা/৫৩০৮)।

পরিশেষে বলব, যেনা-ব্যভিচার কোন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারী-পুরুষ মেনে নিতে পারে না। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে যায়, তখন প্রত্যেক রুচিশীল পুরুষ তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিনতা কামনা করে। কারণ স্ত্রী তার অপকর্মের কথা স্বীকার করে না। এক্ষেত্রে লি‘আন এমন এক বিধান যার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে অভিশাপ করে এবং পরে তারা পৃথক হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদেরকে ব্যভিচারের মত জঘণ্য পাপ থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন-আমীন।

লি'আন মানে হচ্ছে অভিসম্পাত করা।
স্বামী,স্ত্রী একে অপরের উপর।
লি'আন করতে হয় কাজি বা বিচারকের
মজলিসে।
#মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র
ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) সাঈদ
ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, মূসআরের স্ত্রীর ব্যাপারে
আমাকে দুই লি-আনকারীর মাসআলা
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে,
তাদের বিচ্ছিন্ন করা হবে কি না। তিনি
বলেন, তখন আমি কী বলব তা আমার
ভাষা ছিল না এরপর আমি মক্কায় ইবনু
উমর (রাঃ)-এর বাসভবনে গেলাম। আমি
তার গোলামকে বললাম, আমার জন্য
অনুমতি নিয়ে এসো। সে বলল, তিনি এখন
বিশ্রাম নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি আমার
কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। তিনি বললেন,
ইবনু জুবায়র? আমি বললাম, হাঁ। তিনি
বললেন, ভিতরে এসো। আল্লাহর কসম!
এই সময় তোমার বিশেষ প্রয়োজনই নিয়ে
এসেছে। আমি ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলাম
তিনি একটি কম্বল বিছিয়ে একটি বালিশের
উপর হেলান দিয়ে আছেন। বালিশটি খেজুর ছোবড়ায় ভর্তি ছিলো। আমি বললাম, হে
আবূ আবদুর রহমান! দু-জন লি আনকারী-
এদের কি পৃথক করা হবে? তিনি বললেন,
সুবহানাল্লাহ! হাঁ। সর্বপ্রথম এই বিষয়ে
অমুকের পুত্র অমুক জিজ্ঞাসা করেছিল।
সে বলেছিল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি কী
বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কেউ তার
স্ত্রীকে অম্লীল কাজে লিপ্ত দেখতে পায়
তাহলে সে কী করবে? যদি সে বলাবলি করে তাহলে তো গুরুতর আকার ধারণ করবে। যদি সে নীরব থাকে, তাহলে এমন সাংঘাতিক বিষয়ে কি করে নীরব থাকবে। তিনি বলেন,
তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম চুপ রইলেন; কোন উত্তর
দিলেন না। সে ব্যক্তি আবার তার কাছে
এসে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! যে বিষয়টি
সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমি আপনাকে
জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার নিজের
উপরই তা ঘটেছে। তখন আল্লাহ সূরা
নূরের এই আয়াত গুলো নাযিল করেন-
আর যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ
আরোপ করে অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত
তাদের কোন সাক্ষী নেই- তাদের
প্রত্যেকের সাক্ষ্যের ধরন হরে এই যে, সে
চারবার আল্লাহর নামে কসম করে বলবে,
সে অবশ্যি সত্যবাদী এবং পঞ্চমবার
বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর
আল্লাহর লানত বর্ষিত হবে। আর স্ত্রীর
শাস্তি রহিত করা হবে যদি সে চারবার
আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দেয় যে,
তার ,(স্বামীই মিথ্যাবাদী এবং পঞ্চমবারে
বলবে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার
নিজের উপর নেমে আসবে আল্লাহর
গযব” (সূরা নূর :৬-৯)।
তিনি তাকে এই আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে শোনালেন। এরপর তাকে নসীহত করলেন এবং স্বরণ করিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না-। সেই মহান সত্তার কসম- যিনি আপনাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিসেবে সত্যসহ পাঠিয়েওয়াসাল্লাম হিসেবে সত্যসহ পাঠিয়েছেন,
আমি তার (আমার স্ত্রীর) উপর কোন
মিথ্যা আরোপ করি নি। এরপর তিনি
মহিলাকে ডেকে পাঠালেন এবং এবং তাকে
নসীহার করলেন, তাকে পরকালের ভয়
দেখালেন, সর্বোপরি তাকে জানিয়ে
দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের
শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না
সেই মহান সত্তার কসম-যিনি আপনাকে
সত্যসহ প্রেরন করেছেন, নিশ্চয়ই সে
মিথ্যাবাদী। এরপর পুরুষ লোকটির দ্বারা
লিআন বাক্য পাঠ করাতে শুরু করলেন।
তখন সে চারবার আল্লাহর নামে কসম
করে সাক্ষ্য দিল যে, সে তার কথায়
সত্যবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে
মিথ্যবাদী হয় তা হলে তার উপর
আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসুক। এরপর
তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম স্ত্রীলোকটিকে ডেকে
পাঠালেন। সে ও আল্লাহর নামে কসম করে
চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে মিথ্যাবাদী।
পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে (তার স্বামী)
সত্যবাদী হয় তাহলে তার (মহিলার) উপর
আল্লাহর গযব পতিত হোক। উল্লেখিত পন্থায় জিহার হওয়ার দ্বারা বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
কেউ যদি স্ত্রী তালাক দিয়ে তাঁকে হিলা বিবাহ না দিয়ে নিজেই তার সাথে সংসার করে তাহলে এমন মানুষের পিছনে কি নামাজ হবে?জানাবেন প্লিজ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...