ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রসাবের পরবর্তী টিস্যু ব্যবহার করার পর কখনো কখনো টিস্যুর খুবই ছোট অংশ অনিচ্ছাকৃত ভাবে পুরুষাঙ্গের খাজে আটকিয়ে থাকে, যদি টিস্যুতে প্রস্রাব ইত্যাদি আটকিয়ে থাকে, তাহলে ঐ টিস্যু ইত্যাদি নাপাক। তবে নাপাকি এক দিরহাম পরিমাণ না হলে ঐ নাপাকি নিয়ে নামায হয়ে যায়, সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে নামায হয়ে যাবে। হ্যা, টিস্যু ইত্যাদিকে পরিস্কার করে নেওয়াই উত্তম বলে বিবেচিত হবে। যেমন আমরা https://www.ifatwa.info/118 নং ফাতাওয়ায় সুবিস্তারে বর্ণনা করেছি যে,
নাজাসতে গালিজাহ
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ
নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)
সে সম্পর্কে বলা হয়,
ভাবার্থঃ-ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, টিস্যু নাপাক হয়ে যাবে। লিঙ্গের ভিতরের অংশে পানি ঢালার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।বরং বাহিরের অংশকে ধৌত করে নিলেই পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে।