আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১- বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই আমি ঘরে খিমার,নিকাব পড়ে পর্দা শুরু করলাম, যেহেতু আমার দেবর বাসায় থাকে।

কিন্তু এটা নিয়ে শশুড়বাড়িতে কেউ কেউ আমাকে অনেক কটু কথা শুনাতে শুরু করলো।
তখন আমি আমার স্বামীকে ব্যাপারটা জানালাম।

এটা কি তবে গীবত হবে?
আমার স্বামী অনেক সময় এ ব্যাপারে মানুষিক সাপোর্ট দেয়, অনেক সময় ফ্যামিলিকে বলে, আবার অনেক সময় চুপচাপ থাকে।

২- আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করতেছিল, তোমার শাশুড়ি কি খুশি কিনা?

তখন আমি বললাম, না। আমি পর্দা করি দেখে আমাকে কটু কথা শুনায়। এটা কি গীবত হবে?

৩- আমি এ ব্যাপারে আমার স্বামী, আর আমার মা/বাবা ছাড়া প্রথমে কাউকে বলিনি।
কিন্তু উনিই দেখি আমার আত্নীয় স্বজন আসলে বলে বেড়ায় পর্দা নিয়ে। আর সাথে আরো অনেক দোষ বলে। আমার সামনেই।

আর মাঝে মাঝে বলে, আমি যা বলার সামনেই বলি।

তাই মাঝে মাঝে দেখা যায়, আমাকেই বলতে হয় আমার আত্নীয় স্বজনকে। কেন এত দোষ খোজে, এর ব্যাখ্যার জন্য।

এটা কি গীবত হবে?

৪- আস্তে আস্তে দেখা গেল এই কটু কথার পরিমাণ বাড়তে লাগলো। আমি অনেক কষ্ট পেতাম।

তখন আমার কাছের ২ জন বান্ধুবীর সাথে কিছুটা শেয়ার করছি।

এরমধ্যে একজন দ্বীনি। তাই সে এই ব্যাপারে আমাকে ভালো ভালো পরামর্শ দিতো। কষ্ট লাগব করার চেষ্টা করতো।
আর আরেকজন বান্ধুবী জিজ্ঞেস করছিল,পর্দার ব্যাপারটা কিভাবে দেখে শশুড়বাড়িতে?

তখন বলেছি।

এটা কি গীবত হয়ছে।

৫- উল্লেখ্য যে, পর্দাটা যে পছন্দ করছে না। সে আমাকেও বলে, আমার আত্নীয় স্বজনের সামনেও প্রকাশ্যে বলে।
আমাকে একটু বেশি শুনায়, আর এর পর থেকে কাজেও বেশি ভুল ধরে।

আমাকে অলস বলে। আমার আত্নীয়ের সামনেও বলে।

তো এগুলা তো সবই আমার উপর জুলুম।

তাহলে কি আমি বলতে পারব এভাবে?

আর না পারলে কতটুক বলতে পারব, কতটুক পারব না?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك.
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনার বিবরণ অনুযায়ী তা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
গীবত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1715

(২)
না, এটাও গীবত হবে না।

(৩)
না, এটাও গীবত হবে না।

(৪)
না, এটাও গীবত হয়নি।

(৫)
জ্বী, আপনি বাস্তবতা সবার সামনে বলে দিতে পারেন।এটা গীবত হবে না।এবং এজন্য আপনার গোনাহও হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 285 views
...