আসসালামু আলাইকুম,
১- বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই আমি ঘরে খিমার,নিকাব পড়ে পর্দা শুরু করলাম, যেহেতু আমার দেবর বাসায় থাকে।
কিন্তু এটা নিয়ে শশুড়বাড়িতে কেউ কেউ আমাকে অনেক কটু কথা শুনাতে শুরু করলো।
তখন আমি আমার স্বামীকে ব্যাপারটা জানালাম।
এটা কি তবে গীবত হবে?
আমার স্বামী অনেক সময় এ ব্যাপারে মানুষিক সাপোর্ট দেয়, অনেক সময় ফ্যামিলিকে বলে, আবার অনেক সময় চুপচাপ থাকে।
২- আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করতেছিল, তোমার শাশুড়ি কি খুশি কিনা?
তখন আমি বললাম, না। আমি পর্দা করি দেখে আমাকে কটু কথা শুনায়। এটা কি গীবত হবে?
৩- আমি এ ব্যাপারে আমার স্বামী, আর আমার মা/বাবা ছাড়া প্রথমে কাউকে বলিনি।
কিন্তু উনিই দেখি আমার আত্নীয় স্বজন আসলে বলে বেড়ায় পর্দা নিয়ে। আর সাথে আরো অনেক দোষ বলে। আমার সামনেই।
আর মাঝে মাঝে বলে, আমি যা বলার সামনেই বলি।
তাই মাঝে মাঝে দেখা যায়, আমাকেই বলতে হয় আমার আত্নীয় স্বজনকে। কেন এত দোষ খোজে, এর ব্যাখ্যার জন্য।
এটা কি গীবত হবে?
৪- আস্তে আস্তে দেখা গেল এই কটু কথার পরিমাণ বাড়তে লাগলো। আমি অনেক কষ্ট পেতাম।
তখন আমার কাছের ২ জন বান্ধুবীর সাথে কিছুটা শেয়ার করছি।
এরমধ্যে একজন দ্বীনি। তাই সে এই ব্যাপারে আমাকে ভালো ভালো পরামর্শ দিতো। কষ্ট লাগব করার চেষ্টা করতো।
আর আরেকজন বান্ধুবী জিজ্ঞেস করছিল,পর্দার ব্যাপারটা কিভাবে দেখে শশুড়বাড়িতে?
তখন বলেছি।
এটা কি গীবত হয়ছে।
৫- উল্লেখ্য যে, পর্দাটা যে পছন্দ করছে না। সে আমাকেও বলে, আমার আত্নীয় স্বজনের সামনেও প্রকাশ্যে বলে।
আমাকে একটু বেশি শুনায়, আর এর পর থেকে কাজেও বেশি ভুল ধরে।
আমাকে অলস বলে। আমার আত্নীয়ের সামনেও বলে।
তো এগুলা তো সবই আমার উপর জুলুম।
তাহলে কি আমি বলতে পারব এভাবে?
আর না পারলে কতটুক বলতে পারব, কতটুক পারব না?