বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বপ্নের আদাব হচ্ছে, স্বপ্ন দেখার পর যে কাউর কাছে ব্যক্ত না করা, বিজ্ঞ কোন হিতাকাঙ্খি জন দেখে বর্ণনা করা।
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে.......
سٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ».
হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
স্বপ্নে নামায পড়া বা কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখার ব্যখ্যা হল, নিজের আমল ও ঈমানের উন্নতি হবে।
(২)
জ্বী, শয়তান ক্ষতি করার চেষ্টা করে।এবং সে সর্বদাই মানুষকে বিপথগামী করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
(৩)
যখন মানুষ বেশী বেশী ইবাদতে লিপ্ত হয়,তখনই শয়তান রেগে যায়।
(৪)
জ্বী , এগুলো রহমত ও বরকতের আলামত।
(৫)
নিজের ভালো জন্য দু'আ করা শুধু উত্তম নয় বরং জরুরীও বটে।
(৬)
জ্বী, ভালো কোনো আলেমের নিকট স্বপ্নবৃত্তান্ত বর্ণনা করা যাবে।এবং উনার নিকট থেকে তা'বির তথা ব্যখ্যা গ্রহণ করা যাবে।