১) পূর্বের ফতোয়াতে আপনারা বলেছেন
""তবে যে সব গেমসে কোনো জীবজন্তুর ছবি এবং উল্লেখিত গোনাহর বিষয়গুলো থাকে না। যেমন, বিমান, হুণ্ডা, হেলিকপ্টার, রকেট, নৌযান, সাবমেরিন, গাড়ী, জাহাজ, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি। অথবা জীবজন্তু হলেও খুব ছোট কিংবা অস্পষ্ট হওয়ার কারণে নাক, কান, চোখ, মুখ ইত্যাদি বুঝা যায় যায় না, বরং এগুলোকে কেবল নকশার মতো মনে হয়। সেসব গেমস কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিনোদন লাভের উদ্দেশ্যে খেলা জায়েয আছে। শর্তগুলো হলো-১. তাতে জুয়া থাকতে পারবে না। ২. নামাজ নষ্ট হতে পারবে না। ৩. বান্দার হক নষ্ট হতে পারবে না। ৪. লেখাপড়া ও জরুরি কাজে কোনো ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারবে না। ৫. খেলায় একেবারে বিভোর হওয়া যাবে না।
এসব শর্তের কোনো একটি শর্ত অনুপস্থিত থাকলে এজাতীয় গেমসও খেলা জায়েয হবে না। (মাহমুদিয়া : ১৭/৩১৮)""
এখানে যে গেম খেলি শেখানে সবগুলা শর্তই মানা সম্ভব। কিন্তু আপনি বলেছেন জীবজন্তুর ছবি থাকা যাবে না।আমি যে গেম খেলি সেখানে জীবজন্তুর সরাসরি ছবি থাকে না কার্টুন আকারে থাকে তবে এখানে বেপর্দা নারীর ছবি বন্ধ করা যায়, মিউজিক বন্ধ করা যায় এবং কোন অশ্লীল দৃশ্য নাই।আর এই কার্টুন স্থির থাকে না অর্থাৎ গেমের কার্টুন ছবি আকারে না ভিডিওর মত থাকে। এমতাবস্থায় কেবল বিনোদনের জন্যে উল্লিখিত শর্ত মেনে গেম খেললেও কি হারাম হবে?
২)এর আগে ফুটবল গেম খেলা নিয়ে জানতে চেয়েছি আপনি সেটা বলেছেন হারাম হবে না তবে মাকরুহ হবে।কিন্তু আমি একটা তথ্য দিতে ভুলে গেছি তাহলো ফুটবল গেমে খেলোয়াড় কার্টুন হলেও কার্টুন গুলোর হাঁটু দেখা যায়। অর্থাৎ ওপর পুরুষের সতর দেখা যায়।তাহলে কি তা হারাম হবে?
৩)কেউ যদি হারাম কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে বা আল্লাহর উপর ভরসা রাখে তাহলে কি কুফরী হবে?
৪)আরেকটা গেম আছে সেখানে একটা খেলোয়াড় গোল দিলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দুই আঙ্গুল তুলে। বাস্তব জীবনেও সেই প্লেয়ার গোল দিলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দুই আঙ্গুল তুলে। শেই প্লেয়ার বাস্তব জীবনে অমুসলিম।এখানে সে হয়তো দুই আঙ্গুল তুলে তারা যে তথাকথিত ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তার কৃতজ্ঞতা জানায় যদিও আমি বিষয়টা নিশ্চিত না। অনুরূপভাবে গেমে ওই প্লেয়ার গোল দেয়ার পর একই কাজ করে আমি স্কিপ করি নাই।আগে এ নিয়ে কোনো জ্ঞান ছিল না।আমার আজকে এরপরে মনে হয় যে এটা আমার ভুল হইছে আমার স্কিপ করা উচিত ছিল।তারপর থেকে আমার অনুতপ্ত অনুভাব হচ্ছে।এখন আমার কি ঈমান ঠিক আছে?আমি কখনোই কুফরী বিশ্বাস রাখি নাই সবসময়ই আমি আল্লাহ্ করি রব হিসেবে মানি
৫)বন্ধুবান্ধব একে অপর মজা করার সময় বাংলা বা ইংলিশ বানান/বাক্য জানা সত্বেও ভুল বানান/বাক্য লেখে।তবে কোনো মিথ্যা কিছু না লিখলে এতে কি গুনাহ হবে?
এরকম মজা করে লেখতে গিয়ে কেউ যদি বানান জানা সত্ত্বেও good কে god লেখে তাহলে কি কুফরী হবে?(অন্তরে কোনো কুফরী নিয়ত না থাকলে)
বি দ্রঃ যে লিখেছে সে শরীয়তের এই বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ
১)আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি কি করছি।আমি তখন উত্তরে বলেছিলাম কুরআন পড়ছি।আমি কুরআন এ আয়তুল কুরসী পড়ছিলাম।আমি যখন আমার মাকে কুরআন পড়ার কথা বলি তখন মূলত ধারাবাহিক পড়ার কথাই বুঝাই। তাহলে এখন কুরআন পড়লেও যেহেতু নির্দিষ্ট একটি আয়াত পড়ছিলাম আমার বলা এই কথাটি কি মিথ্যা হয়েছে?
আর আমি এটা বলার সময় হারাম মনে করে বলি নাই এটা যদি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে কি আমার ঈমান থাকবে?