بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো,
أَىُّ
النِّسَاءِ خَيْرٌ قَالَ الَّتِى تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ
‘কোন নারী উত্তম? তিনি (সা.) উত্তরে বললেন, যে স্বামীকে আনন্দিত
করে যখন সে (স্বামী) তার দিকে তাকায়।’ (নাসাঈ হা/৩২৩১; মিশকাত
হা/৩২২৭; ছহীহাহ হা/১৮৩৮)।
ইসলামে নারীর সাজের ব্যাপারে রয়েছে কিছু বিধি-নিষেধ।
এমনকি ৪টি সাজকে পুরোপুরি হারাম করেছে।
১.ঘণ্টাযুক্ত নুপুর পরা: একদিন মা আয়েশা
(রা.) এর নিকট কোনো এক বালিকা বাজনাদার নুপুর পরে আসলে তিনি তাকে বললেন: খবরদার! তা
কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (সুনানে আবু
দাউদ হাদিস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদিস : ৫২৩৭)।
সহিহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হলো,
শয়তানের বাদ্যযন্ত্র। (সহিহ মুসলিম
হাদিস : ২১১৪)।
২.কপালে টিপ পড়া: আসুন আজ আমরা জেনে
নেই টিপ কোথা থেকে এসেছে?
আর কেনই বা রাসূল (সা.) নারীদের কপালের মধ্যেখানে বড় ধরনের টিপ
পড়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করার জন্য চড়ক
স্থাপন করেছিল; তখন ফেরেশতারা অন্যপ্রান্ত থেকে বাধা দিচ্ছিল।
তখন শয়তান এসে নমরুদের লোকেদের পরামর্শ দিয়েছিল, যখন ফেরেশতারা
বাধা দেবে তখন তাদের সামনে খারাপ নারীদের এনে রাখতে। যাদের কপালে টিপ থাকবে এবং তারা
উলঙ্গ থাকবে। এতে করে রহমতের ফেরেশতারা দূরে সরে যাবে। তাই করা হলো। নারীদের উলঙ্গ
করে এনে সামনে বসিয়ে দেয়া হলো। অতঃপর রহমতের ফেরেশতারা চলে গেল। তখন থেকে নারীদের কপালে
টিপ দেয়া বিধানটি ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। কারণ এটি খারাপ কর্মে লিপ্ত নারীদের প্রতিক
হিসেবে ধরা হতো।
তবে যে সব নারীরা কপালে টিপ দিয়ে থাকেন।
তারা সবাই দুশ্চরিত্রা বা খারাপ এই কথাটি কোনো ভাবেই বলা যাবে না। তবে না জেনেই সাধারণত
নারীরা এই কাজটি করে থাকেন। আশাকরি খারাপ দৃষ্টি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবেন। কপালে
টিপ পড়বেন না।
৩.পরচুলা বা নকল চুল লাগানো: হজরত ইবনে
উমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, যে নারী পরচুলা লাগায়, লাগিয়ে দেয় আর লাগাতে
বলে। এছাড়া যে নারী গায়ে উল্কি আঁকে তাদেরকে অভিশাপ দেন রাসূল (সা.)। বর্তমানে নারীদেরকে
দেখা যায় শরীরের বিভিন্ন অংশে অঙ্কন করে। যা ইসলামে পুরোপুরি নিষিদ্ধ কাজ। এমনকি এই
পাপাচার মানুষকে পথভ্রষ্ট করে ফেলে।
৪.ভ্রু প্লাক করা: স্বামী চাইলেও কপালের
পশম চাঁছা ও ভ্রু প্লাক করা ইসলামে জায়েজ নেই। কেননা এর দ্বারা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন
করা হয়। যার অনুমতি ইসলামে নেই। এভাবে মুখে বা হাতে সুই ফুটিয়ে নকশা আঁকা বা ট্যাটু
করাও বৈধ নয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক ওই নারীদের ওপর, যারা দেহাঙ্গে
উল্কি উত্কীর্ণ করে এবং যারা করায়, যারা ভ্রু চেঁছে সরু (প্লাক)
করে ও যারা সৌন্দর্য বৃদ্ধির মানসে দাঁতের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং যারা আল্লাহর
সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। (বোখারি, হাদিস : ৪৮৮৬)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নেলিখিত ছুরতে প্রয়োজনের খাতিরে
ফাঁকা দাত ঠিক করা জায়েয আছে।যেহেতু মানব জীবনে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিধায় আপনি
আপনার দাঁত ঠিক করতে পারবেন, যদি উক্ত সমস্যার
কারণে আপনার বিয়েতে সমস্যা হয়।