জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো মেয়েদের জন্য নাচ নাজায়েজ, কবিরা গুনাহ।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ
মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা অজ্ঞতায় লোকেদেরকে আল্লাহ্র পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসাড় বাক্য বেছে নেয় এবং আল্লাহ্র প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লুকমান ৬ আয়াত)
ইবনে মাসঊদ রাযি. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, واللهِ الذي لا إله إلا هو إن لهو الحديث لهو الغناء ‘সেই আল্লাহ্র কসম যিনি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই! নিশ্চয় তা (অসার বাক্য) হচ্ছে গান।’ (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৮/৩,৪)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রহ. বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৪১)
কোরআন মজীদের অন্য আয়াতে আছে, ইবলিস-শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে সম্বোধন করে বলেন,
وَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ بِصَوْتِكَ وَأَجْلِبْ عَلَيْهِم بِخَيْلِكَ وَرَجِلِكَ وَشَارِكْهُمْ فِي الأَمْوَالِ وَالأَوْلادِ وَعِدْهُمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلاَّ غُرُورًا
তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ দ্বারা, স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর, তাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তিতে শরীক হয়ে যা এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দে। ছলনা ছাড়া শয়তান তাদেরকে কোন প্রতিশ্রুতি দেয় না। (সূরা ইসরা ৬৪)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রহ. বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেসব বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। (ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৯)
নাচ গানের বিধান জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামীকে খুশী করতে মাঝে মধ্যে যদি স্ত্রী মিউজিক ছাড়া নাচে,তাহলে সেটার রুখসত থাকবে।
তবে পর-পুরুষের সামনে বা নিয়মিত নাচা কখনো অনুমোদনযোগ্য হবে না।
আরো জানুনঃ
,
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أحد أبو ي بلقيس كان جنيا ضعيف - رواه ابن عدي (177 / 1) عن سعيد بن بشير عن قتادة عن النضر بن أنس عن بشير بن نهيك عن أبي هريرة مرفوعا
বিলকীসের পিতা-মাতার একজন জীন ছিল।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু আদী (১/১৭৭) সাঈদ ইবনু বাশীর হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, তিনি নাযর ইবনু আনাস হতে, তিনি বাশীর ইবনু নাহীক হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
,
বিলকিস কাকে বিবাহ করেছিলেন,তাহা হাদীসে পাইনি।
তবে তার বিবাহ সংক্রান্ত অনেক মত ইতিহাসের গ্রন্থে রয়েছে।
অনেকেই বলেছেন যে বিলকিস মুসলমান হওয়ার পর হযরত সুলাইমান আঃ তাকে বিবাহ করেছিলেন।
قال مسلمة بن عبد الله بن ربعي: لما أسلمت بلقيس تزوجها سليمان بن داود ومهرها باعلبك.
সারমর্মঃ
মাসলামাহ বিন আবদিল্লাহ বিন রবয়ী বলেন,যখন বিলকিস ইসলাম গ্রহন করেছিলেন,তাকে হযরত সুলাইমান আঃ বিবাহ করেছিলেন।
,
,
(০৩)
★প্রশ্নে উল্লেখিত যিকির কুরআন হাদীসে নেই।
এগুলো শরীয়ত অনুমোদিত নয়।
(০৪)
হ্যাঁ এটি হাদীস শরীফে আছে।
তবে হাদীসটি জয়ীফ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَاشِمِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ لَعِقَ الْعَسَلَ ثَلاَثَ غَدَوَاتٍ كُلَّ شَهْرٍ لَمْ يُصِبْهُ عَظِيمٌ مِنَ الْبَلاَءِ "
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন ভোরবেলা মধু চেটে চেটে খেলে সে মারাত্মক কোন বিপদে আক্রান্ত হবে না।
ইবনু মাজাহ ৩৪৫০, য‘ঈফাহ্ ৭৬৩, য‘ঈফুল জামি‘ ৫৮৩১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৪০৮, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ২৭৭, শু‘আবুল ঈমান ৫৯৩০,মিশকাত ৪৫৭০।)
(০৫)
উল্লেখিত হাদীসটি হলোঃ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مَطَرٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ يَا نَافِعُ قَدْ تَبَيَّغَ بِيَ الدَّمُ فَالْتَمِسْ لِي حَجَّامًا وَاجْعَلْهُ رَفِيقًا إِنِ اسْتَطَعْتَ وَلاَ تَجْعَلْهُ شَيْخًا كَبِيرًا وَلاَ صَبِيًّا صَغِيرًا فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " الْحِجَامَةُ عَلَى الرِّيقِ أَمْثَلُ وَفِيهِ شِفَاءٌ وَبَرَكَةٌ وَتَزِيدُ فِي الْعَقْلِ وَفِي الْحِفْظِ فَاحْتَجِمُوا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَاجْتَنِبُوا الْحِجَامَةَ يَوْمَ الأَرْبِعَاءِ وَالْجُمُعَةِ وَالسَّبْتِ وَيَوْمَ الأَحَدِ تَحَرِّيًا وَاحْتَجِمُوا يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالثُّلاَثَاءِ فَإِنَّهُ الْيَوْمُ الَّذِي عَافَى اللَّهُ فِيهِ أَيُّوبَ مِنَ الْبَلاَءِ وَضَرَبَهُ بِالْبَلاَءِ يَوْمَ الأَرْبِعَاءِ فَإِنَّهُ لاَ يَبْدُو جُذَامٌ وَلاَ بَرَصٌ إِلاَّ يَوْمَ الأَرْبِعَاءِ أَوْ لَيْلَةَ الأَرْبِعَاءِ "
ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে নাফে! আমার রক্তে উচ্ছাস দেখা দিয়েছে (রক্তচাপ বেড়েছে)। অতএব আমার জন্য একজন রক্তমোক্ষণকারী খুঁজে আনো, আর সম্ভব হলে সদাশয় কাউকে আনবে। বৃদ্ধ বা বালককে আনবে না। কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ বাসি মুখে রক্তমোক্ষণ করালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং তাতে জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। অতএব আল্লাহর বরকত লাভে ধন্য হতে তোমরা বৃহস্পতিবার রক্তমোক্ষণ করাও, কিন্তু বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবারকে রক্তমোক্ষণ করানোর জন্য বেছে নেয়া থেকে বিরত থাকো। সোম ও মঙ্গলবারে রক্তমোক্ষণ করাও, কেননা এ দিনই আল্লাহ আইউব (আ) -কে রোগমুক্তি দান করেন এবং বুধবার তাকে রোগাক্রান্ত করেন। আর কুষ্ঠরোগ ও ধবল বুধবার দিনে বা রাতেই শুরু হয়।
(ইবনে মাজাহ ৩৪৮৭)
মিরকাতুল মাফাতিহ গ্রন্থে এসেছেঃ
(الْحِجَامَةُ عَلَى الرِّيقِ)
অর্থাৎ খাওয়ার ও পান করার পূর্বে তথা খালি পেটে শিঙ্গা লাগাবে।
★সুতরাং এখানে মুখ ধোয়া বা না ধোয়া উভয় ক্ষেত্রেই ফজিলত লাভ হবে।
(০৬)
হযরত আলি বিন আবি তালিব রাঃ এর স্ত্রী সংখ্যা অনেক।
তবে তিনি কখনো এক সাথে চারের অধিক স্ত্রী রাখেননি।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মতে আলী রাঃ এর স্ত্রী সংখ্যা ছিলো মোট নয়জন।
1. فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم وأولاده منها الحسن والحسين وزينب الكبرى وأم كلثوم الكبرى.
2. أم البنين بنت حزام وأولاده منها العباس وجعفر وعبد الله وعثمان وقد استشهدوا مع الحسين بكربلاء ولا عقب لهم إلا العباس.
3. ليلى بنت مسعود اليتيمة، وولده منها أبو بكر وعبد الله..
4. أسماء بنت عميس، وولده منها يحيى ومحمد وقيل عون.
5. أم حبيبة بنت ربيعة التغلبية، وهي الصهباء وولده منها عمر ورقية، وقد عاش عمر بن علي هذا حتى بلغ خمسا وثمانين سنة وحاز نصف ميراث علي ومات بينبع.
6. أمامة بنت العاص بن الربيع، أمها زينب بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم وولده منها محمد الأوسط.
7. الحنفية خولة بنت جعفر وولده منها محمد الأكبر المعروف باسم محمد بن الحنفية.
8. أم سعيد بنت عروة الثقفية، وولده منها أم الحسن ورملة,.
9. محياة بنت امرئ القيس الكلبية وولده منها جارية، توفيت وهي صغيرة، وكانت تخرج إلى المسجد فيقال لها: من أخوالك؟ فتقول: وه وه تعني كلبا.
وله بنات وبنون أخر رضي الله عنه وأرضاه، وجميع أولاده لصلبه أربعة عشر ذكرا وسبع عشرة أنثى.
এক, ফাতেমা রাঃ, যিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মেয়ে ছিলেন।
দুই, উম্মুল বানিন বিনতে হিযাম।
তিন, লায়লা বিনতে মাসউদ।
চার, আসমা বিনয়ে উমাইস।
পাঁচ, উম্মে হাবিবা বিনতে রবিয়া।
ছয়, উমামাহ বিনতে আস বিন রবী'।
সাত, খাওলাহ বিনতে জাফর।
আট, উম্মে সায়ীদ বিনতে উরওয়াহ।
নয়, মাহইয়াহ বিনতে ইমরাউল কায়েস।
★তার স্ত্রীদের পরবর্তীতে কার সাথে বিবাহ হয়েছে,সে সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসারে পাইনি।
,
(০৭)
এখানে সুঠাম দেহ বলতে এমন দেহ বুঝানো উদ্দেশ্য, যেট বেশি দীর্ঘ কিংবা বেশি খাটো নয়।
মাঝামাঝি।
খুব আকর্ষণীয় দেহ।
বেশি মোটা নয়,চিকনও নয়,মাঝামাঝি।
হ্যাঁ আমাদের নবিও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّهُ سَمِعَهُ , يَقُولُ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ ، وَلَا بِالْقَصِيرِ ، وَلَا بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ ، وَلَا بِالآدَمِ ، وَلَا بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ ، وَلَا بِالسَّبْطِ ، بَعَثَهُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ ، وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً ، وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ " .
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব দীর্ঘ ছিলেন না আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি ধবধবে সাদা কিংবা বাদামী বর্ণেরও ছিলেন না। তাঁর চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না, আবার একদম সোজাও ছিল না। ৪০ বছর বয়সে আল্লাহ তা’আলা তাকে নবুওয়াত দান করেন। এরপর মক্কায় ১০ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর কাটান। আল্লাহ তা’আলা ৬০ বছর বয়সে তাঁকে ওফাত দান করেন। ওফাতকালে তাঁর মাথা ও দাড়ির ২০টি চুলও সাদা ছিল না। সহীহ বুখারী, হা/৫৯০০; সহীহ মুসলিম, হা/৬২৩৫; মুয়াত্তা মালেক, হা/১৬৩৯; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৫৪৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৬১৮৯; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৭৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৮৭।
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبْعَةً ، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلا بِالْقَصِيرِ ، حَسَنَ الْجِسْمِ ، وَكَانَ شَعْرُهُ لَيْسَ بِجَعْدٍ , وَلا سَبْطٍ أَسْمَرَ اللَّوْنِ ، إِذَا مَشَى يَتَكَفَّأُ "
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমাকৃতির ছিলেন। বেশি লম্বা কিংবা বেশি খাটোও ছিলেন না। তাঁর দেহ ছিল খুব আকর্ষণীয়। আর তাঁর চুল বেশি কোঁকড়ানো কিংবা একেবারে সোজাও ছিল না। তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের। পথ চলতে তিনি সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চলতেন।
মুসনাদে আবু ই’আলা, হা/৩৮৩২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৬৪০।
مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ هُرْمُزَ ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، قَالَ : " لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالطَّوِيلِ , وَلا بِالْقَصِيرِ ، شَثْنُ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ ، ضَخْمُ الرَّأْسِ ، ضَخْمُ الْكَرَادِيسِ ، طَوِيلُ الْمَسْرُبَةِ ، إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ تَكَفُّؤًا , كَأَنَّمَا يَنْحَطُّ مِنْ صَبَبٍ ، لَمْ أَرَ قَبْلَهُ , وَلا بَعْدَهُ مِثْلَهُ
আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি দীর্ঘ কিংবা বেশি খাটো ছিলেন না। তাঁর হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল। তাঁর মাথা ছিল কিছুটা বড় এবং হাত-পায়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। বুক হতে নাভি পর্যন্ত পশমের একটি সরু রেখা প্রলম্বিত ছিল। যখন পথ চলতেন মনে হতো যেন কোন উঁচু স্থান হতে নিচে অবতরণ করছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর পূর্বে কিংবা পরে আমি তাঁর মতো (অনুপম আকর্ষণীয়) আর কাউকে দেখিনি। মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৪৬; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৪১৯৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩১১।
(০৮)
সাহাবায়ে কেরামদের সম্পর্ক এমন তথ্য পাইনি।
পিতা মাতার সহিত এক বাসাতেই থাকার কথা পাওয়া যায়।
,
(০৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم - يَعْنِي فِي غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ - فَأَصَابَ رَجُلٌ امْرَأَةَ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَحَلَفَ أَنْ لَا أَنْتَهِي حَتَّى دَمًا فِي أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ فَخَرَجَ يَتْبَعُ أَثَرَ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم مَنْزِلاً فَقَالَ مَنْ رَجُلٌ يَكْلَؤُنَا فَانْتَدَبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ " كُونَا بِفَمِ الشِّعْبِ " . قَالَ فَلَمَّا خَرَجَ الرَّجُلَانِ إِلَى فَمِ الشِّعْبِ اضْطَجَعَ الْمُهَاجِرِيُّ وَقَامَ الأَنْصَارِيُّ يُصَلِّي وَأَتَى الرَّجُلُ فَلَمَّا رَأَى شَخْصَهُ عَرَفَ أَنَّهُ رَبِيئَةٌ لِلْقَوْمِ فَرَمَاهُ بِسَهْمٍ فَوَضَعَهُ فِيهِ فَنَزَعَهُ حَتَّى رَمَاهُ بِثَلَاثَةِ أَسْهُمٍ ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَدَ ثُمَّ انْتَبَهَ صَاحِبُهُ فَلَمَّا عَرَفَ أَنَّهُمْ قَدْ نَذِرُوا بِهِ هَرَبَ وَلَمَّا رَأَى الْمُهَاجِرِيُّ مَا بِالأَنْصَارِيِّ مِنَ الدَّمِ قَالَ سَبْحَانَ اللهِ أَلَا أَنْبَهْتَنِي أَوَّلَ مَا رَمَى قَالَ كُنْتُ فِي سُورَةٍ أَقْرَأُهَا فَلَمْ أُحِبَّ أَنْ أَقْطَعَهَا .
জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যাতুর রিক্বা' যুদ্ধাভিযানে বের হলাম। তখন এক ব্যক্তি মুশরিকদের এক লোকের স্ত্রীকে হত্যা করে। ফলে ঐ মুশরিক এ মর্মে শপথ করে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মাদের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সাথীর রক্তপাত না করব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি ক্ষ্যান্ত হব না। অতএব সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জায়গায় অবতরণ করে বললেনঃ এমন কে আছো, যে আমাদের পাহারা দিবে? তখন মুহাজিরদের থেকে একজন এবং আনসারদের থেকে একজন তৈরি হয়ে গেলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা দু’জনে গিরিপথের চূড়ায় মোতায়েন থাক। উভয়ে গিরিমুখে পৌঁছলে মুহাজির লোকটি ঘুমিয়ে পড়েন। আর আনসারী লোকটি দাঁড়িয়ে সলাত আদায়ে মশগুল হন।
এমন সময় ঐ লোকটি এসে আনসারী লোকটিকে দেখেই চিনে ফেলল। সে বুঝতে পারল তিনি (প্রতিপক্ষের) নিরাপত্তা প্রহরী। অতএব সে তাঁর প্রতি একটি তীর নিক্ষেপ করল, যা তার দেহে বিঁধে গেল। তিনি তা বের করে নিলেন। সে একে একে তিনটি তীর নিক্ষেপ করল। তিনি রুকু' সাজদাহ্ করে (যথারীতি সলাত শেষ করে) সাথীকে জাগালেন। সাহাবীগণ সর্তক হয়ে গিয়েছেন, এটা টের পেয়ে মুশরিক লোকটি পালিয়ে গেল। মুহাজির সাহাবী আনসার সাহাবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বললেন, সুবহানাল্লাহ! প্রথম তীর নিক্ষেপের পরই আমাকে সর্তক করেননি কেন? তিনি বললেন, আমি (সলাতে) এমন একটি সূরাহ তিলাওয়াত করছিলাম যা ভঙ্গ করতে আমি পছন্দ করিনি।
(সুনানে আবু দাউদ ১৯৮.আহমাদ (৩/৩৪৩, ৩৫৯), ইবনু খুযাইমাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৩৬)
(১০)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
مَنۡ کَانَ عَدُوًّا لِّلّٰہِ وَ مَلٰٓئِکَتِہٖ وَ رُسُلِہٖ وَ جِبۡرِیۡلَ وَ مِیۡکٰىلَ فَاِنَّ اللّٰہَ عَدُوٌّ لِّلۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۹۸﴾
. যে কেউ আল্লাহ, তার ফেরেশতাগণ, তার রাসূলগণ এবং জিবরীল ও মীকাঈলের শত্রু হবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের শক্র।
(সুরা বাকারা ৯৮)
★জিবরীল তাদের শক্র হবে; সে শুধু এজন্যই শক্র হবে যে, তিনি আল্লাহর নির্দেশে যার উপর ইচ্ছা ওহী নিয়ে অবতরণ করে থাকেন। তারা আল্লাহর ফেরেশতা ও তার বিধানের বিরোধিতার জন্য জিবরীলের সাথে শক্রতা করবে।
জিবরাইল(আ) হচ্ছে ধ্বংস এবং যুদ্ধের ফেরেশতা। তারা তাঁর বাণী মানবে না। তাঁর কারণে তাদের পূর্ব পুরুষরা অনেক শাস্তি পেয়েছে, কারণ তিনি এর আগের নবীদের عليه السلام কাছেও বাণী নিয়ে গেছেন এবং সেই বাণী না মানার কারণে তারা অনেক শাস্তি পেয়েছে। একারণে জিবরাইল(আ) হয়ে গেছেন তাদের দৃষ্টিতে: মৃত্যুর অশনি সঙ্কেত। একারণে তাঁকে তারা নিজেদের শত্রু মনে করা শুরু করে।
★মিকাইল আঃ যেহেতু বৃষ্টি,মেঘ ইত্যাদির দায়িত্ব পালন করতেছেন,তাই তারা মিকাইল আঃ এর উপরে নিজস্ব কারনে শত্রুতা রাখতেন।
(যেমন বৃষ্টি পাওয়া না পাওয়া ইত্যাদি ।)
(১১,১২,১৩)
আদাব শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মান, শ্রদ্ধা।
নমস্কার শব্দের অর্থঃ
নম কথাটির অর্থ 'প্রণাম', 'অভিবাদন', 'সম্মাননা' বা 'নত হওয়া' এবং কার কথার অর্থ 'কার্য' বা 'করা' ('কৃ' ধাতুর কর্ম কারক)। অর্থাৎ, নমস্কার কথাটির আভিধানিক অর্থ হল "প্রণাম করা" বা "সম্মান করা"।
নমন্তে শব্দের অর্থঃ
তোমাকে প্রণাম"।
অমুসলিমদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন স্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করার অবকাশ রয়েছে।
তাকে দাদা আদাবও বলা যেতে পরে। তবে কোন ভাবেই তাকে নমস্কার বা নমস্তে বলা যাবে না। (রহীমীয়া, ৬/১২৬ কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)
আরো জানুনঃ
(১৪)
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ : لَا أَرْكَبُ الْأُرْجُوَانَ ، وَلَا أَلْبَسُ الْمُعَصْفَرَ ، وَلَا أَلْبَسُ الْقَمِيصَ الْمُكَفَّفَ بِالْحَرِيرِ " وَقَالَ : " أَلَا وَطِيبُ الرِّجَالِ رِيحٌ لَا لَوْنَ لَهُ ، وَطِيبُ النِّسَاءِ لَوْنٌ لَا رِيحَ لَهُ " . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি অত্যধিক লাল বর্ণের গদির উপর আরোহণ করি না, হলুদ রঙের কাপড় পরিধান করি না এবং রেশমযুক্ত জামাও পরিধান করি না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেন, জেনে রাখো! পুরুষদের আতর তাই যাতে খোশবু আছে, রং নেই। পক্ষান্তরে নারীদের আতর তাই যাতে রং আছে, কিন্তু সুঘ্রাণ ছড়ায় না।
সহীহ : আবূ দাঊদ ৪০৪৮, মুসনাদে আহমাদ ১৯৯৭৫, শু‘আবুল ঈমান ৬৩২০, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৪৭২৬, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬১৮৭।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পুরুষের জন্য রংহীন সুঘ্রাণযুক্ত; যেমন মিশক, আতর, কাফূর, উদ ইত্যাদি বৈধ এবং নারীদের জন্য সুঘ্রাণহীন রং যেমন যা‘ফরান, খালূক, মেহেদী ইত্যাদি ব্যবহার করা বৈধ।
(১৫)
মানে দুনিয়াকে আখেরাতের তুলনায় প্রাধান্য দেওয়া।
(১৬)
তহমত মানে তো অন্যের উপর মিথ্যা দোষ আরোপ করা।
এখানে তোষামোদ উদ্দেশ্য হতে পারে।
(১৭)
পুরুষ মুজাহিদ।
পুরুষ জিহাদকারী।
জানবাজ মুজাহীদ।
জানবায জিহাদকারী।
(১৮)
সন্তুষ্টি।
,
(১৯)
নিমক হারাম,খিয়ানত কারী।
(২০)
শিক্ষা,প্রশিক্ষন।