জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
বাম হাতে পানি পান করা মাকরুহ,সুন্নাতের খেলাফ।
তবে ওযর বশত হলে কোনো সমস্যা নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، أَبِي عُمَرَ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ نُمَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُبَيْدِ، اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ جَدِّهِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ " .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ..... ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ খাদ্য খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায় আর যখন পান করে, সে যেন ডান হাতে পান করে। কারণ শাইতান বাম হাতে খায় ও পান করে। (মুসলিম শরীফ ৫১৬০.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫০৯৩, ইসলামিক সেন্টার ৫১০৪)
(০২)
দাঁড়িয়ে পানি পান করা মাকরূহে তানজিহী। তথা অনুত্তম, সুন্নাতের খেলাফ।
,
কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পানি করাতে কোন সমস্যা নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে যেমন নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তেমনি তিনি নিজেই এবং সাহাবাগণ থেকে দাঁড়িয়ে পানি পানের বিবরণও এসেছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَشْرَبَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ قَائِمًا، فَمَنْ نَسِيَ فَلْيَسْتَقِئْ»
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে, তবে যদি ভুলে যায়, তাহলে যেন বমি করে দেয়। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০২৬]
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْرَبُ قَائِمًا وَقَاعِدًا
আমর বিন শুয়াইব তিনি তার পিতা, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাঁড়িয়ে ও বসে পান করতে দেখেছি। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৮৮৩]
,
(০৩)
না যাবেনা।
এমনটি করা মাকরুহ হবে।
,
(০৪)
তার যদি শিরকি আকীদা পোষন না করে,তাহলে
তার ঈমান থাকবে।
ঈমানের সমস্যা হবেনা।