আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (32 points)
আসসালামুআলাইকুম,

পেপাল হচ্ছে একটি ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল ব্যাংকিং সাইট, যেটা বাংলাদেশি বিকাশ/নগদ/রকেট এর মতো কাজ করে ... বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাকা লেনদেনের জন্য পেপাল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে, ৷
মূলতঃ এটি একটি আমেরিকান কোম্পানি, যেসব দেশের পেপালের সাথে চুক্তি রয়েছে, সেসব দেশ থেকে পেপাল সহজেই ব্যবহার করা যায় ...

তবে বাংলাদেশে এখনো পেপাল অফিশিয়ালি তাদের সেবা চালু করেনি...কিন্তু আমাদের দেশে এখন প্রচুর পরিমাণে ফ্রীল্যান্সার রয়েছে এবং অনেকে কাজ করতে চাচ্ছে, কিন্তু কাজ শেষে বিদেশী বায়ারদের থেকে টাকা আনতে সমস্যা হয় পেপাল একাউন্ট না থাকার কারণে, আবার বাংলাদেশ থেকে একাউন্ট খুললেও কয়দিন পর লক করে দেয় তাই ব্যবহারও করা যায় না, যেহেতু বাংলাদেশি লোকেশন বা আইপি থেকে খুলা হয় তাই ৷

তবে আমেরিকান ভিপিএন, আমেরিকান এড্রেস, আমেরিকান ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্ট, ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যদি পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করে নেওয়া যায়, তাহলে আর একাউন্ট লক হওয়ার তেমন ঝুকি থাকেনা এবং সেটা আমেরিকান একাউন্ট হিসেবে চালানো সম্ভব...

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে পেপাল অফিশিয়ালি খোলা যাচ্ছেনা, কিন্তু বিদেশী বায়ারের থেকে টাকা আনতে পেপালের দরকার পড়ে... সেক্ষেত্রে অপারগতাবশতঃ বিদেশি ঠিকানা দিয়ে ভেরিফাইড পেপাল একাউন্ট তৈরি করি এবং যারা ফ্রীল্যান্সিং করে তাদের কাছে বিক্রি করি, তাহলে কী এই ধরণের কাজ শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েজ বা হারাম হবে কি ???

যেহেতু ফেক জিনিস ব্যবহার করা (যেমন : ভিপিএন, ফেক ঠিকানা ইত্যাদি ) শরীয়াতের দৃষ্টিতে ধোঁকার শামিল, তবে এই ধরণের অপারগতা বা সীমাবদ্ধতা থাকলে সেক্ষেত্রে শরীয়াতের নির্দেশনা জানতে চাই...

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা অর্থের স্থানান্তর বা হাতবদল ইন্টারনেটের মাধ্যমে করার ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে থাকে। অনলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

যেহেতু পেপালের কান্ট্রি লিস্টে বাংলাদেশ নেই, তাই পেপাল একাউন্ট করার সময় একেকজন একেক দেশের ঠিকানা দিয়ে রেজিস্টার করে। তার মধ্যে সাইপ্রাস এবং আমেরিকার ফেইক প্রোফাইলই  অনেকে ব্যবহার করে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।

আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-

{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।
সূরা নিসা-৫৯

আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,

: (ما يَضْرِبُه السلطانُ على الرعية مصلحةً لهم يصير دَيْنًا واجبًا وحقًّا مُستحقًّا كالخراج، وقال مشايخنا: وكل ما يضربه الإمام عليهم لمصلحة لهم فالجواب هكذا).
ভাবার্থঃ

প্রজাদের কল্যাণে তাদের উপর বাদশা/সরকার যে কর আরোপ করে তা ওয়াজিব ঋণের মত(আদায় করা ওয়াজিব),এবং(ইসলামের একটি সু-নির্দিষ্ট বিধান) খারাজের মত।(আদায় করা ওয়াজিব)

আয়কর প্রজাদের উপর সরকারের প্রাপ্য বা হক্ব।আমাদের মাশায়েখ উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রজাদের কল্যাণ কামনায় প্রজাদের উপর সরকার কর্তৃক যে কোনো প্রকারেরই 'কর' আরোপিত হোক না কেন, তার বিধান একই(তথা আদায় করা ওয়াজিব)।
রদ্দুল মহতার-২/৫৭
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অবৈধ ভাবে পেপালের আইডি তৈরী করে তাহা বিক্রয় করা জায়েজ নেই।
এটি ধোকা দেওয়া হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...