জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বেশিরভাগ উলামায়ে কেরামদের মতে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক সহ কোনো ব্যাংকই সম্পূর্ণ (১০০%) ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ভাবে পরিচালিত হয়না।
,
আল্লাহ তায়ালা বলেন
يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون
‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইসলামী ব্যাংকে যেহেতু অনেক আলেমদের মতে শরীয়াহ নীতিমালা পুরোপুরি মানা হয়না,তাই সতর্কতামূলক প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির দাওয়াত গ্রহন না করা উচিত।
,
★একজনের যদি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রায় ৮০ হাজার টাকার ল্যাপটপ থাকে এবং ক্যাশ টাকা ২০ হাজারের মত থাকে সে সাহেবে নেসাব হিসেবে গন্য হবেনা।
,
(০২)
সন্তানদের উপর তার সেই পিতার বৈধ আদেশ মান্য করা জরুরি।
নিজেদের কামাই রোজকার থাকলে তাহা যদি নিজ ও নিজের পরিবারের প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,সেক্ষেত্রে তার পিতার অর্থনৈতিক অবস্থা যদি সত্যিকার অর্থেই শোচনীয় হয়,তাহলে কেবল সেক্ষেত্রে ছেলেদের উপর ওয়াজিব হবে পিতাকে টাকা দেওয়া।
নতুবা ওয়াজিব হবেনা।
হ্যাঁ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
তাই মাঝে কথাবার্তা বলা,খোজ খবর নেওয়া সেই ছেলেদের জন্য জরুরি।
,
(০৩)
"গোলযোগ সৃষ্টি বা মানুষের মধ্যে পারস্পরিক কলহ-দন্ধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একের কথা অন্যকে বলাকে চোগলখোরি বলা হয়।
অর্থাৎ মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি, প্রিয়জনদের মধ্যে শক্রতা ও বিচ্ছেদ সৃষ্টির জন্য একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগানো।
,
সুতরাং এহেন কথা বলা অবশ্যই চোগলখোরি হবে।
তবে এহেন কথা যদি না হয়,তবে দোষ যদি হয়,তাহলে গীবত হবে।
,
তাই যেকোনো ব্যাক্তির দোষ মূলক কাজ অন্যের কাছে বর্ণনা না করা উচিত।