বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(০১)
কবর পাকা করা, কবরের উপর বা পাশে কুরআনের আয়াত, দুআ, কবিতা বা প্রশংসা-স্তুতিমূলক বাক্য লিখে রাখা সবই নাজায়েজ। হাদীস শরীফে এ বিষয়ে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ، وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ
হযরত জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূল সাঃ কবরে চুনকাম করতে, কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে, এবং কবরের উপর বসতে নিষেধ করেছেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৯৭০}
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي الْهَيَّاجِ الْأَسَدِيِّ، قَالَ: قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: أَلَا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ «أَنْ لَا تَدَعَ تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ وَلَا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ
হযরত আবুল হাইয়াজ আসাদী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত আলী রাঃ আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে সেই কাজে পাঠাবো না, যে কাজে রাসূল সাঃ আমাকে পাঠিয়েছিলেন? ঐ কাজ এই যে, কোন মূর্তি দেখলে তা নষ্ট করে ফেলবে, আর কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দিবে। {মুসলিম, হাদীস নং-৯৬৯}
অপর এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُجَصَّصَ القُبُورُ، وَأَنْ يُكْتَبَ عَلَيْهَا، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهَا، وَأَنْ تُوطَأَ.
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে চুনা লাগাতে এবং তাতে লিখতে,এর উপর ঘর নির্মাণ করতে ও তা পদদলিত করতে নিষেধ করেছেন। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১০৫২, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫২৮৬,সহীহ মুসলিম-/৩১২, হাদীস নং-৯৭০, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক-৩/৫০৪, হাদীস নং-৬৪৮৮]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটির অনুমোদন ইসলাম দেয়না।
(০২)
সেই জিনিসের মূল্য যদি তার পাওনা টাকার বেশি না হয়,তাহলে তাহা নেওয়া তার জন্য নাজায়েজ নয়।
তবে বিষয়টি উভয়ের সম্মতিতে সমাধান করা দরকার।
নতুবা ফেতনা হবে।
,
(০৩)
এটি দোয়া বাচক শব্দ।
সব মৃত মুমিনের জন্য বলা বৈধ হলেও জীবিত ব্যক্তিদের ভালো কাজে উৎসাহিত করতে এবং মন্দ কাজ থেকে নিরুৎসাহ করতেই সাধারণত নেককার মানুষের নামের শেষে এ শব্দ যুক্ত করা হয় এবং পাপকাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের নামে তা যুক্ত করা হয় না।
মৃত যেকোনো ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে এটি বলা যাবে।
,
(০৪)
এটি জায়েজ নেই।
,
(০৫)
মারা যাওয়ার সাথে সাথেই ঐ মহিলার সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
তাই এমতাবস্থায় প্রশ্নে উল্লেখিত ছবি দেখা,তাহা সংরক্ষণ কোনোটিই জায়েজ নেই।
,
তার শাশুড়ী তার মাহরাম থাকবে।
তাই তার সামনে পর্দা করতে হবেনা।