ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
কোন গুনাহগার মুসলমানকে কাফির বা খৃস্টান বলা
যাবে না। কাফির বা খৃস্টান বলা জায়েজ হবে না। সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে
কাফির বলবে তার মারাত্মক ধরণের গুনাহ হবে। অযথা কাউকে কাফির বলা নাজায়েজ ও হারাম।
কুরআন হাদীসে এ ব্যাপারে কড়া ধমকি এসেছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِندَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ ۚ كَذَٰلِكَ كُنتُم مِّن قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
হে
ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে সফর কর, তখন যাচাই করে নিও এবং যে, তোমাদেরকে সালাম
করে তাকে বলো না যে,
তুমি মুসলমান নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ অন্বেষণ কর, বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো এমনি
ছিলে ইতিপূর্বে;
অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। অতএব, এখন অনুসন্ধান করে নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের
খবর রাখেন। (সূরা নিসা-৯৪)
যে ব্যক্তি
কাউকে কাফির বললে সে যদি বাস্তবেই কাফির না হয় তাহলে সেই কুফরি তার দিকেই
প্রত্যাবর্তন করবে বলে হাদীস শরীফে কঠোর হুশিয়ারী এসেছে। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ
يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ
كَذَلِكَ ".
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন অপর জনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয়
এবং একজন আর একজনকে যেন কাফির বলে অপবাদ না দেয়। কেননা যদি সে তা না হয়ে থাকে তবে
তা তার উপরই পতিত হবে। সহীহ বুখারী ৫৬১৯
কত মারাত্মক হুশিয়ারী! তাই কাউকে কাফির, খৃস্টান, মুশরিক বলার
ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে ঈমান নবায়ন করা লাগবে
না। তবে যেহেতু উক্ত কথা বলার কারণে
মারাত্মক গুনাহ হয়েছে। তাই তাওবা করে নিবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবে।