আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
closed by
আমার পরিচিত এক মেয়ে একটা সময় বেদীন ছিলো।তাই সে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাদের দুই জনেরই বিয়ে বুঝ এবং আল্লাহ্ ভীতির কারণে পরিবার থেকে সাহায্য না পেয়ে নিজেরাই 2 জন দিনী ভাই কে সাক্ষী রেখে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।তারা উভয় ই হানাফী মাযহাবের এবং মোহরানা ধার্য করা হয় 3 হাজার টাকা। বিয়ের সময় সে ছেলেটি বলে যে এক বছর পরেই ঘরে তুলে নিবে কিন্তু প্রায় দুই বছর হয়ে যাচ্ছে নানা অজুহাতে দিন পিছাচ্ছে।বিয়ের আগে ছেলেটি বলতো যে তার বিয়ের ব্যাপারে বাবা মা অমত করবে না এবং ঘরে তুলতে দেরি লাগবে না কিন্তু বর্তমানে সে ছেলে বাবা মায়ের পারমিসন এর কথা বলে দিন পিছাছে।সেই ছেলে নামাজ পরে দাড়ি ও রাখে কিন্তু নামাজের সময় maintain করার ব্যাপারে বেখেয়ালি এমনকি তার সূরা কালাম ও শুদ্ধ হয় না সব সময়।ছেলেটি তার wife কে অনেক কিছু ই ওয়াদা করে ভঙ্গ করেছে যা মোনাফেকের লক্ষণ।প্রায় ই সে বিনাকারণে মিত্থা কথা বলে এবং ওয়াদা ভাঙ্গে।বিনা কারণে নিজে অন্যায় করার পর মেয়ে টিকেই দুশি সাব্যস্ত করে । প্রায় ই খারাপ ব্যাবহার করে বসে পড়ে আবার ক্ষমা চায় ।এভাবে করতে করতে অনেক দিন ই পার হলো কিন্তু ছেলেটির কোনো পরিবর্তিতিন  নেই।মেয়েটি অনেক বার ই ক্ষমা করলেও এখন সব কিছু তার ধর্যের বাইরে। এখন এমন ও দিন যায় যে ছেলেটির দেয়া কষ্টে মেয়েটি কেঁদে কেঁদে অসুস্থ্ হয়ে পড়লে ও ছেলে টি পাথরের মত কঠিন একটাবার শান্তনা ও দেয় না thamte ও বলে না কিছুই করে না। মেয়েটি অনেক বার ই লক্ষ্য করছে যে তার হাজবেন্ড দ্বীনের ব্যাপারে উদাসীন এমন কি আল্লাহর কসম বলেও সে ওয়াদা ভেঙে ফেলে যা খুব ই ভয়াবহ। সম্প্রতি মেয়েটি একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয় এবং ইসলাম সম্পর্কে যতই জানছে ততই বুঝছে যে তার স্বামী নিজের উপর এবং মেয়েটির উপর এক প্রকার জুলুম ই করে যাচ্ছে।সে ছেলে মুখে বলে যে চোখের পর্দা করে কিন্তু আসলে ঠিক মত চোখের ও পর্দা করে না ,মেয়েটি কথা বলার সময় অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে কোনো মনোজগ ই দেয় না ।wife পাশে থাকা সত্বেও অন্য মেয়ের দিকে তাকাইয় থাকে এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে সে ছেলে বলল গুনাহ আমি করলে তুমি কথা বলব কেনো।সে ছেলের গায়রত বোধ ও নেই ।তার wife এর গায়ে কে ধাক্কা দিলো বা কি হলো ত সে খেয়াল ই করে না।আরো অনেক অনেক সমস্যা আছে তাদের মাঝে যা মেয়েটির পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না। মেয়েটির পরিবারের মানুষ ও খুব একটা দিনি না ।পারিবারিক ভাবে ও সে জুলুমের শিকার।সেই ছেলে মেয়েটির বাবা মায়ের sathe কোনো কথা না বলার কারণে মেয়েটির জন্য পরিবার thke বিয়ে ও দেখছে। সব মিলিয়ে মেয়েটি এখন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।ছেলেটি অন্যায় করেই যাচ্ছে কিন্তু বারবার তালাক চাওয়ার পর o talak দিচ্ছে না।তারা দুইজন ই দুইজন কে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে কিন্তু এ সম্পর্ক স্থায়ী করা আর মেয়েটির পক্ষে সম্ভব না।এখন মেয়েটি কিভাবে তার স্বামী কে তালাক দিতে পারে? যেহেতু সমস্যা দিন দিন বাড়ছেই কমছে না।
closed

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
selected by
 
Best answer


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 স্বামী-স্ত্রী একজন আরেক জনের পোষাক সরূপ। তাই তারা একে অপরে পোষাকের মত মিলে মিশে থাকবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন -

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ আল্লাহ অবগত রয়েছেন যেতোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলেসুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেনতা আহরন কর। (সুরা বাকারাআয়াত ১৮৭)

 

 

তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

 

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনএক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললোহে আল্লাহ্র রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেনরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেনঅতঃপর বললেনহে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যেসে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধতালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। তবে যদি স্বামী তার স্ত্রীকে কাবিন নামার ১৮নং ধারাতে অথবা অন্য কোনোভাবে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সে তার নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। এভাবে বললে (আমি আমার নিজের উপর তালাক দিলাম) তালাক হবে। অন্যথায় স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে যে, ‘আমি তোমাকে তালাক দিলাম’। তাহলে এতে কোনো তালাক পতিত হয় না।

সুতরাং স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার না দিয়ে থাকে তাহলে স্ত্রী কোনোভাবেই তালাক দিতে পারবে না। তবে যদি  স্বামী খারাপ হয় ফলে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করে থাকে তাহলে পারিবারিকভাবে উভয় পরিবার বসে  একটা সমাধান বের করবে।

উল্লেখ্য যে, স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে স্বামী গুনাহগার হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...