আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম শায়েখ...

১.https://youtu.be/APw-fSRDCnI এই ভিডিওটা দেখার অনুরোধ করবো ইন শা~ আল্লহ

আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত (শারিরীক) সুবিধার জন্যে আমি সিজদার ক্ষেত্রে পুরুষদের মতন সিজদা করতে পারবো কিনা?

২.এ্যাপ এ দেখানো ওয়াক্তের তাহাজ্জুদের 5/10 মিনিট সময় আছে সেক্ষেত্রে আমি বুখারী হাদিসে উল্লেখিত এক রাকাআ'ত বিতির আদায় করতে পারবো কি?(৩ রাকাআত স্বলাত আদায় করতে আমার এর বেশি সময় লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে)

৩.কারো গত কাল থেকে (সময়টা মনে পড়ছে না) ১০/২০/৩০/৪০ মিনিট বা এক ঘন্টা গ্যাপ দিয়ে সাদাস্রাবের সমস্যা হচ্ছে।সম্ভবত এর আগে এমনটা হয় নি। এক্ষেত্রে তাকে কি মাজুর ধরা হবে?
৪. উপরোক্ত ব্যাক্তির একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠে পাজামা ভেজা অনুভব হয় যদিও স্বপ্নটা স্বাভাবিক একটা স্বপ্ন ছিল সম্ভবত। সাদাস্রাবের সমস্যা চলছে এ তাই বুঝে উঠতে পারছে না যে গোসল ফরজ হয়েছে কিনা।এই অবস্থায় কি করণীয়?

৫. কেউ যদি জাহিলিয়াতি জীবন পার করার সময়। মানে দ্বীনের জ্ঞান একেবারেই ছিল না। নাস্তিক বলতে বুঝতো সম্ভবত যে অবিশ্বাসী। কিন্তু নাস্তিক মানে যে সে আল্লহ তাআ'লাকে অবিশ্বাস করে এটা বুঝতো না।সে ওই নাস্তিককে  সম্ভবত বলতো যে স্বলাত কেন পড়ে না,সাওম কেন রাখে না এরকম।

তো নাস্তিক যখন বলে যে সে নাস্তিক তখন সে উত্তরে সম্ভবত বলেছিল যে "প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে ঠিক আছে।" এটা আসলে সে কি অর্থে ওই নাস্তিককে বলেছে তার মনে পড়ছে না।এর পরও সে ওই নাস্তিককে স্বলাত ও সাওমের কথা জিজ্ঞেস করতো সবসময় আর যখন নাস্তিক বলতো আমি নাস্তিক।তবুও সে সম্ভবত বলতো "সাওম না রাখা ঠিক না,স্বলাত না আদায় করা ঠিক না,জুম্মা না পড়া ঠিক না। " সম্ভবত তার ধারণায় ছিল না নাস্তিক বলতে কি বুঝায়।

আশা করি বুঝাতে পারছি।এমন কি সে এটাও বুঝতো  না যে মু'মিন কাকে বলে। 2/3 বছর আগের কথা এগুলো।

আল্লহ তাআ'লার অশেষ দয়ায় 1 বছরের কিছু সময় আগে সে হিদায়েত পায় আলহা'মদুলিল্লাহ।

 এখন সে বুঝতেছে ওইগুলো বলা তার মোটেই ঠিক হয় নি।মারাত্মক পরিমাণ খারাপ কিছু বলেছে অজ্ঞতাবশত।

ওই নাস্তিক ওর নন-মাহরাম।এখন কথা বলা কোনোভাবেই সম্ভব না।আর এটাও বলাও সম্ভব না যে সে সেটা মারাত্মক পরিমাণে ভুল বলেছিল।কারণ ফিতনায় পড়ার মারাত্মক সম্ভাবনা আছে তার।তাই এখন...প্রশ্ন হচ্ছে তার এখন কি করণীয়?এর কাফফারা কি?
৬. আমার কিছু স্বপ্নের ব্যাখ্যার প্রয়োজন।আপনাদের জানামতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা করেন এমন বিজ্ঞ কেউ আছেন?লিংক দিতে পারবেন ইন শা~ আল্লহ?
৭.স্বলাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে গিয়ে '"ইহদিনাস স্বিরতল মুস্তাক্বীম এর জায়গায় মুস্তাক্বীন সম্ভবত পড়া হয়েছে কনফিউশন লাগছিল তাই আবার স্বিরত্বল মুস্তাক্বীম" পড়ে নিলেই কি হবে নাকি আবার আদায় করতে হবে স্বলাত?

৮)ফরয/সুন্নাত/নফল স্বলাতে যেকোন এক রাকাআতে যদি নিয়মিত "সূরা ইখলাস" পড়া হয় তবে কি কোনো সমস্যা হবে?

৯) মহিলারা যখন স্বলাত আদায় করে তখন যদি স্বতর খোলে যায় অনিচ্ছাকৃতভাবে পাশে থেকে কেউ যদি স্বতর ঢেকে দেয় তবে স্বলাতে সমস্যা হবে বা যে ঠিক করে দিবে তার কি গুনাহ হবে?

উত্তরগুলো দ্রুত পেলে উপকৃত হবো ইন শা~ আল্লহ।

জাযাকুমুল্লাহ খইর

আসসালামু আ'লাইকুম

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সেজদায় মহিলাদের জন্য জড়সড় হয়ে জমিনের সাথে মিলিয়ে,পেট উরুর সাথে মিলিয়ে সেজদাহ করবে।
এটি তাদের জন্য সুন্নাত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
3016 – ﺃﺧﺒﺮﻧﺎﻩ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺃﻧﺒﺄ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍﻟﻔﺴﻮﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻠﺆﻟﺆﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﺛﻨﺎ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺩﺍﻭﺩ ﺃﻧﺒﺄ ﺑﻦ ﻭﻫﺐ ﺃﻧﺒﺄ ﺣﻴﻮﺓ ﺑﻦ ﺷﺮﻳﺢ ﻋﻦ ﺳﺎﻟﻢ ﺑﻦ ﻏﻴﻼﻥ ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺒﻴﺐ : ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻣﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﻣﺮﺃﺗﻴﻦ ﺗﺼﻠﻴﺎﻥ ﻓﻘﺎﻝ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪﺗﻤﺎ ﻓﻀﻤﺎ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻠﺤﻢ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻟﻴﺴﺖ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻛﺎﻟﺮﺟﻞ ( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ﻟﻠﺒﻴﻬﻘﻰ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻴﺾ،

ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻠﻤﺮﺃﺓ ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺘﺠﺎﻓﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ ﻭﺍﻟﺴﺠﻮﺩ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 3016- )

তাবেয়ী ইয়াযীদ বিন আবী হাবীব রহ. বলেন-একবার রাসূল সা. দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন-“যখন সেজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়। (সুনানুল বায়হাকী, হাদিস নং-৩০১৬, কিতাবুল মারাসিল লি ইমাম আবু দাউদ-৫৫, হাদিস নং-৮০)

ﻭَﺍﻵﺧَﺮُ ﺣَﺪِﻳﺚُ ﺃَﺑِﻰ ﻣُﻄِﻴﻊٍ : ﺍﻟْﺤَﻜَﻢِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﺒَﻠْﺨِﻰِّ ﻋَﻦْ ﻋُﻤَﺮَ ﺑْﻦِ ﺫَﺭٍّ ﻋَﻦْ ﻣُﺠَﺎﻫِﺪٍ ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - : « ﺇِﺫَﺍ ﺟَﻠَﺴْﺖِ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻭَﺿَﻌَﺖْ ﻓَﺨِﺬَﻫَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻓَﺨِﺬِﻫَﺎ ﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺠَﺪْﺕْ ﺃَﻟْﺼَﻘَﺖْ ﺑَﻄْﻨَﻬَﺎ ﻓِﻰ ﻓَﺨِﺬَﻳْﻬَﺎ ﻛَﺄَﺳْﺘَﺮِ ﻣَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻟَﻬَﺎ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻳَﺎ ﻣَﻼَﺋِﻜَﺘِﻰ ﺃُﺷْﻬِﺪُﻛُﻢْ ﺃَﻧِّﻰ ﻗَﺪْ ﻏَﻔَﺮْﺕُ ﻟَﻬَﺎ ( ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻣَﺎ ﻳُﺴْﺘَﺤَﺐُّ ﻟِﻠْﻤَﺮْﺃَﺓِ ﻣِﻦْ ﺗَﺮْﻙِ ﺍﻟﺘَّﺠَﺎﻓِﻰ ﻓِﻰ ﺍﻟﺮُّﻛُﻮﻉِ ﻭَﺍﻟﺴُّﺠُﻮﺩِ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 3324- )

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছন-“মহিলা যখন নামাযের মধ্যে বসবে তখন যেন (ডান) উরু অপর উরুর উপর রাখে। আর যখন সেজদা করবে তখন যেন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। যা তার সতরের জন্য অধিক উপযোগী। আল্লাহ তায়ালা তাকে দেখে বলেন-ওহে আমার ফেরেস্তারা! তোমরা সাক্ষী থাক। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। (সুনানে বায়হাকী-২/২২৩, হাদিস নং-৩৩২৪)

5072 – ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﻋﻦ ﺇﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺇﺳﺤﺎﻕ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺎﺭﺙ ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﻗﺎﻝ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪﺕ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻓﻠﺘﺤﺘﻔﺰ ﻭﻟﺘﻠﺼﻖ ﻓﺨﺬﻳﻬﺎ ﺑﺒﻄﻨﻬﺎ ( ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺗﻜﺒﻴﺮ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﻴﺪﻳﻬﺎ ﻭﻗﻴﺎﻡ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻭ ﺭﻛﻮﻋﻬﺎ ﻭﺳﺠﻮﺩﻫﺎ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﻴﺚ 5072- 

হযরত আলী রা. বলেছেন-মহিলা যখন সেজদা করে তখন সে যেন খুব জড়সড় হয়ে সেজদা করে এবং উভয় উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৮, হাদিস নং-৫০৭২, মুসান্নাফে ইবনে শাইবা-২/৩০৮, হাদিস নং-২৭৯৩, সুনানে কুবরা বায়হাকী-২/২২২)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে পুরুষদের নামাজের সাথে মহিলাদের নামাজের কোনো পার্থক্য নেই।
তাই তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি পুরুষদের ন্যায় সেজদাহ করলে সুন্নাত আদায় হবেনা।
তবে নামাজ হয়ে যাবে।               
,
(০২)
এটির সুযোগ নেই।
ছোট কিরাআত দিয়ে হলেও তিম রাকাত আদায় করতে হবে।

তবে ভিন্ন মতানুসারী গন তাদের স্কলারদের মত অনুসরণ করতে পারবেন।
,
(০৩)
না,তিনি মা'যুর হবেননা।
কেননা তার জন্য পবিত্র হয়ে নামাজ পড়ার যথেষ্ট সময় অবশিষ্ট রয়েছে।
,
(০৪)
সেটি সাদা স্রাব,তাই গোসল ফরজ হবেনা।
,
(০৫)
এর কারনে তার কোনো সমস্যা হবেনা।
তিনি তো নামাজ রোযার দাওয়াত তাকে দিয়েছেন,তাই ঈমানের সমস্যা হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।
,
(০৬)
ইবনে সীরিন রহঃ এর স্বপ্নের ব্যাখ্যা বই পড়তে পারেন।
,
(০৭)
না,শুদ্ধ করে নিলেই যথেষ্ট হবে।
,
(০৮)
না,সমস্যা হবেনা।

তবে বিনা ওযরে  এমনভাবে সুরা নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।
,
(০৯)
নামাযের মধ্যে সতরের আওতাধীন কোনো একটি অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি স্বেচ্ছায় খুলা হয়,তাহলে এক মুহুর্তের জন্য খুলা হলেও নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কিন্তু যদি অনিচ্ছায় এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,তাহলে তিন তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা) পরিমাণ সময় পর্যন্ত খুলে গেলে নামায ফাসিদ হবে। কিন্তু যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় থেকে কম হয়,কিংবা এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,তাহলে  নামায ফাসিদ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ   

যেই অঙ্গ খুলে গিয়েছে,যদি সেই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ ইচ্ছাপূর্বক ভাবে খুলে যায়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
নতুবা স্বলাতে সমস্যা হবেনা।

তবে অনিচ্ছায় এমনটি হলে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় অতিবাহিত হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
নতুবা নয়।

★ঠিক যে করে দিয়েছে,সে যদি মহিলা বা কোনো মাহরাম হয়,তাহলে তার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown by
আসসালামু আ'লাইকুম 
জাযাকাল্লাহু খইর,শাইখ
আফওয়ান এতোগুলো প্রশ্নের জন্যে।

⭕আসলে আমার মাযহাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না।সেদিন আপনাদের সাইটে ঘুরে কিছুটা ধারণা পেয়েছি আলহা'মদুলিল্লাহ।এ ব্যাপারে আরো জানার বাকি ইন শা~ আল্লহ।যদি একটু সাহায্য করতেন এ ব্যাপারে?কোন বইটা পড়া যায়?
➡2 নং এর উত্তরে বলেছেন পড়া যাবে না।আমার ধারণা না থাকায় (বুখারির হাদিস থেকে পড়েছিলাম আলহা'মদুলিল্লাহ।) যে স্বলাতগুলো পড়েছি তা আবার আদায় করতে হবে কি? মানে ধারণা করা সম্ভব নয় কারণ আমি 2 ভাবেই আদায় করেছি আলহা'মদুলিল্লাহ।সময় কম থাকলে 1 রাকাআ'ত আমল করতাম আল্লহ মাফ করুন। ➡9 নং প্রশ্নটা সম্ভবত আমি বুঝাতে পারি নি বা আমি বুঝতে পারছি না।
আবার বলছি ইন শা~ আল্লহ।
অনিচ্ছাকৃতভাবে যার স্বতর খুলেছে সে জানে না বা বুঝে নি এই অবস্থায় অন্য কোন মহিলা বা মাহরাম যদি দেখে স্বতর ঢেকে দেয় তাহলে কি স্বলাতে সমস্যা হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
...