জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি চিত্তে দেওয়া ব্যাতিত তাহা ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ وَ تُدۡلُوۡا بِہَاۤ اِلَی الۡحُکَّامِ لِتَاۡکُلُوۡا فَرِیۡقًا مِّنۡ اَمۡوَالِ النَّاسِ بِالۡاِثۡمِ وَ اَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۸۸﴾
আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না, এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিচারকদের কাছে পেশ করো না।
(সুরা বাকারা ১৮৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ».
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাত ২৯৪৬)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উক্ত মেসের সকলেই সন্তুষ্টি চিত্তে উক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে,তাই এক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পর তাহা খাওয়া জায়েজ হবে।
মালিকের অনুমতি নিতে হবেনা।
,
(০২)
খাবারের মালিক দায়ী থাকবে।
,
(০৩)
নির্ধারিত সময়ের পর তাহা খেতে পারবে।
,
(০৪)
নির্ধারিত সময়ের আগে খেতে চাইলে মালিকের অনুমতি নিতে হবে।
(০৫)
নির্ধারিত সময়ের পর তাহা খাওয়া জায়েজ হবে।
তবে মালিক নিষেধ করলে অন্য কাহারো খাওয়া জায়েজ হবেনা।
(০৬)
সন্তুষ্টি চিত্তে সকলের সম্মতি থাকলে উক্ত আইন জায়েজ।