আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
860 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
সামাজিকতার নামে আজকাল বাসার বউ দেবরের সাথে, ননদের জামাইর সাথে, প্রয়োজনে হোক, অপ্রয়োজনে হোক, পারিবারিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখে,এসব কি জায়েয? ............................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (689,100 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ: أَنَّهَا كَانَتْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَيْمُونَةُ إِذْ أقبل ابْن مَكْتُومٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجِبَا مِنْهُ» فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ هُوَ أَعْمَى لَا يُبْصِرُنَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفَعَمْيَاوَانِ أَنْتُمَا؟ أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِهِ؟» رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد
 তিনি বলেন, একদিন তিনি ও মায়মূনাহ্ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন, এমন সময় ’আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মু মাকতূম সেখানে আসলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁদেরকে পর্দার আড়ালে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। আমি (উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)) বললাম, সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদেরকে দেখতে পাচ্ছে না! এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি অন্ধ যে, তাকে দেখতে পাচ্ছ না? (আবূ দাঊদ ৪১১২, তিরমিযী ২৭৭৮, আহমাদ ২৬৫৩৭, ইরওয়া ১৮০৬, য‘ঈফাহ্ ৫৯৫৮, রিয়াযুস্ সলিহীন ১৬৩৪।)


সিলাহ রেহমি বা আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখা অবশ্যই জরুরী। তবে অবশ্যই শরীয়তের গন্ডির ভিতরে থেকে।  সিলাহ রেহমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1577

ভাবি-দেবর এবং ভাবি-ননদ জামাই যেহেতু রক্ত সম্পর্কীয় কোনো আত্মীয় নয়। তাই এখানে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব হবে না। সুতরাং  তাদের মধ্যকার পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তা কোনোটিই জায়েযও নয়।

দেবর সম্পর্কে হাদীসে এসেছে, হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু। (সহীহ বোখারী-৫২৩২)
(সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।)

গায়রে মাহরাম নারী পুরুষ পরস্পর পরস্পরকে সালাম প্রদান মাকরুহ। যেমন শুআবুল ঈমান কিতাবে এসেছে,
"عن یحی بن أبي کثیر قال: بلغني أنه یکره أن یسلم الرجل علی النساء، والنساء علی الرجل". (شعب الإیمان، فصل في السلام علی النساء، دار الکتب العلمیة بیروت ۶/۴۶۰، رقم: ۸۸۹۶) "قال: و أخبرنا معمر، قال: کان قتادة یقول: أما امرأة من القواعد فلا بأس أن یسلم علیها، وأما الثانیة فلا". (شعب الإیمان)

দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
لڑکی کے لیے غیر محرم رشتے داروں کے سامنے جانا، انہیں سلام کرنا، ان سے بات چیت کرنا شرعاً جائز نہیں ہے، شریعت میں رشتے ناطے کے خیال رکھنے کی تاکید ضروری آئی ہے؛ لیکن اس کا مطلب یہ نہیں کہ اس کے لیے حکم شرعی کی خلاف ورزی کی جائے؛ بلکہ شریعت کا منشأ یہ ہے کہ شریعت کے دائرہ میں رہ کر ”رشتے“ کا خیال رکھا جائے، لڑکی کے سسر کو یہ باتیں سمجھادی جائیں۔ ان شاء اللہ وہ اصرار چھوڑدیں گے۔
جواب نمبر: 151650
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند
নারীদের জন্য গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে যাওয়া, তাদেরকে সালাম করা, তাদের সাথে কথাবার্তা বলা, শরয়ী দৃষ্টিকোণে নাজায়েয ও হারাম। শরীয়তে সিলাহ রেহমি বা আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখার তাগিদ করা হয়েছে, তবে অবশ্যই শরীয়তের গন্ডির ভিতরে থেকে। বরং শরীয়তের চাহিদা হল, শরয়ী বিধি বিধানের ভিতরে থেকে আত্মীয়তার সম্পর্কের খেয়াল রাখা। যেমন রদ্দুল মুহতার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, 

لما فى ردالمحتار مع الدر المختار:
''فإذا نجيز الكلام مع النساء للأجانب ومحاورتهن عند الحاجة إلى ذلك، ولا نجيز لهن رفع أصواتهن ولا تمطيطها ولا تليينها وتقطيعها لما في ذلك من استمالة الرجال إليهن وتحريك الشهوات منهم، ومن هذالم يجز أن تؤذن المرأة''.(کتاب الصلاۃ، باب شروط الصلاة، مطلب في ستر العورة، ج: 3، ص: 72، ط: سعید)
জরুরতের সময় নারীদের জন্য গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে কথা বলা জায়েয। তবে তখনো উচ্ছসিত ভাবে নরম ভঙ্গিতে আকর্ষণীয় করে কথা বলা নিষেধ। কেননা এতে করে ফিতনার দ্বার উন্মোক্ত হতে পারে। 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং ভাবি-দেবর ও ভাবি-ননদ জামাই এর জন্য প্রচলিত সামাজিকতার নামে বিনা প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ করা ও কথাবার্তা বলা কখনো জায়েয হবে না।হ্যা পর্দার আড়াল থেকে খাবার দাবার প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দেয়া যাবে।স্ত্রী যদি খাবার ইত্যাদি পর্দার আড়াল থেকে পাঠিয়ে দেয়,তাহলে স্বামীর উপর যে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব ছিলো,সেটার আংশিক আদায় হবে।বাকী অর্ধেক সামর্থ্যানুযায়ী স্বামী নিজেই আদায় করবে।


যদি একই ঘরে যৌথভাবে একাধিক ভাই স্ব পরিবারে  বসবাস করেন। পৃথক ঘর করার সামর্থ্য তাদের না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় জরুরতের ভিত্তিতে ফুকাহায়ে কেরাম কিছু শর্তসাপেক্ষে পর্দা বিধানে কিছুটা শীতিলতা নিয়ে আসেন। 
البتہ اگر جوائنٹ فیملی میں مالی تنگی کی وجہ سے شرعی پردہ کے لیے الگ الگ مکانات کا نظم سخت مشکل ودشوار ہو اور گھر میں بہوئیں آچکی ہوں تو ایسی صورت میں بوجہ مجبوری درج ذیل چند باتوں کی رعایت کے ساتھ بھابھی اور دیور کے مسئلہ میں پردے کے سلسلہ میں کچھ تخفیف ہوسکتی ہے:
 ۱:۔بھابھی اور دیور بے تکلف ایک دوسرے کے سامنے نہ آئیں۔ ۲:۔نیز بلا ضرورت ایک دوسرے سے کوئی بات چیت نہ کریں۔ ۳:۔ایک دوسرے کے ساتھ خلوت و تنہائی سے سخت پرہیز کیا جائے۔ 
۴:۔دیور جب گھر آئے تو اطلاع کیے بغیر نہ آئیں۔ 
۵:۔بھابھی جب کمرے سے باہر صحن وغیرہ میں آنا چاہے تو موٹی چادر یا دو پٹہ سے بال وغیرہ ڈھک کر نکلے، گھونگٹ کے ساتھ کچھ چہرہ اور ہتھیلیاں کھلی رہیں تو گنجائش ہے (فتاوی دار العلوم دیوبند ۱۶: ۱۹۹-۲۰۱، سوال: ۳۷۹- ۴۳۸۱، مطبوعہ: مکتبہ زکریا دیوبند، احسن الفتاوی ۹: ۳۷، مطبوعہ: ایچ، ایم، سعید کمپنی، کراچی، آپ کے مسائل اور ان کا حل جدید تخریج شدہ ۸: ۸۹، ۹۰، مطبوعہ: کتب خانہ نعیمیہ دیوبند بحوالہ: تعلیم الطالب، موٴلفہ: حضرت مولانا تھانوی رحمہ اللہ ص ۵)؛ لیکن دیگر رشتہ داروں میں تخفیف نہ ہوگی، ان سے بہر حال مکمل پردہ کرنا ہوگا۔واللہ تعالیٰ اعلم
جواب نمبر: 159261
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند
(১) ভাবি দেবর কখনো ইচ্ছাকৃত মুখোমুখি হবে না। 
(২) বিনা জরুরতে পরস্পর কথা বলবে না।
(৩) যথাসম্ভব নির্জনতায় কথাবার্তা বা মুখোমুখি হওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।
(৪) দেবর না জানিয়ে কখনো ঘরে আসবে না।
(৫) ভাবি সর্বদা বড় চাদর দ্বারা নিজ শরীরকে আবৃত করে রাখবে। তখনো চাদর ইত্যাদি দ্বারা মুখকে ঢেকে রাখবে। যদি কখনো দেবরের সাথে মুখোমুখি হয়ে যায়, তাহলে তখন মাথাকে নিচু করে মুখকে ঢেকে নিবে। এবং দেবরও নিজ চক্ষুকে নিচু করে নিবে। এমতাবস্থায়  হিজাব পরিহিত না থাকার দরুণ যদি মুখের কিছু অংশ খোলা থাকে অথবা হাতের কিছু অংশ খোলা থাকে, যেগুলোকে তৎক্ষনাৎ ঢেকে রাখা সম্ভবপর না হয়, তাহলে গোনাহ হবে না।(বিঃদ্রঃ এই বিধান ততদিন পর্যন্ত যতদিন না পৃথক ঘর করার সামর্থ্য হবে। যখনই পৃথক ঘর করার মত সামর্থ্য হয়ে যাবে, তখন এই বিধান তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...