আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in পবিত্রতা (Purity) by (80 points)
edited by
আসসালাুআলাইকুম।

অনেক গুলো প্রশ্নের জন্য মাফ করবেন

১) গামছা হালকা হালকা ভেজা ছিল এবং তা পাক ছিল।কিন্তু অন্য একটি নাপাক প্যান্ট তা আগে নাপাক ছিল এখন শুকনো ছিল।এখন এই শুকনো নাপাক প্যান্টের সাথে ভেজা পাক গামছা লাগলে কি গামছা নাপাক হবে? উল্লেক্ষ গামছা সামান্য ভেজা ছিল তাই নাপাক কাপড়ের সাথে গামছা লাগায় নাপাক কাপড় ভিজে নাই নাপাক কাপড় আগের মত শুকনো ই ছিল।

২) ছোয়াচে রোগ সম্পর্কে কি আকিদা রাখা উচিত?কেউ যদি বলে যে ছোঁয়াচে রোগ আছে তাহলে তো সে হাদিসকে মানলো না এতে কি ঈমান চলে যাবে?

৩) একজন বলেছিল বড় বড় ডাক্তাররা ছোয়াচে রোগের কথা বলছে কে বলল ছোয়াচে রোগ নাই। পরে তাকে যখন বলা হয়েছে যে এটা হাদিস এ আছে নবীজী বলেছেন ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নাই তখন সে বলছে আচ্ছা হাদীসে যখন আছে তাহলে বিশ্বাস করবো। সে যে প্রথমে বিশ্বাস করে নাই এতে কি ঈমান চলে যাবে? পুনরায় কালেমা পড়তে হবে?

৪) সহবাসের পর যদি এক তালাক দেয়া হয় তাহলে স্বামী স্ত্রী আবার সংসার করতে চাইলে কি পুনরায় বিবাহ করতে হবে?

৫)একজন আলেম যার ইসলামের সব বিষয়ে জ্ঞান আছে তার জন্যে কি নির্দিষ্ট মাজহাব মানা আবশ্যক?

৬) চার জন ইমামকে কি মুজতাহিদ বলা হয়?এই চারজন বাদে কি আর কোনো উল্লেখযোগ্য মুজতাহিদ ইমাম ছিলেন?

৭)বর্তমান যুগে কি এমন কোনো আলেম আছেন যে নিজে ইজতেহাদ করার যোগ্যতা আছে?

৮)একটি ছেলের একটা সাদা পায়জামার ফিতা আটকে যাওয়ায় সে ফিতার জন্যে গালি দেয়।পায়জামাটা নামাজের সময় পাঞ্জাবির সাথে পরে।এটা যেহেতু সুন্নতি পোশাক হিসেবে পড়া হয় ফিতা আটকে যাওয়ায় তার জন্য গালি দিলে কি ঈমান থাকবে?

৯) ফরজ নামাজে সূরা ফালাক এ ৪নং আয়াতে নাফফাসাতি পড়ার সময় ছা উচ্চারণ করি।কিন্তু অনেক সময়ই সন্দেহ হয় যে ছা নাকি ছিন উচ্চারণ করলাম।এতে কি নামাজ আবার পড়তে হবে

১০)নামাজে রুকু থেকে উঠে ভুলে আবার হাত বাঁধলে কি হানাফ মাজহাব মতে নামাজ শুদ্ধ হবে?

১১)কেউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে অমুক ব্যাক্তি টা কে। সে আসলে জানে না তাও যদি উত্তর দেয় যে আমি নিশ্চিত "ক"(যেকোন নাম) সেই হবে অমুক ব্যাক্তি।যদিও সে জানে না তবুও বলেছে নিশ্চিত। এতে কি ঈমান এ কোনো সমস্যা হবে?যেহেতু সে না জেনেও নিশ্চিত হয়ে বলেছে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
গামছা নাপাক হবে না।

(২)
https://www.ifatwa.info/13905 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোগ ব্যধির নিজস্ব সংক্রামক কোনো যোগ্যতা ও ক্ষমতা নাই। রোগীর পাশে কেউ গেলেই যে, রোগ ব্যধি তার কাছে চলে যাবে, বিষয়টা মূলত এমন নয়, বরং যদি আল্লাহর হুকুম হয়, তাহলে রোগ সংক্রামক হতে পারে। যদি আল্লাহর হুকুম না হয়, তাহলে ঐ রোগ সংক্রামক হতে পারবে না। তবে কিছু রোগের মাঝে আল্লাহ তা’আলা সংক্রমণের নিয়ম বেধে দিয়েছেন, এই রোগ সংক্রমণ করে বসে। তাকে আল্লাহ পূর্ব থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তবে আল্লাহর ইচ্ছা হলে সংক্রমণ নাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ সংক্রমণের এই ক্ষমতা রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নয়, এর পশ্চাতে আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা এবং তার ইচ্ছার দখল থাকে। তবে ইসলাম প্রচলিত এসব সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোকদের নিকট যেতে নিষেধ করেছে বিশেষভাবে কুষ্ঠ রোগীর নিকট, এ কারণে যে, উক্ত রোগীর নিকটে গেলে আর তার আক্রান্ত হওয়ার খোদায়ী ফায়সালা হওয়ার কারণে সে আক্রান্ত হলে তার ধারণা হতে পারে যে, উক্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার কারণেই সে আক্রান্ত হয়েছে, এভাবে তার আক্বীদা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তা যেন হতে না পারে, এজন্যই ইসলাম এরূপ বিধান দিয়েছে। তবে কেউ মজবুত আকীদার অধিকারী হলে, সে অনুরূপ রোগীর নিকট যেতে পারে। এমনিভাবে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোককেও সুস্থ এলাকার লোকদের নিকট যেতে নিষেধ করেছে। যাতে তা অন্য কারো আক্বীদা নষ্টের কারণ না ঘটে।

(৩)
না,তার ঈমান যাবে না বরং বহাল থাকবে।

(৪)
জ্বী, পূনরায় বিয়ে করতে হবে।

(৫)
মুজতাহিদ পর্যায়ের আলেম না হলে,তার জন্যও সর্ববিষয়ে কোনো এক ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব।

(৬)
জ্বী, ছিলেন।যেমন, সুফিয়ান সওরী, আতা,রাবিয়া,দাউদ জাহেরী,ইমাম বোখারী,প্রমূখ।

(৭)
আমাদের জানামত নাই।

(৮)
জ্বী, ঈমান থাকবে।তবে গালি দেওয়া জায়েয হয়নি।

(৯)
নামায হয়েছে।আবার পড়ার কোনো দরকার নাই।

(১০)
জ্বী, নামায হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 146 views
...