ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
এতিম সন্তানকে লালন পালনের উপর বিশেষ ফজিলত
রয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ يَعْنِي
ابْنَ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سَهْلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ كَهَاتَيْنِ
فِي الْجَنَّةِ وَقَرَنَ بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ الْوُسْطَى وَالَّتِي تَلِي
الْإِبْهَامَ صحيح
সাহল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি ও ইয়াতীমদের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকবো। এ
বলে তিনি তাঁর মধ্যমা ও তর্জনী (আঙ্গুল) একত্র করলেন। (আবু দাউদ ৫১৫০)
وَعَنْ سَهْلِ
بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:أَنَا
وَكَافِلُ الْيَتِيمِ لَه وَلِغَيْرِه فِى الْجَنَّةِ هٰكَذَا وَأَشَارَ
بِالسَّبَّابَةِ وَالْوُسْطٰى وَفَرَّجَ بَيْنَهُمَا شَيْئًا. رَوَاهُ
البُخَارِىُّ
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি এবং ইয়াতীমের লালন-পালনকারী, সে ইয়াতীম
নিজের হোক বা অন্য কারো হোক জান্নাতে এরূপ হবো, এ কথা বলে
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলি দ্বারা
ইঙ্গিত করলেন। তখন দু’ অঙ্গুলির মধ্যে সামান্য ব্যবধান ছিল। সহীহ : বুখারী ৬০০৫, তিরমিযী
১৯১৮, আবূ দাঊদ ৫১৫০, সহীহাহ্ ৮০০, সহীহ আত্
তারগীব ২৫৪১
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/12724/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত মেয়েটি
মিরাস হিসেবে আপনার পিতার সম্পত্তি হতে কিছু পাবে না। তবে যেহেতু আপনাদের বাবা
মারা যাওয়ার পর সব সম্পত্তির মালিক আপনারা (ভাই-বোন আর মা থাকলে সেও একটা অংশের)
মালিক হয়ে গেছেন। তাই আপনারা এখন চাইলে আপনাদের সম্পত্তি থেকে তার নামে লিখে (হিবা
হিসেবে) দিতেন পারেন। তাহলে এর বদৌলতে অনেক অনেক সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।