আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
296 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ।

সহশিক্ষা অর্জনের শর্তের মধ্যে একটি শর্তঃ শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
আমাদের দেশে নারী বিশ্ববিদ্যালয় এর সংখ্যা খুবই কম এবং পড়াশুনার কোয়ালিটি সহশিক্ষা প্রাক্টিস করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

১)কোনো নারী যদি সহশিক্ষায় পড়াশুনারত অবস্থায় তার শিক্ষা থেকে  স্কুল পড়া মেয়েদের পড়াশুনায় সহযোগীতা করে এবং পড়াশুনা শেষ এ (একান্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতিরেকে)স্বেচ্ছায় গৃহিনী হতে চায়, নিজের পরিবার গঠনে সময় দিতে চায়, কেবল সন্তানদের লালন পালন এ মন দেয়,,,তার জন্য কি সহশিক্ষা জায়েজ হবে না?

২) সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জ্ঞান অর্জন করলে কি অবশ্যই তাকে দ্বীনের খেদমতে চাকরি বা পেশায় নিযুক্ত হতেই হবে?
আমি যদি পর্দা মেনে শুধু ভালো মানের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে এবং বাবা-মার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াতে হবেনা এই ভেবে সহশিক্ষা পড়াশুনা করি,,তাহলে কি গুনাহ হবে?

৩)আমি যদি সহশিক্ষাযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি (মনোবিজ্ঞান) বিষয় এ পড়াশুনা করে, *পার-টাইম*(অবশ্যই কিছু সময় সন্তান ও পরিবারের জন্য রাখতে চাই) সাইকোলজিস্ট হিসেবে **মহিলাদের** জন্য কাজ করে থাকি,,, এ ক্ষেত্রে সহশিক্ষা গ্রহণ আমার জন্য জায়েজ হবে কি?

৪)যদি পড়াশুনা করে গৃহিণী হিসেবে পরিবার গঠনে, সন্তান পালনে সময় দেই এবং সেই পড়াশুনাকে কাজে লাগাই এ ক্ষেত্রে,, তাহলে কি প্রথম শর্ত পূরণ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/343 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

(১)
জ্বী, জায়েয হবে। হারাম কাজে নিয়াজিত হওয়ার উদ্দেশ্য না হলেই হল।

(২)
না, গোনাহ হবে না।বরং আপনি এ নিয়তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।শুধু হারাম উদ্দেশ্য না হলেই হল।

(৩)
জ্বী, জায়েয হবে।

(৪)
জ্বী, পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...