আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
393 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। শায়েখ,
(১) https://ifatwa.info/26258/ তে জবাব দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান। একটি বিষয়ে ক্লিয়ার হতে চাচ্ছি। গামছায় হাত মুছলে হাত শুকিয়ে গেলেও গামছা তো ভিজে যায়। এ অবস্থায় তা বিছানা, টেবিল এসব জায়গায় রাখা হয়েছিল, এগুলোও ভেজার সম্ভাবনা আছে। আবার গোসল শেষে এবং পরে আবার হাত মুছতেও এ গামছা না ধুয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। যা হোক, কয়েকদিন পরে হলেও গামছা ধুয়ে নিয়েছি। এখন এ ব্যপারে সব চিন্তা কি মন থেকে ঝেড়ে ফেলবো?

(২) কমোডে ইস্তিঞ্জার সময় স্প্রেয়ার ব্যবহারকালে (পেশাব ও পায়খানা উভয়ই) পেশাব পায়খানার রাস্তা ও আশপাশ  থেকে (কমোড থেকে নয়) পানির ছিটা আসলে তা কি নাপাক?

(৩) কমোডের নিচ থেকে আসা নাপাক পানির ছিটা ধুতে গেলে তার ছিটা কি নাপাক?

(৪) https://ifatwa.info/24458/ এর (১) এ বলা হয়েছে,
"প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফ্লোর, দেয়াল, বালতি, বদনায় যদি নাপাকির চিন্হ পাওয়া গেলে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
নতুবা নয়।

ইহার থেকে সতর্কতামূলক বেঁচে থাকার লক্ষে নাপাক ধরে নিয়ে ধৌত করাই উচিত।"

এ বিধান কি শুধু ইস্তিঞ্জার সময়, নাকি শরীরের যেকোনো নাপাকি বা যেকোনো নাপাক জিনিস ধোয়ার ক্ষেত্রেও একই হুকুম?

(৫) এক্ষেত্রে বালতি বা বদনায় পানি থাকলে সেটাও কি পাক ধরব? নাপাক হলে পানি ফেলে দিলেই হবে নাকি ধুতেও হবে?
(৬) নাপাকি ধোয়া শেষে ফ্লোরে পানি ঢেলে দেওয়ার সময় তার ছিটা কি নাপাক?
(৭) নাপাক হাত ঘামা বা ঘামের ভাব থাকলে তা দ্বারা কিছু স্পর্শ করলে নাপাক হবে কি? যদি নাপাকি গন্ধযুক্ত হয়, আর ওই জিনিসে ঘামের ছোট বিন্দু বা ছাপ লাগলেও গন্ধ না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কি করণীয়?
(৮) এক্ষেত্রে সাথে সাথে নয়, কয়েকদিন পর পরীক্ষা করে দেখা গেল গন্ধ নেই। তখন কী করণীয়?
(৯) মোজাইক করা মেঝেতে নাপাকি লাগলে শুকিয়ে গেলেই পাক হবে কি?
মেঝে মোছার সময় তো ভেজা পা পড়ে। এক্ষেত্রে কী করণীয়?

(১০) মাযুর নয়, এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে (অসুস্থতার কারণে) কি শরীর ও পোশাকের পাশাপাশি ব্যবহৃত জিনিস যেমন চেয়ার, বিছানা,  মোবাইল, বই খাতা ইত্যাদিও পবিত্র রাখতে হবে? মাযুরের ক্ষেত্রে বিধান কী?

(১১) পায়জামা নাপাক ছিল, সেটা পড়ে ঘুমানোর পর ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘামে ঘাড়, পিঠ, কোমর পর্যন্ত ভিজে গেছে। বিছানা, বালিশও ভিজে গেছে। এ অবস্থায় কী করণীয়?
আমি সতর্কতাস্বরূপ পুরো শরীর ধুয়ে ফেলেছি। এখন কি বিছানা বালিশও ধুতে হবে? বিষয়টি নিয়ে চিন্তা হচ্ছে...

(১২) নাপাকি ও তা দূরীকরণ নিয়ে মনে ভয়, হতাশা, বিরক্তি, অধৈর্য আসলে কী করণীয়? এটি কি ঈমান ভঙ্গের কারণ? শয়তানের ওয়াসওয়াসা?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

হাদীস শরীফে   এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে, এ অবস্থায় তা (গামছা) বিছানা, টেবিল এসব জায়গায় রাখা হয়েছিল, এগুলোও ভেজার সম্ভাবনা আছ।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
যদি এগুলোতে নাপাকির চিন্হ,গন্ধ না পাওয়া যায়,তাহলে শুধুমাত্র ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনার কারনে  সেগুলোকে নাপাক বলা যায়না।
তাই এ থেকে আপনি চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে পারেন।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে,
আবার গোসল শেষে এবং পরে আবার হাত মুছতেও এ গামছা না ধুয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে হাত যেহেতু ভেজা ছিলো,তাই এটি নাপাক হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। 
তাই হাত পরিস্কার করতে হবে।

তবে সেটি যেহেতু করা হয়নি,তাই এখন এ থেকে আপনি চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে পারেন।
   
(০২)
এক্ষেত্রে পেশাব পায়খানার রাস্তা ও আশপাশ  থেকে যে পানির ছিটা আসলে তা নাপাক ধরা হবে।

(০৩)
সেটিকেও নাপাক হিসেবে ধরবেন।
সতর্কতা অবলম্বন করে ধৌত করবেন।
,
(০৪)
শরীরের যেকোনো নাপাকি বা যেকোনো নাপাক জিনিস ধোয়ার ক্ষেত্রেও একই হুকুম।
,
(০৫)
বালতি বা বদনার পানিতে তো কোনো নাপাক পড়েনি,তাই সেটি পাক।
,
তবে সেখানেও নাপাকির ছিটা পড়লে সেই পানি নাপাক হবে।
এক্ষেত্রে সেই পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেললেই সেই বালতি/বদনা পাক হয়ে যাবে।
,
(০৬)
সতর্কতা অবলম্বন হিসেবে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
,
(৭.৮)
হ্যাঁ সেটি নাপাক হবে।

(০৯ )
হ্যাঁ শুকিয়ে গেলে পাক হয়ে যাবে। 
তবে মেঝে মোছার পর শুকিয়ে গেলে ভেজা পা পড়লেও কোনো সমস্যা হবেনা। 
,
(১০)
এগুলো পাক রাখা দরকার।
তবে এগুলো সহকারে তো সে নামাজ পড়েনা,তাই তাহা পাক না করলেও সমস্যা নেই।
,
(১১)
বিছানা বালিশ ধৌত করা আবশ্যক নয়।

তবে সরাসরি সেই বিছানায় নামাজ পড়লে সেই বিছানাকে ধৌত করতে হবে।   

(১২)
এটি ঈমান ভঙ্গের কারন নয়।
শয়তানের পক্ষ থেকে এটি আসে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...