আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
363 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু!
.

মুহতারাম, ব্যাচেলর / নন ব্যাচেলর অবস্থায় অনেকে বাসা বা মেসে থাকেন! এক্ষেত্রে তাদের খাবারের ব্যবস্থার জন্য বুয়া কতৃক রান্নার ব্যবস্থা করা, নিজেরা বাজার করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়! এক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনা করে মেসে / বাসায় খাবার খাওয়া মাসআলা জানালে খুবই উপকৃত হতাম।

১. এক্ষেত্রে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য যে বুয়া রাখা হয়, তিনি অনেকসময় প্র্যাকটিসিং (দীনদার) হন না! এসকল ক্ষেত্রে নামাজ না আদায় করা বা অপবিত্র থাকা অথবা এরকম দ্বীনের মৌলিক বিষয়বস্তু গুরুত্ব না দেয়ার বিষয়টি তাদের কারো মাঝে থাকলে, সেই বুয়ার প্রস্তুতকৃত রান্না খাওয়া জায়েজ / হালাল হবে কি? এক্ষেত্রে তাকওয়া কি বলে!
২. ইসলামের ইতিহাসে হালাল খাবার খাওয়া নিয়ে অনেক সতর্কতার ঘটনা দেখা যায়, এক্ষেত্রে বিষয়গুলো কিভাবে দেখতে হবে?

৩. খাবারের বাজার করার ক্ষেত্রে হালাল হারাম হওয়ার কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে?

৪. এক্ষেত্রে হালাল খাওয়া + হালাল খরচের বিষয়টি মেস / বাসার অন্যান্য মুসলিম সদস্য গুরুত্ব না দিলে, নিজের কি করণীয়?

.

জাঝাকাল্লহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বেনামাজির রান্না করা খাবার খাওয়া নাজায়েজ নয়,বরং জায়েজ আছে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বেনামাজি বুয়ার রান্না করা খাবার খাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই।
জায়েজ আছে।    

★তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে তাদেরকে নামাজের দাওয়াত দেওয়া উদ্দেশ্য নিয়ে তার রান্না করা খাবার খাবে।
আর যদি সেই উদ্দেশ্য না হয়,তাহলে তাকওয়ার খাতিরে না খাওয়াই ভালো।       
,
কারন এক্ষেত্রে আমলের উচ্চতর লেভেলে পৌছাতে সেটা বাধাদান কারী হতে পারে।
,
তিরমিজ শরীফ এবং আবু দাউদ শরীফে একটি হাদীস এসেছেঃ
  
عن عبداللہ بن مسعود قال قال رسول اللّٰہ ﷺ لما وقعت بنو اسرائیل فی المعاصی نھتھم علماؤھم فلم ینتھو افجالسوھم فی مجالسھم واکلوھم وشاربوھم فضرب اللّٰہ قلوب بعضھم ببعض فلعنھم علی لسان داؤد عیسیٰ بن مریم ذلک بما عصوا وکانوا یعتدون الحدیث رواہ الترمذی وابوداؤد۔

সারমর্মঃ বনী ইসরায়েলের নাফরমানদের সাথে সেই যামানার উলামায়ে কেরামগন খানা পিনা শুরু করেছিলেন,আল্লাহ তায়ালা হযরত দাউদ আঃ এর মাধ্যমে সেই কাজের প্রতি লা'নত করেছেন। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এটি কিছু উলামায়ে কেরামগন তাকওয়ার খাতিরে বলেছেন।
তবে বর্তমানে নামাজী বুয়া সহজেই পাওয়া,সেটি খোজা সবই কষ্টকর,তাই তাদেরকে নামাজের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নে উল্লেখিত বুয়ার রান্না করা খাবার খাওয়া তাকওয়ার পরিপন্থি হবেনা।
,
(০২)
আপনাদের টাকা হালাল হলে,আর কোনো সমস্যা হবেনা, ইনশাআল্লাহ। 
,
(০৩)
এক্ষেত্রে গোশত ক্রয় করবে মুসলমানদের দোকান থেকে।
কাউকে ধোকা দিবেনা।
,
(০৪)
সদস্যদের কাহারো টাকা হারাম হলে তাকে বলে বুঝিয়ে হালাল টাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রয়োজনে সে কাহারো থেকে টাকা করজ নিয়ে বিল দিবে।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...