জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বেনামাজির রান্না করা খাবার খাওয়া নাজায়েজ নয়,বরং জায়েজ আছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বেনামাজি বুয়ার রান্না করা খাবার খাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই।
জায়েজ আছে।
★তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে তাদেরকে নামাজের দাওয়াত দেওয়া উদ্দেশ্য নিয়ে তার রান্না করা খাবার খাবে।
আর যদি সেই উদ্দেশ্য না হয়,তাহলে তাকওয়ার খাতিরে না খাওয়াই ভালো।
,
কারন এক্ষেত্রে আমলের উচ্চতর লেভেলে পৌছাতে সেটা বাধাদান কারী হতে পারে।
,
তিরমিজ শরীফ এবং আবু দাউদ শরীফে একটি হাদীস এসেছেঃ
عن عبداللہ بن مسعود قال قال رسول اللّٰہ ﷺ لما وقعت بنو اسرائیل فی المعاصی نھتھم علماؤھم فلم ینتھو افجالسوھم فی مجالسھم واکلوھم وشاربوھم فضرب اللّٰہ قلوب بعضھم ببعض فلعنھم علی لسان داؤد عیسیٰ بن مریم ذلک بما عصوا وکانوا یعتدون الحدیث رواہ الترمذی وابوداؤد۔
সারমর্মঃ বনী ইসরায়েলের নাফরমানদের সাথে সেই যামানার উলামায়ে কেরামগন খানা পিনা শুরু করেছিলেন,আল্লাহ তায়ালা হযরত দাউদ আঃ এর মাধ্যমে সেই কাজের প্রতি লা'নত করেছেন।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এটি কিছু উলামায়ে কেরামগন তাকওয়ার খাতিরে বলেছেন।
তবে বর্তমানে নামাজী বুয়া সহজেই পাওয়া,সেটি খোজা সবই কষ্টকর,তাই তাদেরকে নামাজের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নে উল্লেখিত বুয়ার রান্না করা খাবার খাওয়া তাকওয়ার পরিপন্থি হবেনা।
,
(০২)
আপনাদের টাকা হালাল হলে,আর কোনো সমস্যা হবেনা, ইনশাআল্লাহ।
,
(০৩)
এক্ষেত্রে গোশত ক্রয় করবে মুসলমানদের দোকান থেকে।
কাউকে ধোকা দিবেনা।
,
(০৪)
সদস্যদের কাহারো টাকা হারাম হলে তাকে বলে বুঝিয়ে হালাল টাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রয়োজনে সে কাহারো থেকে টাকা করজ নিয়ে বিল দিবে।