আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
269 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)
করোনা পরিস্থিতির আগে আমি মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়তাম। মাঝখানে মসজিদ গুলো বন্ধ ছিল বিধায় বাসায় নামাজ পড়েছিলাম।
বর্তমানে মসজিদগুলো ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত ১২টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা হচ্ছে এই নির্দেশনা গুলির কোনটিই মানুষ ঠিকঠাকমতো মেনে চলছে না।

এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কি উচিত হবে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়া?

ঘরে নামাজ পড়লে মনে শান্তি পাই না তাই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেও আমি শুধুমাত্র দুই ওয়াক্ত নামাজ যেমন ফজর ও এশা মসজিদে গিয়ে জামাতে আদায় করছি। প্রকৃতপক্ষে আমার কি করা উচিত?

[বি:দ্র:যেহেতু আমি কোন আলেম নই এবং মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া নিয়ে প্রচন্ড দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছি তাই আপনাদের ফতোয়ার উপরই আমল করার অপেক্ষায় রইলাম।]

1 Answer

+2 votes
by (657,800 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

 বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়  থেকে বাড়িতে নামাজ পড়ার এবং মসজিদে সীমিত আকারে মুছল্লি নিয়ে নামাজ  আদায় করার হুকুম জারী করা হয়েছিলো।

পরবর্তীতে রমজান মাসের কিছুদিন যাওয়ার পর  
মসজিদগুলো ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে (১২টি শর্ত মেনে চলা) সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়। 
,
পরবর্তীতে অনেক মসজিদেই সেই শর্ত গুলো মানা হলেও আস্তে আস্তে যখন দেখা গেলো যে দেশের সবকটি প্রতিষ্ঠান সরকারী হোক বা বেসরকারি , অফিস আদালত, গার্মেন্টস,মিল,ফ্যাক্টরি,  কোম্পানি, গণপরিবহন, নৌপরিবহন, ট্রেন ইত্যাদি (শুধু মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত)   খুলে দেওয়া হলো সর্বশেষ হাফেজিয়া মাদ্রাসাগুলোও খুলে দেওয়া হলো ,এবং এসবের কোনোটাতেই যখন দেখা গেলো যে প্রায় অনেক জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি, নিয়ম মানা না হলেও দেশের করোনা পরিস্থিতির তেমন কোনো অবনতি হয়নি, বরং আলহামদুলিল্লাহ দেশের পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের তুলনায়  অনেকটাই  ভালো, তখন থেকে দেশের অনেক মসজিদেই আর সরকারের সেই ১২ টি শর্ত মানতে জোড় দেওয়া হচ্ছেনা।

বরং প্রায় মসজিদেই আবার আগের মতো কাতার মিলিয়ে নামাজ পড়া হচ্ছে।
(যদিও দেশের অনেকগুলি মসজিদ এখনোও এমন আছে,যেখানে এখনোও পুরোপুরিভাবে সরকারের নিয়ম মানা হচ্ছে,তবে সেটার সাথে আমাদের এই প্রশ্নের  সংশ্লিষ্টতা নেই।)
,
তাই মসজিদে সরকারের ১২ টি নিয়ম মানা হচ্ছেনা বলে মসজিদে নামাজ না পড়ে বাসায় নামাজ পড়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করছিনা।
এহেন পরিস্থিতিতে আপনার এলাকার অবস্থা যদি তেমন শোচনীয় না হয়,তাহলে বাড়িতে নামাজ না পড়ে মসজিদেই নামাজ পড়ুন।
,
হ্যাঁ যদি আপনার এলাকার অবস্থা অনেকটাই শোচনীয় আকার ধারন করে, বা  আপনার প্রবল আশংকা হয় যে করোনা ভাইরাসে যাদের পজিটিভ এসেছে,(এখনো যাদের নেগেটিভ আসেনি,) তারাও মসজিদে নামাজ পড়তে আসছে,আর এহেন পরিস্থিতিতে  মসজিদে কোনো নিয়মও মানা হচ্ছেনা,তাহলে আপনি বাড়িতেই নামাজ পড়তে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

এতে আপনি মসজিদে নামাজ পড়ার ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (24 points)
+1
আপনার জবাব তথা উৎসাহ ও একিনের ভিত্তিতে  ইনশাআল্লাহ আমি এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করব।

দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম মর্তবা দান করুক। দোয়া দরখাস্ত। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 1,743 views
...