বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বাড়িতে নামাজ পড়ার এবং মসজিদে সীমিত আকারে মুছল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করার হুকুম জারী করা হয়েছিলো।
মসজিদগুলো ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে (১২টি শর্ত মেনে চলা) সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়।
,
পরবর্তীতে অনেক মসজিদেই সেই শর্ত গুলো মানা হলেও আস্তে আস্তে যখন দেখা গেলো যে দেশের সবকটি প্রতিষ্ঠান সরকারী হোক বা বেসরকারি , অফিস আদালত, গার্মেন্টস,মিল,ফ্যাক্টরি, কোম্পানি, গণপরিবহন, নৌপরিবহন, ট্রেন ইত্যাদি (শুধু মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত) খুলে দেওয়া হলো সর্বশেষ হাফেজিয়া মাদ্রাসাগুলোও খুলে দেওয়া হলো ,এবং এসবের কোনোটাতেই যখন দেখা গেলো যে প্রায় অনেক জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি, নিয়ম মানা না হলেও দেশের করোনা পরিস্থিতির তেমন কোনো অবনতি হয়নি, বরং আলহামদুলিল্লাহ দেশের পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই ভালো, তখন থেকে দেশের অনেক মসজিদেই আর সরকারের সেই ১২ টি শর্ত মানতে জোড় দেওয়া হচ্ছেনা।
বরং প্রায় মসজিদেই আবার আগের মতো কাতার মিলিয়ে নামাজ পড়া হচ্ছে।
(যদিও দেশের অনেকগুলি মসজিদ এখনোও এমন আছে,যেখানে এখনোও পুরোপুরিভাবে সরকারের নিয়ম মানা হচ্ছে,তবে সেটার সাথে আমাদের এই প্রশ্নের সংশ্লিষ্টতা নেই।)
,
তাই মসজিদে সরকারের ১২ টি নিয়ম মানা হচ্ছেনা বলে মসজিদে নামাজ না পড়ে বাসায় নামাজ পড়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করছিনা।
এহেন পরিস্থিতিতে আপনার এলাকার অবস্থা যদি তেমন শোচনীয় না হয়,তাহলে বাড়িতে নামাজ না পড়ে মসজিদেই নামাজ পড়ুন।
,
হ্যাঁ যদি আপনার এলাকার অবস্থা অনেকটাই শোচনীয় আকার ধারন করে, বা আপনার প্রবল আশংকা হয় যে করোনা ভাইরাসে যাদের পজিটিভ এসেছে,(এখনো যাদের নেগেটিভ আসেনি,) তারাও মসজিদে নামাজ পড়তে আসছে,আর এহেন পরিস্থিতিতে মসজিদে কোনো নিয়মও মানা হচ্ছেনা,তাহলে আপনি বাড়িতেই নামাজ পড়তে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
এতে আপনি মসজিদে নামাজ পড়ার ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ।