আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আমি একজন মেয়ে ।।বয়স ২০ এবং একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট।। আমার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজনের সাথে যোগাযোগ হয় এবং আমরা একে অপরকে পছন্দ করি ।। আমরা যিনাহ করতে চাইনি ।।তাই আমরা বিয়ে করে ফেলি।। বিয়ের সময় তাঁর পরিবারের লোকের সম্মতি ছিলো,একজন কাজি এবং ২ জন পুরুষ সাক্ষী ছিলেন।।কিন্তু আমার পরিবার সম্মত ছিলেন না।। বিয়ের মোহরানাও নির্ধারিত হয়। কিন্তু পরে আমার পরিবার এই বিয়ে মানতে রাজি না কেননা ছেলের বয়স আমার চেয়ে ১৫ বছর বেশি এবং তাঁর পরিবারের বংশ মর্যাদা এবং অন্যান্য অবস্থা আমাদের চেয়ে নিচে।। কিন্তু আমি তাকে বিয়ে করেছিলাম কেননা তিনি ইসলামের অনেক বিষয়ে জানেন এবং আমি তাঁর থেকে তা শিখতে চেয়েছিলাম,বিয়ে করলে শিখতে সহজ হবে ভেবেই বিয়ে করেছিলাম।।

তিনি আমাকে বিয়ের আগেই বলেছিলেন যে তাঁর পরিবার আন ইসলামিক এবং তাঁর নামে মামলা রয়েছে (যদিও আমি তখন জানতাম না কি ধরনের মামলা পরে জানতে পারি যে তা জঙ্গী এবং সন্ত্রাসী মামলা তবে মামলা কি সঠিক কিনা জানি না কারণ দেশের অবস্থা তো জানাই আছে সবার আর তাঁর সাথে এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয় নি

আমি তাঁর সাথে ৭ দিন সংসার করি আর তারপর আমার অভিভাবক আমাকে নিয়ে যায় এবং এই বিয়ে মানতে রাজি না।। আমাকে তাকে ডিভোর্স দিতে বলে এবং সেই অনুযায়ী আমি ডিভোর্স লেটার পাঠাই।।

তাদের যুক্তি গুলো ছিলো যে-
১। তাঁর বইয়স বেশি
২।তাঁর পারিবারিক মর্যাদা নিচে
৩। মামলা আছে
৪।কোন স্থায়ী চাকরি নেই
৫।এক মামলায় তাকে বিবাহিত বলা হয়েছে অর্থাৎ এর আগে তিনি একটি বিয়ে করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ আছে কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করেন এবং তাঁর বৌ কেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।।তাও পরিবারো আগের বিয়ের ব্যাপার অস্বীকার করে।।যদিও আমার বাবা মা আমাকে কিছু বলেন নি কিন্তু তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে যে আসলেই বিয়ে হয় নি।। তিনি বলেছেন যে বিয়ে যদি করে থাকেন তাহলে তাঁর উপর জান্নাত হারাম হোক।।

এখন তিনি আমাকে নিতে চান।।আমার সাথে সংসার করতে চান কিন্তু আমার পরিবার সেটা মানতে নারাজ ।। এবং আমার পরিবার তাঁর সাথে কোনোরুপ যোগাযোগ করতে নিষেধ করেছে এবং বলেছে যোগাযোগ করলে বাবা মার সাথে আমার কোন সম্পর্ক আর তারা রাখবে না ,অনেক অভিশাপ ও দিয়েছে
আমি আমার পুর্বের কাজের জন্য লজ্জিত ।।আমি এখন শুধু সঠিক ইসলামী নিয়ম জেনে তাঁর উপর আমল করতে চাই।।যদি বিয়েটা হয় তাহলে এখন আমি কার কথা শুনবো?ম্মা-বাবার?নাকি তাঁর?
আর ডিভোর্স দেয়া টা কি হয়েছে??

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “তালাক তারই অধিকার যার রয়েছে সহবাস করার অধিকার” অর্থাৎ স্বামীর। 
সুনানে ইবনে মাজাহ (২০৮১)

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

অথবা খোলা করতে পারে।
খোলা হচ্ছে: কোন কিছুর বিনিময়ে স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে স্বামী সে বিনিময়টি গ্রহণ করে স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে; এ বিনিময়টি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদত্ত মোহরানা হোক কিংবা এর চেয়ে বেশি সম্পদ হোক কিংবা এর চেয়ে কম হোক।

আরো জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি কি স্বামীর পক্ষ থেকে যেকোনো ভাবে (নিকাহ নামার ১৮ নং ধারার মাধ্যমেই হোক,বা অন্য কোনো ভাবে) তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়েছিলেন কিনা?
যদি পেয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে আপনি যেই ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন,সেখানে কি লিখেছিলেন?

নিজেকে নিজে তালাক দেওয়ার কথা সেখানে উল্লেখ রয়েছে?
নাকি স্বামীকেই তালাক দিয়েছেন?
যদি নিজেকে নিজে তালাক দিয়ে থাকেন,তাহলেই কেবল তালাক হয়েছে।
নতুবা তালাক হয়নি।
,
পরামর্শ স্বরুপ বলবো যে আপনার দেওয়া তালাক হোক,বা তালাক না হোক (এমতাবস্থায় যেকোনো ভাবে তালাক নিয়ে) আপনার পিতা মাতার আদেশ মানাই আপনার জন্য উচিত।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...