আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম।

প্রশ্ন নং ১:আমি দুই মাস আগে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ করি। কিন্তু আমার কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে বাচ্চাটাকে 45 দিনেরসময় গর্ভপাত করাতে হয়। আমি জানি গর্ভপাত ঘটানো গুনাহর কাজ। তাই আমি গর্ভপাত ঘটাতে চাইনি।কিন্তু ডাক্তার আমাকে আমার শারীরিক সমস্যার কারণে এবং প্রান সংশয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান যে২মাস পর্যন্ত বাচ্চা গর্ভপাত করালে গুনাহ হবে না। এছাড়া আমার স্বামী ও আমাকে জোর করেন বাচ্চা গর্ভপাত ঘটাতে। উল্লেখ্য:(আমার উচ্চ রক্তচাপ আছে, সিজার করে আমার দুই বাচ্চা হয়েছে এপেনডিক্স অপারেশন হয়েছে।) এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কি গুনাহগার হয়ে গেলাম??যদি গুনাহ হয় তাহলে আমি কি করলে গুনাহ হতে মাফ পাব??এর জন্যে কি ইসলামে কোন দোয়া আছে? অথবা কোন কাফফারা দিতে হবে কি?                    প্রশ্ন নং ২: আমার ২য় বাচ্চা হবার পর আমি দীর্ঘ ৬/৭বছর জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেয়েছি।গত ছয় মাস আগে আমার উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে এবং অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার আমাকে পিল খেতে নিষেধ করেন। আমার স্বামী কে বেবস্থা নিতে বলেন। কিন্তু আমার স্বামী কোন ব্যবস্থা না নেয়াতে  পিল খাওয়া বন্ধ করার তিন মাস পর আমি গর্ভধারণ করি।  এখন আমার প্রশ্ন হলো লাইগেশন করা কি ইসলামে জায়েজ আছে??আর যদি লাইগেশন করা না যায় তাহলে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক কোন পদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে??                                     গর্ভপাত এর পর থেকে মানসিক ভীতির কারণে স্বামীকেও কাছে আসতে অপারগতা প্রকাশ করি। যার কারণে দাম্পত্য জীবনে ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হচ্ছে। আমি জানি স্বামী আমার উপর নারাজ হচ্ছে, এটাতেও আমার গুনাহ হচ্ছে। তাই আমাকে অতি দ্রুত একটা সমাধান দিন যাতে আমি মানসিকভাবে ও পারিবারিক ভাবে শান্তিতে থাকি।
:

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি মহিলা অত্যাধিক দুর্বল হয়, যার কারণে গর্ভধারণ তার জন্য আশঙ্কাজনক হয় এবং গর্ভধারণের মেয়াদ চার মাসের কম হয়। তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক গর্ভপাত বৈধ হবে। মেয়াদ চার মাসের অধিক হলে কোনোভাবেই বৈধ হবেনা।

খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদির অভাবের কারণে সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে, দৈহিক সৌন্দর্য বা ফিগার ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে ,অধিক সন্তান নেয়াকে লজ্জার বিষয় মনে করে গর্ভপাত বিশেষত অভাবের কারণে সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে গর্ভপাত করলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা রিজিকের মালিক আল্লাহ।

আল্লাহ তায়ালা  বলেছেন, 

ولا تقتلوا أولادكم خشية إملاق، نحن نرزقهم وإيّاكم إنّ قتلهم كان خطأ كبيراً. 

‘’দারিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানকে হত্যা কর না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই খাদ্য প্রদান করে থাকি।নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ…’’(সূরা ইসরা, আয়াত-৩১)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,ডাক্তার আপনাকে আপনার শারীরিক সমস্যার কারণে এবং প্রাণ সংশয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান"

সুতরাং যেহেতু আপনার সেই সময়ে ডাক্তারের মত অনুযায়ী  প্রাণ সংশয়ে ছিলো,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত গর্ভপাতের কারনে আপনার গুনাহ হবেনা।
,
(০২)
লাইগেশন বলা হয়  অপারেশনের মাধ্যমে (ফেলোপিয়ন টিউব) ডিম্ববাহী নালি কেটে বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্ব জরায়ুতে আসতে পারে না। (যদিও এ কারণে যৌন ক্ষমতা, বীর্য স্খলন ও মাসিক চালু থাকে)
,
এটি স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি,
আর স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন সর্বসম্মতক্রমে হারাম।

আপনার শারীরিক অবস্থা খারাও হওয়ায় আপনি  অস্থায়ী পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।     
যেমন : আযল করা (সহবাসের চরম পুলকের মুহুর্তে স্ত্রীর যোনীর বাহিরে বীর্যপাত ঘটানো), Condom Jelly, Cream, Foam, Douche ইত্যাদি ব্যবহার করা, পিল (Pill) খাওয়া,জরায়ুর মুখ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া, ইঞ্জেকশন নেয়া ইত্যাদি।এ পদ্ধতি কেবল নিম্মোক্ত ক্ষেত্রে বৈধ হবে।
জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...