যাদের কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে পূর্ণ প্রাজ্ঞতা নেই, তারা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা করে তাদের অনুসরণে আল্লাহর শরীয়ত অনুসরণ করবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ [٢١:٧
অতএব তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর। {সূরা আম্বিয়া-৭}
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে দিয়ে দিয়েছেন-
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنفِرُوا كَافَّةً ۚ فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ [٩:١٢٢]
আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না,যাতে তারা দ্বীনের ক্ষেত্রে ফক্বীহ হতে পারে, এবং [ফক্বীহ হবার পর] সতর্ক করে স্বজাতিকে,যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে,যেন তারা বাঁচতে পারে। {সূরা তওবা-১২২}
উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে ফক্বীহ হবার পর স্বজাতিকে সতর্ক করবে। আর লোকেরা তাদের স্বজাতির ফক্বীহের কথা শুনে আখেরাতের বিষয়ে সতর্ক হবে।
এ আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে এলাকায় যে ফক্বীহ আছেন, তার বলা ফাতওয়া অনুপাতে তারা দ্বীন পালন করবে।
সেই হিসেবে উলামায়ে কেরামগন বলেন,যে এলাকায় যে ফক্বীহের কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক উদ্ভাবনী মাসায়েল পৌঁছেছে, সেই এলাকায় সেই ফক্বীহের অনুসরণ করবে। অন্য এলাকায় ফক্বীহের ফাতওয়া নয়।
যেহেতু ভারতীয় উপমহাদেশে হানাফী ফক্বীহদের অনুসারীরা দ্বীন এনেছেন। তাদের মাধ্যমেই দ্বীন ছড়েছে। আর ইসলাম আসার পর থেকে এ এদেশ সমূহে এভাবেই দ্বীন পালন করা হচ্ছে। তাই এ এলাকায় কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক এ মাযহাবই অনুসরণ করবে।
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
চার মাযহাবের যেকোনো একটি অনুসরণ করা যাবে।
তবে আমাদের দেশে যেহেতু হাম্বলি মাযহাবের অনুসারী নেই,তাদের স্কলার নেই।
তাই সেই মাযহান মানার অনুমতি দেওয়া যায়না।
তবে এদেশের কেউ সেই মাযহাব অবলম্বন করতেই চায়,তাহলে সেই মাযহাবের বিস্তারিত মাসয়ালা সম্বলিত কিতাব তার সামনে থাকা জরুরি,সেই মাযহাবের স্কলারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা জরুরি।
কেননা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনেক লক্ষ লক্ষ মাসায়েলের সম্মুখীন হতে হবে,যেটি তাদের স্কলারগন ব্যাতিত তেমন কেউ সমাধান দিতে পারবেনা।