আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
১.কোর‌আন ও হাদিসের মধ্যে কোনো বিধান নিয়ে উলামাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকলে ঐ বিধান না মানলে গুনাহ হবে যেমন নারীদের বক্তৃতা , মেয়েদের মুখে নেকাব ইত্যাদি । না মেনে হালাল মনে করলে ঈমান থাকবে ?

২.ইসলামে নাজায়েজ, বৈধ নয় , নিন্দনীয় এসব শব্দ দ্বারা কি কবীরা গুনাহ বোঝানো হয় না সগীরা গুনাহ না মাকরুহ ?

৩.ইসলামে যা করতে নিষেধ করেছে তা থেকে দূরে না থাকতে পারার ওযর কি ?
৪.কোন প্রকার অন্যায় এবং আল্লাহর অবাধ্যতা হাত দিয়ে পরিবর্তন না করতে পারলে শুধু মন থেকে অপছন্দ করা কি যথেষ্ট ? এ অপছন্দ করা কিভাবে করতে হবে কুর‌আন ও হাদিসের সহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী ? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলবেন ?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সেই বিধানের ক্ষেত্রে হুকুম কিছুটা হালকা হবে।
তবে নির্ভরযোগ্য মতানুসারে বিষয়টি নাজায়েজ হলে তাহা করা গুনাহ হবে।

তবে এটিকে না মেনে হালাল মনে করলে ঈমান চলে যাবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়তের খেলাফ কাজ করা গুনাহ হবে।
(০২)
ইসলামে নাজায়েজ, বৈধ নয়,এমন কোনো কাজ করলে কবিরা গুনাহ হবে।

তবে নিন্দনীয় বিষয়টি মাসয়ালা,স্থানকাল হিসেবে হুকুমের মাঝে ভিন্নতা রাখে।
 
(০৩)
এখানে সেই হুকুম বিশেষ আলাদা আলাদা ওযর গন্য।
সব ক্ষেত্রে একই অযর নয়।
,
যেমন,
ক্ষুধার তাড়নায় মারা যাওয়ার নিকটতম হলে মৃত প্রানীর গোশত খাওয়া জায়েজ।   

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ 

" তরজমাঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে। এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩) 

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা।

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " 

এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,


 ٦ - ولا يسقط الإنكار بالقلب عن المكلف باليد أو اللسان أصلا، إذ هو كراهة المعصية، وهو واجب على كل مكلف، فإن عجز المكلف عن الإنكار باللسان وقدر على التعبيس والهجر والنظر شزرا لزمه، ولا يكفيه إنكار القلب، فإن خاف على نفسه أنكر بالقلب واجتنب صاحب المعصية. قال ابن مسعود رضي الله عنه: جاهدوا الكفار بأيديكم فإن لم تستطيعوا إلا أن تكفهروا في وجوههم فافعلوا (١) . 
তরজমাঃ হাত বা জবান দ্বারা মন্দ কাজকে প্রতিহত করলে অন্তরের গৃনা রহিত হবে না,বরং অন্তর দিয়ে অবশ্যই গৃনা করতে হবে।কেননা তাহা তো গুনাহ হওয়ার ধরুণ গৃন্য।এবং গুনাহকে গৃনাহ করা প্রত্যেক জ্ঞানবান প্রাপ্তবয়স্কের উপর ওয়াজিব। কেউ যদি জবান দ্বারা মন্দ কাজকে প্রতিহত করতে অক্ষম হয়,কিন্তু মনকে চিন্তিত ও ব্যথিত রাখতে এবং উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করতে ও তার দিকে হেয়প্রতিপন্নমূলক দৃষ্টি স্থাপন করতে সক্ষম হয়,তাহলে তার জন্য তাই করা অত্যাবশ্যকীয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মনের অপছন্দ যথেষ্ট হবে না।অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে যদি কেউ প্রাণনাশের আশঙ্কা করে তাহলে এমতাবস্থায় অন্তর দিয়ে গৃনা করা তার জন্য ওয়াজিব।শুধু তাই নয় বরং সাথে সাথে উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করাও তার জন্য ওয়াজিব। ইবনে মাসউদ রাঃ বলেনঃ তোমরা কাফিরদের সাথে হাত দ্বারা যুদ্ধ করো।যদি তোমাদের চেহারায় গৃনা ও ব্যথিত হওয়ার চাপ প্রকাশ ব্যতীত আর কিছু না পারো তাহলে তোমরা তাই করো।(৬/২৫১) 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★★এটি সেই অন্যায় দূরের ক্ষেত্রে যথেষ্ট না হলেও নিজ ঈমানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 1,030 views
...