আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
419 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (30 points)
edited by
আসসালামু ওয়ালাইকু ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

শায়েখ আমি হানাফি মাজহাবের কিছু জিনিস নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় এবং ডিপ্রেশনে আছি।  হানাফি মাজহাবের ডিভোর্স এর মাসলা এবং হুরমতে মুসারাত জিনিসটা আমার বেশ জটিল এবং মেইন্টেইন করা কষ্টের মনে হচ্ছে। যখন থেকে এগুলার মাসায়ালা জেনেছি আর শান্তি পাচ্ছি না। এমন না যে আমি গুনাহ গুলো করব। বুকের মধ্যে চিন্তায় ধড়ফড় করে যে যদি আমি কখনো আমার মায়ের দিকে খারাপ ভাবে দৃষ্টি পড়ে তখন কি হবে। এর ফলে আমি ওয়াসওয়াসা রোগের আশংকা করছি। কারণ মনে হয় যদি ভুলে কোন দিন নিজের মহরাম কাউকে স্পর্শ করি বা ওদের গোপন জায়গা দেখে ফেলি যার ফলে আমার সাময়িক কামনা বাসনা হয় কিংবা নফসের পাল্লায় পড়ে ওদের নিয়ে সহবাসের চিন্তা করলে আমার স্ত্রী  আমার জন্য হারাম হয়ে যাবে আমার মা-বাবার বিয়ে ভেংগে যাবে ওরা কিছু না করেও। বিষয় গুলো আমার কাছে কেমন জানি মনে হচ্ছে।
আমার কাছে আহলে হাদিস এর ফিকাহ, মাসলা-মাসায়েল পালন করা সহজ মনে হয়। এটাতে আমি কম্ফোর্ট ফিল করছি। এবং আমি পরিপুর্ন ভাবে এই সালাফি-আহলে হাদিস এর ফিকাহ পালন করতে চাইলে আমার কি গুনাহ হবে?  আমি বাকি জীবন এই আহলে হাদিস এর মাজহাবেই থাকতে চায়। সব মাসলা মাসায়েল ফিকাহ সেই মাজহাবেরই মানব। আমার কি মাজহাব পরিবর্তনে শরিয়তগত ভাবে কোন বাধা আছে? আমার কি মাজহাব পরিবর্তনের অধিকার রয়েছে? আমি সুস্থভাবে দ্বীনকে সহজভাবে পালন করতে চায়। হানাফি আলেমদের হুরমতের বিষয়ে তাদের মতামত কে সম্মান রেখেই আমি কি মাজহাব পরিবর্তন করতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
 وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তিরমিজি শরীফের ২৬৪১ নং হাদীসে এসেছেঃ

باب مَا جَاءَ فِي افْتِرَاقِ هَذِهِ الأُمَّةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُفَسَّرٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .

পরিচ্ছেদঃ ১৮. এই উন্মাতের অনৈক্য
২৬৪১। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উন্মাতের মধ্যেও কেউ তাই করবে। আর বনী ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উন্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে দল কোনটি? তিনি বললেনঃ আমি ও আমার সাহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত।
হাসানঃ মিশকাত, তাহকীক সানী (১৭১), সহীহাহ (১৩৪৮)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব ও সব্যাখ্যায়িত (মুফাসসার)।

(হাদীসের মান হাসান।)
,

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَفَرَّقَتِ الْيَهُودُ عَلَى إِحْدَى وَسَبْعِينَ أَوِ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَالنَّصَارَى مِثْلَ ذَلِكَ وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً " . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَوْفِ بْنِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

হুসায়ন ইবন হুরায়ছ আবূ আম্মার (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াহূদীরা বিভক্ত হয়েছে, একাত্তর দলে (কিংবা বলেছেন, বাহাত্তর দলে), খৃষ্টানরাও অনুরূপ সংখ্যায় বিভক্ত হয়েছে। আর আমার উম্মতরা বিভক্ত হবে তিহাত্তর দলে।
হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৯১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে সা’দ, আবদুল্লাহ্ ইবন আমর, আওফ ইবন মালিক (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।

উক্ত হাদীস গুলো দ্বারা বুঝা গেল যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী যুগে তেহাত্তর দলের আবির্ভাব হবে।এর মধ্য থেকে একদলই শুধুমাত্র জান্নাতে যাবে।আর অবশিষ্ট বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে।

★উলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীসের আলোকে সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলকে তালাশ করতে কয়েকটি আলামত নির্ধারণ করলেন।মূলত এই আ'লামত গুলোকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আ'লামত বলা হয়।

★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে যারাই মেনে থাকেন, তাদেরকে কোনোভাবেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে খারিজ বলা যাবে না।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য দশটি আক্বিদা-বিশ্বাস সম্পর্কে জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,আহলে হাদীস অনুসারী গন যেহেতু উক্ত আকীদা গুলি মেনে থাকেন,তাই তারাও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। 
সেই ভিত্তিতে আপনি আহলে হাদীস মতানুসারী হলেও  
ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত হিসেবেই থাকবেন।
,
তবে তারা যেহেতু তাকলিদে শাখসি মানেননা,তাই উলামায়ে কেরামগন তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।     

তাকলিদ সংক্রান্ত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...