আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in পবিত্রতা (Purity) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম,

আমি নিজে একজন তীব্র ওয়াসোয়াসার রোগী ছিলাম।আল্লাহর অশেষ রহমতে তা থেকে ফিরে এসেছি,ইদানিং এমন কিছু লক্ষণ আমার আহলিয়ার মাঝে দেখতে পাচ্ছি।তাই আমি চাইনা আমার আহলিয়া এমন বিপদে পড়ুক।এজন্য কিছু প্রশ্ন সে আমাকে করছে সেসবের উত্তর জানতে চাই।

১,সে নাপাক কাপড় পাক করার সময় সাবান দিয়ে যখন বাথরুমের মেঝেতে কাপড় টি কাচে তখন যেহেতু হাতে সাবান লাগানো থাকে নাপাক কাপড়ের,সেই হাত দিয়ে মগ ধরে বারবার বালতিতে জমানো পানি তুলতে হয়,বা ট্যাপ ধরতে হয়।এতে করে সেই সাবানপানি ত মগের হাতায় বা মগের চারপাশে লাগে বা সরাসরি বালতির ভেতর কার পানি থেকে মগ তুলতে গিয়ে পানিতে স্পর্শ হয়,এতে করে সম্পূর্ণ পানি কি নাপাক হয়ে যাবে? এভাবে যদি নাপাক হয় আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে আর কোনো বিকল্প উপায় পাচ্ছিনা কাপড়টি ঠিকঠাক ভাবে পাক করার,আপ্নারা পরামর্শ দিন প্লিজ


২,এমনভাবে পূর্বে করা সকল কাপড় পড়ে যে সালাত আদায় করেছে তার কি হবে? সে হিসেবে তার দশ বছরের বেশি সালাত আবার আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য যে প্রতিক্ষেত্রে নাপাকির পরিমাণ দুই/তিন দিরহাম পরিমাণ হয়
পরিশেষে কিছু উপদেশ দিবেন যাতে করে আমার আহলিয়াকে আমি ওয়াসোয়াসায় পতিত হওয়া থেকে নসীহাহ দিতে পারি।আল্লাহ তাওফিক দাতা,আমিন

1 Answer

0 votes
by (571,860 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

(১)
জ্বী, এভাবে সাবানের পানিও নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। উক্ত পানি যেথায় লাগবে, সে জায়গাও নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।

(২)
সম্ভব হলে পূর্বের নামাযকে পূনরায় পড়ে নিতে হবে।আর সম্ভব না হলে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 127 views
...