আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।

আমি সাধারণত আমাদের এলাকার মসজিদে নামাজ পড়ি।কিন্তু আজকে বাহিরে থাকার কারণে অন্য একটি মসজিদে জোহরের সালাত আদায় করি।অজু করতে করতেই সেখানে নামায শুরু হয়ে যায়।কিন্তু ১ম রাকাতে ইমাম সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলাচ্ছে তা স্পষ্ট মাইকে শুনতে পেয়েছি। অর্থাৎ ইমাম জোহরের নামাজ জোরে কিরাআত করেছে।আমি দ্বিতীয় অজু করে দ্বিতীয় রাকাতে ইক্তিদা করি কিন্তু বাকি শেষ ৩রাকাতে ইমাম জোরে সূরা পরেনাই আস্তে পড়েছেন। মসজিদের মুসল্লিরাও ১ম রাকাতে পিছন থেকে কোনো কিছু বলেন নাই।ইমাম শেষে সাহু সিজদা ও দেন নাই।এখন এই ইমামের নামাজ কি হয়েছে?আমি যেহেতু ২য় রাকাতে নামাজে দাড়িয়েছি এবং ২য় রাকাতে তিনি কিরাত আসতেই পড়েছেন তাহলে কি আমার নামায শুদ্ধ হয়েছে? নাকি আবার পড়তে হব

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ- 
উচ্ছস্বরের স্থানে নিম্নস্বরে পড়লে বা নিম্নস্বরের স্থলে উচ্ছস্বরে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

وظاهر كلامهم أنه إذا لم يسجد فإنه يأثم بترك الواجب ولترك سجود السهو ثم اعلم أن الوجوب مقيد بما إذا كان الوقت صالحا حتى أن من عليه السهو في صلاة الصبح إذا لم يسجد حتى طلعت الشمس بعد السلام الأول سقط عنه السجود وكذا إذا سها في قضاء الفائتة فلم يسجد حتى احمرت وكذا في الجمعة إذا خرج وقتها وكل ما يمنع البناء إذا وجد بعد السلام يسقط السهو.
যদি কেউ সাহু সিজদা না দেয়, তাহলে সে ওয়াজিব তরক করার গোনাহে পতিত হবে। এবং সাহু সিজদা তরক করার গোনাহে পতিত হবে। জেনে রাখা ভালো যে, সাহু সিজদা ওয়াক্তের সাথে নির্দিষ্ট। যথক্ষণ ওয়াক্ত বাকী থাকবে, ততক্ষণ সাহু সিজদা দেওয়া যাবে। যদি কারো ফজরের নামাযে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে থাকে, আর সে যদি এমন সময় নামাযের সালাম ফিরায় যে, সূর্যোদয় হয়ে যায়, তাহলে সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। ঠিকতেমনি যদি কাযা নামায আদায়ের পর সূর্য উদয় বা অস্ত হয়ে যায়, তাহলে সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। এবং জুমুআর নামাযে ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে, সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। এবং নামাযের পর প্রত্যেক ঐ কাজ যা নামাযের প্রতিবন্ধক, তা করা হলে, সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। (বাহরুর রায়েক-২/৯৯)

সুতরাং ইমাম সাহেব যদি সাহু সিজদা না দেন, এবং নামায শেষ হওয়ার পর মুসাল্লিরা উক্ত নামাযকে না দোহরান, এমতাবস্থায় নামাযের ওয়াক্ত চলে যায়, তাহলে আর সাহু সিজদা দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...